i love somewhere blog.
আপনাদের সবার হয়তো মনে আছে, গত কয়েক মাস আগে সাংবাদিক সম্মেলন করে বি,এন,পি নেত্রী একটি তত্ত্ববধায়ক সরকারের ফর্মুলা দিয়েছিলেন।
সেই ফর্মুলাটি ছিল
২০১৪ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য একটি র্নিদলীয় তত্ত্ববধায়ক সরকার গঠন করতে হবে, আর ২০১৪ সালের তত্ত্ববধায় সরকার গঠিত হতে হবে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচন কালীন তত্ত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টাদের পরিষদের সদস্যদের নিয়ে।
খালেদা জিয়ার সেই সংবাদ সম্মেলনের পর পর জানতে পারলাম, সেই ১৯৯৬ আর ২০০১ সালের তত্ত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মোট সদস্য সংখ্যা ১৮, তার মাঝে মারা গেছেন ৪ জন, বাকী থাকলো ১৪ জন, এর মাঝে বেশ কয়েজন গুরুতর অসুস্থ আর বেশ কয়েক জন সংবাদ পত্রের মাধ্যেমে তাদের অপরাগতা প্রকাশ করেন।
ব্যাপাটা জানার পর খুবই হাসি পায়, তখন সবাই মন্তব্য করেছিল হয়তো খালেদা জিয়ার পড়ালেখা ও শিক্ষাগত যোগ্যতার অভাবে এই রকম একটি অবস্তাব আর অদ্ভুদ উদ্ভট ফর্মুলা দিয়েছেন, যা কখনো কারো পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব ছিলনা। কারণ সেই ১৯৯৬ আর ২০০১ দুই র্টামের তত্ত্বধায়ক সরকার হতে ২০১৪ তত্ত্ববধায়ক সরকারের জন্য দশজন পাওয়া সম্ভব ছিলনা।
আসলে খালেদা জিয়া মোটেই বেকুপ নয়, তিনি জেনে শুনে ইচ্ছকৃত ভাবে এই রকম অবাস্তব আর উদ্ভুদ ফর্মুলা দিয়েছেন যাতে আওয়ামীলীগ ইচ্ছা করলেও মেনে নিতে না পারেন। --- কারণ একটাই যে করে হোক , যে কোন কিছুর বিনিময়ে বি,এন,পি নির্বাচন বয়কট করা। অন্যদিকে যেহেতু আওয়ামীলীগ সরকারের দায়ীত্বে আছেন, সুতরাং সংবিধান আইন,সংসদ, আদালতের রায় মেনে নিয়ে আওয়ামীলীগের নির্বাচন করা ছাড়া বিকল্প কিছু করার নেই,
সবাই গভীর ভাবে লক্ষ করুন,
বি,এন,পি এখনো সুস্পষ্ট করে কি রকম তত্ত্ববয়াক সরকার চান, তত্ত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টারা কে ? কাদের দিয়ে তত্ত্বধায়ক গঠিত হবে, তারা কোন পরিষ্কার ব্যাখ্যা দেননি। অন্যদিকে আলোচনার প্রস্তাব দিলে নানা রকম বাহানা করে আলাপ আলোচনা হতে দুরে সরে আসার চেষ্টা করে বি,এন,পি।
আর্ন্তবর্তী কলীন সরকারের অর্ন্তভুক্ত হতে আমন্ত্রাণ ও প্রস্তাব প্রত্যখ্যান করেন।
এমন কি স্বরাষ্ট মন্ত্রীর পদটি বি,এন,পিকে দেওয়া প্রস্তাব দেন আওয়ামীলীগ তাও প্রত্যাখ্যান করেন বি,এন,পি।
এখন এটি বিষয় সুষ্পষ্ট ভাবে পরিষ্কার, বি,এন,পি টার্গেট যে করে হোক নির্বাচন বয়কট করা ।
এখন নির্বাচন কমিশান নিয়ে বি,এন, পি সমালোচনায় নেমেছে। তাদের কাছে প্রশ্ন।
চট্টগ্রাম , কুমিল্লা, নারায়ণ গঞ্জ, সিলেট, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী সিটি নির্বাচনের পর বি,এন,পি বর্তমান নির্বাচন কমিশনার বিরুদ্ধে টু শব্দ উচ্চারণ করেনি কেন?
খালেদা জিয়া ও বি,এন,পির ভাগ্য খুবই ভাল, তারা পেয়েছে একটি বিশ্বস্ত ও শক্তিশালী জামাত শিবির নামক পাকিস্তানী কালো সিংস্র কুত্তার সুইসাইড এস্কোয়াড।
এই জামাত শিবির সুইসাইড এস্কোয়াড একন খালেদা জিয়ার একমাত্র রাজনৈতিক সহায় আর সম্ভল ।
লক্ষকরুন, গত ৫ জানুয়ারী নির্বাচনে মোট ২১ জন নিহত হয়, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যেমের খবর হতে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে জামাত শিবির কুত্তা মারা যায় ১৮ জন, শহীদ হন একজন নির্বাচনী কর্মকর্তা ( তাও আবার জামাতি কুত্তার হাতে) ৩ জন বি,এন,পি।
সুতরাং বিষয়টা পরিষ্কার বি,এন,পির চলনাম আন্দোলনে জামাত শিবির নামক হায়েনা হিংস্র কুত্তার নাশকতা আর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ছাড়া আর কিছুই নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।