আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুৎসিত মুখগুলোকে চিনেছি গেল বছর

একটা গণতান্ত্রিক দেশে প্রধান বিরোধী দলের নেতাকে বন্দী রাখার নজির বোধহয় পৃথিবীর কোথাও নেই। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, বিরোধী দলের নেত্রী নিরাপত্তা চেয়েছেন। নিরাপত্তা কিসের জন্য দিতে হবে? বিএনপির লোকেরা কি তাকে অপহরণ বা হত্যা করবে? নাকি আওয়ামী লীগের লোকেরা করবে? বিরোধী দলের নেত্রী কি এও বলেছেন যে, আমি বের হতে চাইলে আপনারা ধাক্কা দিয়ে ভেতরে ঢুকিয়ে দেবেন? বাড়ির সামনে পাঁচটা বালুর ট্রাক রাখবেন? এসব করে তৃণমূল থেকে তৈরি হওয়া দেশের 'শ্রেষ্ঠতম' রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের কপালে কালো তিলক এঁকে দেওয়া হচ্ছে। এটা কেন করা হচ্ছে এখনো বুঝে উঠতে পারছি না। বুধবার একুশে টেলিভিশন'র টকশো 'একুশের রাত' এ আওয়ামী লীগ নেতা স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন এসব কথা বলেন।

মঞ্জুরুল আলম পান্নার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. পিয়াস করিম ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ।

মোবাশ্বের হোসেন বলেন, আমি আওয়ামী লীগার হয়েও কেন আওয়ামী লীগের সমালোচনা করছি? আমার বাবা যদি জুয়া খেলা শুরু করেন, আমি তার সঙ্গেও তর্ক করব। সচেতন মানুষের কাজ ভুল-ত্রুটির সমালোচনা করা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলছেন, সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন হবে। একটিবারের জন্যও বলছেন না, এই সংবিধান উনি এককভাবে তৈরি করেছেন।

আজ যদি বিএনপি ক্ষমতায় থাকত তাহলে আওয়ামী লীগ কি তাদের অধীনে নির্বাচনে যেত? সরকার বলছে, দেশবাসী তাদের সঙ্গে আছে। আওয়ামী লীগ বা বিএনপি যখন পরাজিত হয় তখন তারা যে ভোট পায় সেটাই তাদের সলিড ভোট। বাকি ভোট নির্ভর করে কার্যক্রমের ওপর। এত সমালোচনা করার পরও আজ যদি ভোট হয় আমি আওয়ামী লীগকে ভোট দেব। জানি আওয়ামী লীগ খারাপ।

কিন্তু বিএনপি তার চেয়েও খারাপ। কারণ দলটি জামায়াতের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কোনো অবস্থায়ই আমি তা মেনে নিতে পারি না।

দেশের প্রথিতযশা এ স্থপতি বলেন, মানুষ খুব দুঃখের সঙ্গে বলছে ২০১৩ সালে কিছুই পায়নি। আমি মনে করি '১৩ সালে দেশে একটা বিরাট ঘটনা ঘটিয়ে দিয়েছে।

এই বছরে আমরা কুৎসিত মুখগুলোকে চিনেছি। ৪০ বছরে যে মানুষগুলোকে চিনতে পারিনি, যাদেরকে সারাজীবন শ্রদ্ধা করেছি, তাদের নোংরা-বীভৎস চেহারা গত বছর উন্মোচিত হতে দেখেছি। যে লোকগুলোকে আমরা অসম্ভব ভালো লোক হিসেবে জানতাম এখন চেহারার পেছনে দেখলাম কুৎসিত ভয়ঙ্কর রূপ। পত্রিকার পাতা খুললে দেখা যাচ্ছে এক টাকা কীভাবে হাজার কোটি টাকা হয়। এই লোকগুলোই আবার সবচেয়ে বেশি নীতির কথা বলছেন।

চোরকে পুলিশ ধাওয়া করলে চোর কিছুক্ষণ পরে নিজেই চোর চোর বলে চিৎকার শুরু করে। 'প্রধানমন্ত্রী বারবার বলছেন, এক-এগারোর কুশীলবরা আবারও সক্রিয়'- সঞ্চালকের এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, এটা নিয়ে আমি আলাপই করতে চাই না। প্রধানমন্ত্রী আগেই বলেছেন এক-এগারো আওয়ামী লীগের আন্দোলনের ফসল। এ ছাড়া সংসদে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এক-এগারোর কুশীলবদের সাজা দেওয়ার দাবি উঠেছিল। কিন্তু দেওয়া হয়নি।

উল্টো তাদের অনেককে প্রমোশন দেওয়া হয়। তাই উনি এ কথা বললে আমি মানতে পারব না।

 

 

 

 

 

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।