প্রার্থীদের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর আর কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা-পাল্টা হামলার কারণে শেষ মুহূর্তে বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ফরিদপুর-৪ আসন। গতকাল শুক্রবার রাতে ভাংগায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী কাজী জাফরউল্লাহর নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করেছে দুবৃর্ত্তরা। আজ শনিবার সকালে স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর নির্বাচনী অফিসে আগুন দেয়া হয়েছে। এ সময় নিক্সন চৌধুরীর সমর্থক হিসেবে মাহবুব নামের এক যুবককে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে নিক্সন চৌধুরীর সমর্থকেরা আওয়ামী লীগের কয়েকজনের ওপর হামলা করেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ভাংগা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দাদন ফকির পাল্টাপাল্টি নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিক্সন চৌধুরী। তিনি অভিযোগ করে বলেছেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী কাজী জাফরউল্লাহ প্রশাসনকে ব্যবহার করছেন। নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কারসাজি করার অভিযোগও রয়েছে আমার কাছে। আর প্রশাসন থেকে এমন কিছু করা হলে দক্ষিণাঞ্চল অচল করে দেয়া হবে।
ফরিদপুর-৪ আসনটি তিনটি উপজেলা ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এ আসনে সর্বমোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ, ৭ হাজার, ১৮০। ভোট কেন্দ্র হচ্ছে ১৬৬টি। এরমধ্যে প্রশাসন থেকে ঝুঁকিপূর্ণ ও আংশিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে ১২০টি কেন্দ্রকে চিন্থিত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ প্রার্থী কাজী জাফরউল্লাহ ৩০টি কেন্দ্র এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী নিক্সন চেৌধুরী ২০টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে দাবি করেছেন।
এদিকে, ফরিদপুর-৪ আসনের পদ্মার দুর্গম চর চরভদ্রাসন উপজেলার চর হরিরামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রটি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে দুবৃর্ত্তরা এ স্কুলটিতে আগুন দিলে আসবাবপত্রসহ বেশকিছু বই-খাতা পুড়ে যায়। স্কুলে আগুন দেবার ঘটনাটির সত্যতা স্বীকার করেছেন হরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওবায়দুল বারী খা দিপু। ফরিদপুর জেলা প্রশাসক আবু হেনা মোরশেদ জামান বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
অন্যদিকে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয় বসাক বলেছেন, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।