ওসেই মরিসন আর সনি নর্দে দারুণভাবে শুরু করলেন নতুন মৌসুম।
প্রথমজন গত মৌসুমে মোহামেডানের জার্সি গায়ে করেছিলেন লিগের সর্বোচ্চ ১২ গোল। দ্বিতীয়জন শেখ রাসেলকে ট্রেবল জেতাতে রাখেন বড় ভূমিকা। নতুন মৌসুমে দল পাল্টেছেন দুজনই। তবে ঝলকটা দেখালেন আগের মতোই।
আবাহনীর হয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন ঘানার স্ট্রাইকার মরিসন। শেখ জামালের হাইতিয়ান নর্দের জোড়া গোল।
নতুন মৌসুমেও যথারীতি বিদেশিরাই শীর্ষে থাকছেন, স্পষ্ট হয়ে গেল ২৮তম ফেডারেশন কাপের প্রথম দিনেই। তাঁরাই হবেন ম্যাচের ফলাফল-নির্ধারক, সে যে দলই হোক না কেন।
সবচেয়ে ভালো দল, সবচেয়ে বড় বাজেট।
সবার চেয়ে বেশি প্রস্তুতি। তার পরও শেখ জামাল ঠিক মানের সঙ্গে সুবিচার করে খেলতে পারেনি। তবে নর্দে ছিলেন আপন আলোয় উদ্ভাসিত। আক্রমণে নেতৃত্ব তো দিয়েছেনই, নিচে নেমেও বল নিয়েছেন অনেকবার। রেকর্ড ৭৩ হাজার ডলারে চুক্তি করা খেলোয়াড়টি ম্যাচের শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায়।
নর্দেকে আটকাতে না পারার মাশুল বারিধারার ২-০ গোলে হার। তারা বেশ কয়েকবার প্রতি-আক্রমণে প্রবল প্রতিপক্ষের গোলমুখ প্রায় খুলেই ফেলেছিল। কিন্তু গোল পেল না বড় মঞ্চে খেলার অভিজ্ঞতার অভাবে।
ধারে-ভারে অনেক এগিয়ে থাকা আবাহনী জিতল বড় ব্যবধানেই (৩-০)। হয়তো বোঝা গেল না, আগের দিন অস্ট্রেলিয়ান কোচ নাথান হলকে বিদায় দেওয়া হয়েছে।
তবে ঘটনা হলো, ভারপ্রাপ্ত কোচ যথারীতি অমলেশ সেন দলটাকে মাঠে নামিয়ে দেওয়া ছাড়া তাঁর আসলে করার কিছু ছিল না। মরিসন হ্যাটট্রিক করে হঠাৎই কোচ বিদায়ের প্রভাব পড়তে দেননি জয় দিয়ে মৌসুম শুরু করার মিশনে। তৌহিদের ক্রস থেকে দারুণ প্লেসিংয়ে প্রথম গোল করেছেন ১৭ মিনিটে। ইয়োকোর পাসে ৪২ মিনিটে ২-০। ৭২ মিনিটে তৃতীয় গোলটা পেয়ে হ্যাটট্রিক মরিসনের।
নতুন আবাহনী পাঁচজন মিডফিল্ডার নিয়ে খেলেছে। ডানে কমল, বাঁয়ে তৌহিদ। মাঝখানে আরমান, ইয়োকো ও ডি কাস্ত্রো। ব্রাজিলিয়ান কাস্ত্রোর স্কিল থাকলেও গতি কম। ফিটনেসে ঘাটতি রয়ে গেছে।
যে কারণে আবাহনীর আক্রমণ প্রতিপক্ষের বক্সে যায়নি প্রত্যাশামতো দ্রুততায়।
কোচ বদলের ধাক্কা হয়তো কাটিয়ে উঠবে আবাহনী, তবে রক্ষণ নিয়ে ভাবতেই হবে। বিদেশি খেলোয়াড়বিহীন রহমতগঞ্জের স্থানীয় তরুণেরাই সামাদ, সুজন, ওয়ালিদের বিপাকে ফেলে দিচ্ছিলেন কয়েকবার।
শেখ জামালের মাঝমাঠের সঙ্গে আক্রমণের সমন্বয়হীনতা চোখে পড়ল। নর্দে ছাড়া বাকি তিন বিদেশির খেলা সেভাবে চোখ কাড়েনি।
২৩ মিনিটে নর্দের প্রথম গোল পেনাল্টিতে। মিনিট তিনেক পরই সোহেল রানার থ্রু ধরে একক প্রচেষ্টায় গোল করে নিজেকে আবারও চেনালেন। ৭৪ মিনিটে সোহেল রানা লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে। ১০ জনের শেখ জামালের গোলের রাস্তা তাতেও খুলতে পারল না বারিধারা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।