সকালের মিষ্টি রোদ পেরিয়ে আমি এখন মধ্যগগনে,
তরুণ রোমান্টিক জুটিদের জন্য পাকিস্তানের পেশোয়ার নগরী হলো অত্যন্ত বিপজ্জনক। তবু ভ্যালেন্টাইন্স ডে বা বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে একেবারে হাত-পা গুটিয়ে থাকবে না তারা। তালেবান বোমাবাজ এবং রক্ষণশীল মা-বাবাদের উপেক্ষা করে টেক্সট মেসেজ এবং উপহারসামগ্রী আদান-প্রদান করেই তারা প্রেম ব্যক্ত করার প্রস্তুতি নিয়েছে।
পেশোয়ারের প্রকৌশলের ছাত্র মোহাম্মদ আসিফ। চার বছর ধরে সে তার প্রেমিকাকে দেখার সুযোগ পাচ্ছে না।
তবু ভালোবাসা জিইয়ে রেখেছে। ২১ বছরের যুবক আসিফ জানায়, চার বছর ধরে যে মেয়েকে পছন্দ করে আসছে, তাকে কিন্তু কখনও কিছু বলেনি। এবার ঠিক করেছে, ভালোবাসার কথা ব্যক্ত করবে। আসিফ বলে, 'আমি প্রেমিকার জন্য একটি কার্ড ও কিছু চকোলেট কিনেছি। তাকে উপহার দেব।
এসব পেয়ে সে জানতে পারবে আমি তাকে ভালোবাসি। কেননা এটা এমন একটা দিন, সবাই তাদের মনের গোপন কথা ব্যক্ত করে থাকে। '
অন্যদিকে শামা আমির শুধু চকোলেট কেনেননি, সে সঙ্গে আরও কিনেছেন সেন্ট এবং একটি লাভ হার্ট। স্বামীকে উপহার দেবেন। তার মতে, ভ্যালেন্টাইন্স ডে হলো তাদের ধূসর জীবনে একঝলক রোদ।
৩২ বছর বয়সী ওই গৃহবধূ এএফপিকে আরও জানান, অনেকেই আছেন যারা তাদের ভালোবাসার কথা বলতে পারেন না। ভ্যালেন্টাইন্স ডে তাদের জন্য একটা সুযোগ এনে দিয়েছে। এটা হতাশাব্যঞ্জক ও বোমাবিক্ষত পরিবেশে একটি ইতিবাচক দিক।
তবে ভ্যালেন্টাইন্স ডে সেখানকার তরুণ, শিক্ষিত ও ধনীরাই উদযাপন করে থাকে। তবু সেখানে ছুটির দিনেও সঙ্গিনী নিয়ে ছেলেদের বেড়াতে যাওয়াটা ঝুঁকিপূর্ণ।
আর এবার ভ্যালেন্টাইন্স ডে পড়েছে রোববার। পশ্চিমা দেশগুলোর মতো তরুণ প্রেমিক-প্রেমিকাদের ক্ষেত্রে সাধারণ অভিভাবকরা কখনোই চকোলেট, গোলাপ ফুল কিংবা মোমবাতির আলোতে নৈশভোজন বরদাশত করবে না। তারপরও কাশমালা কাশিম নামে সোয়াত উপত্যকার এক যুবতী প্রত্যাশা করছে, ভ্যালেন্টাইন্স ডেতে তার প্রেমিকের টেক্সট মেসেজ। তার মতে, পেশোয়ারে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া তার জন্য কঠিন ব্যাপার। এ ক্ষেত্রে একমাত্র উপায় হচ্ছে মোবাইল ফোন।
পেশোয়ার নগরীতে যারা ভ্যালেন্টাইন্স ডে'কে বাঁকা চোখে দেখেন, তাদের একজন হলেন সরকারি কর্মকর্তা আফতাব আহমদ (৩০)। তার মতে, ভ্যালেন্টাইন্স ডে হলো ইসলামের পরিপন্থী এবং নিজস্ব সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ বিনষ্টকারী। এ কারণেই তিনি এক হাজার লোকের কাছে টেক্সট মেসেজ পাঠিয়ে দিনটি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন।
http://www.shamokal.com/
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।