আমি নিতান্ত সাদমাটা মানুষ। বলারমত কোন পরিচায় নাই। নিরামিষ মানুষ ।
পাকিস্তানি পন্য বর্জনের দাবি উঠেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে। আর তাই দুতাবসা ঘেরাও থেকে শুরু করে সে জন্য পুলিশি লাঠিচার্জ আর প্রতিবাদ সভা হলো অনেক।
পুরানো হল ইমরান খানের কুশপুত্তলিকা। এই আহবান বা দাবি এখনো বহাল আছে। অথচ ক্ষমতাসিন আওয়ামী লীগ পাকিস্তানি পন্য হিসাবে যাদের চিহ্নিত করা হয়েছে সে জামাতের একজন রুকন পর্যায়ের নেতাকে তাদের দলে টেনেছেন। বেপারটা কেমন হল?
মুক্তিযুদ্ধ চেতনা বাস্তবায়নে বিচার চলছে যাদের বা যে দলের তাদের নেতাদের নিজ দলে ঠাই দিল এই বিচার বাস্তবায়নকারিরাই। তাহলে কি জামাত স্বাধীনতা বিরোধীতাকারী সংঘঠন এটা আওয়ামিলীগ মনে করেনা?
বিএনপি আর আওয়ামী লীগ অতিতেও নিজ স্বার্থে জামায়ত কে নিয়ে খেলেছে বর্তমানেও খেলছে।
নির্বাচনে যাতে জামাতি লোকজনের ভোট পায় তাই বর্তমানে তারা জামাতের নেতাদের দলে টানছে। একাত্তরের ভুমিকার জন্য তাদের নিবন্ধন বাতিল করা হলো এবং অচিরে নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করার কথা। এমতাবস্থায় এ আচার কি প্রমান করেনা আসলে আওয়ামীলিগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অপব্যাবহার করে শুধু বিশ্বাস করেনা।
জনগনের মনে তাই নানা প্রশ্ন নানা ধরনের কথা-
আওয়ামীলিগের সাথে যেসব জামাতি তারা ধোয়া তুলসি পাতা। আর বিএনপি ঘেষারা উপর নীচ পুরোটাই স্বাধীনতা বিরোধী।
নিজ দলে তারা কখনো রাজাকার খুজে পান না। কারন এ দল হল মুক্তিযুদ্ধা বানানোর মিশিন। এখানে রাজাকার যোগদান করার সাথে সাথে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যান। তা সে যতই মানবতা বিরোধী অপরধীই হোকনা কেন।
গতকাল ১ জানুয়ারী একটি পত্রিকা মারফত জানা যায়
যে, জনাব হানিফ সাহেবের সমাবেশে একজন জমাতের রোকন আওয়ামীলিগে যোগ দিয়েছেন।
হানিফ সাহেব কি করে একাজটি করতে পারলেন। তাহলে কি ধরে নেয়া জায় না যে, জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে শুধুমাত্র তাদের বেকায়দায় ফেলে তাদের নেতা কর্মিদের নিজ দলে নিয়ে দল ভারির জন্য। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আসলে খোলস মাত্র। আসলে বিধ্বস্ত জামাতের ভোটগুলো এখন দখল করতে হবেতো। তাই সুবিদাবাদী হিসেবে পুন: আর্বিভাব।
পন্য বর্জন করি বা না করি জামাতের ভোটগুলো বর্জন করা যাবে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।