নব্বই দশক পর্যন্ত ফুটবলে মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচে উপচেপড়া দর্শকের সমাগম ছিল স্বাভাবিক ঘটনা। তবে ব্রাদার্স ইউনিয়নের খেলাতেও গ্যালারিতে ভালোই দর্শক আসত। বিশেষ করে আবাহনী ও ব্রাদার্সের খেলার মধ্যে আলাদা একটা উত্তেজনা থাকত। জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে মোহামেডানের ধারে-কাছেও ব্রাদার্স ছিল না। কিন্তু তরুণদের নিয়ে গড়া ব্রাদার্সের খেলার মধ্যে সৌন্দর্য ও গতি দুটোই খুঁজে পাওয়া যেত।
দ্বিতীয় বিভাগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দলটি ১৯৭৫ সালে প্রথম বিভাগ লিগে খেলতে আসে। উদ্বোধনী ম্যাচে তারকাভরা আবাহনীকে হারিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে রীতিমতো আলোড়ন তুলেছিল মিন্নু, নান্নু, সেলিম, মোহসীন, বাবলুদের মতো অচেনা খেলোয়াড়ের দল ব্রাদার্স। চ্যাম্পিয়ন বা রানার্সআপ হতে না পারলেও প্রথম মৌসুমেই ফুটবলে শক্তিশালী তালিকায় নাম লিখিয়ে ফেলে। অচেনা ফুটবলাররা হয়ে যায় তারকা। আবাহনী-ব্রাদার্সের খেলার মধ্যে ইউরোপিয়ান ছাপ থাকাতে দর্শকরা দুই দলের খেলা দেখতে আকৃষ্ট হয়ে উঠে।
বিজেএমসি ও ওয়ান্ডারার্সকে পেছনে ফেলে তিন প্রধানের এক প্রধান হয়ে যায় ব্রাদার্স।
আবাহনী-ব্রাদার্সের ম্যাচ যেন এখন অতীত স্মৃতি। পেশাদার ফুটবল লিগে দুই দল গতকাল একে অপরের বিপক্ষে মোকাবিলা করে। যে ম্যাচ দেখতে দুপুর থেকেই গ্যালারি ভরে যেত, কাল দেখা গেল প্রায় ফাঁকা। অবশ্য এ নিয়ে কারোর আক্ষেপও নেই।
কারণ গত কয়েক বছর ধরে বড় ম্যাচে দর্শক না হওয়াটা স্বাভাবিক ঘটনায় রূপান্তরিত হয়েছে। এ জন্য ম্যাচে তেমন আকর্ষণও ছিল না। যাক দর্শক হোক বা নাইবা হোক, পয়েন্ট পেতে দুই দলের কাছে ম্যাচের গুরুত্ব ছিল অনেক। আগে যাই হোক না কেন পেশাদার লিগ শুরুর পর আবাহনীকে ফেবারিটই বলা যায়। কেননা ২০০৮-২০০৯ মৌসুমে একবারই জয় পেয়েছিল ব্রাদার্স।
এবারে আবাহনীতে সে মানের তারকা না থাকলেও তুলনামূলকভাবে ব্রাদার্সের চেয়ে অবশ্যই শক্তিশালী। সমর্থকরা তাই আশায় ছিল লিগে শুরুটা হবে জয় দিয়েই। যাক সে আশা-নিরাশায় পরিণত হয়নি। জয় দিয়েই লিগ শুরু করেছে সর্বোচ্চ চারবার শিরোপা জেতা দলটি। তবে ফেডারেশন কাপের মতো দুর্দান্ত হয়নি।
দলের স্পিরিট ফিরিয়ে আনতে ইরানের কোচ আলি আকবর পৌর মুসলিমিকে উড়িয়ে আনা হয়। কিন্তু শিষ্যরা প্রথম ম্যাচে সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেনি। ১-০ গোলে জিতে লিগের যাত্রা হয়েছে তাদের। প্রথমাধের্্ব গোলশূন্য থাকলেও দ্বিতীয়াধের্্ব তিন মিনিটেই গোল পেয়ে এগিয়ে যায় আবাহনী। এসময় তৌহিদের ক্রস ব্রাদার্সের ডিফেন্ডার ফেরাত ব্যর্থ হলে মরিসন বল পেয়ে তা জালে পাঠান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।