আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উত্তপ্ত সংসদ, নমনীয় স্পিকার

জাতীয় সংসদের সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনার প্রথম দিনেই আজ রোববার বিরোধী দলের উপস্থিতিতে সরব ছিল সংসদ। পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে অনির্ধারিত এবং বাজেটের আলোচনায় বিরোধী দলের দুই নারী সাংসদ সৈয়দা আশিফা আশরাফী ও রেহানা আক্তারের আক্রমণাত্মক, অশালীন ও অসংসদীয় শব্দের প্রয়োগে কিছু সময়ের জন্য উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সংসদ।
বিরোধী দলের সাংসদদের ব্যাপারে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে গিয়ে সরকারি দলের হুইপ আ স ম ফিরোজও সংসদে অসংসদীয় ভাষা ব্যবহার করেছেন।
বিরোধী দলের দুই সাংসদের বক্তব্যের সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী নমনীয় ছিলেন। তবে তিনি সাংসদদের অসংসদীয় বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।

এমনকি রেহানা আক্তারের নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পরও তাঁকে দুই মিনিট সময় বাড়িয়ে দেন স্পিকার।
আশিফা আশরাফীর অশালীন বক্তব্যের সময় সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বারবার তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়ার ইঙ্গিত করে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন। তবে স্পিকার নমনীয় থেকে আশিফাকে পুরো সময় কথা বলার সুযোগ দেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী সংসদে উপস্থিত ছিলেন।
এরপর স্পিকার সাংসদদের সতর্ক করে বলেন, অবমাননাকর, অশোভন ও অশালীন বক্তব্য বাতিল করে দেওয়া হবে।

সাংসদদের কার্যপ্রণালি বিধির ২৭০ ধারা অনুসরণ করে বক্তব্য দিতে হবে। আক্রমণাত্মক, অশোভন, কটু ও অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেওয়া যাবে না।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, ‘বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নাকি আওয়ামী লীগ জড়িত ছিল, বিরোধী দলের অনেকেই এমন কথা বলছেন। কিন্তু যখন সরকার এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করছে, তখন বিএনপি-জামায়াত দোষীদের পক্ষে সাফাই করেছেন। ’ তিনি বলেন, ‘আমি নাকি ৪০০ কোটি টাকা দিয়ে ব্যাংক করেছি।

এই টাকা আমি পেলাম কোথায় তা জানতে চেয়েছেন বিরোধী দলের এক সাংসদ। আমি বলতে চাই, ফার্মার্স ব্যাংকের আমি একজন শেয়ার হোল্ডার, মালিক নই। ’

সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বক্তব্য


আওয়ামী লীগের সাংসদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, ‘বিরোধী দল বলছে এটা তিন সরকারের বাজেট। কিন্তু এটা হবে এক সরকারের বাজেট। জনগণের ভোটে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এসে বাজেট বাস্তবায়ন করবে।

এ নিয়ে বিরোধী দলের দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। এই বাজেট জামায়াত, হেফাজতি বা স্বৈরাচারের বাজেট নয়, এটা জনগণের ও নির্বাচনমুখী বাজেট। ’
সুরঞ্জিত বলেন, ‘বিরোধী দলের একজন সাংসদ একটি মুলতবি প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু তা আবার বাদ দিয়েছেন। এর কারণ হলো, দলের জুনিয়র সদস্যের প্রস্তাব পাস হলে দলে সিনিয়রদের তো চাকরি থাকবে না।

’ তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। গুন্ডা আর হোন্ডার নির্বাচনের দিন শেষ। বাড়িঘরে আগুন দিয়ে, নির্যাতন করে এ দেশ থেকে আর হিন্দুদের বের করে দেওয়া যাবে না। ’
সম্পূরক বাজেটের ওপর আরও আলোচনা করেন বেগম মমতাজ ও এ বি এম গোলাম মোস্তফা।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.