...
১ম পর্ব
শাররীক আকৃতিঃ
কোরআনে দেখি আ’দ জাতির আকার আকৃতি ও শক্তি অন্যদের তুলনায় বেশী ছিল। এমন শক্তিধর কেউই পারে পিরামিড বানাতে।
“তোমরা কি এতে বিষ্মিত হচ্ছ যে, তোমাদের জাতিরই একটি লোকের (হযরত হূদ (আঃ)) মাধ্যমে তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে তাঁর বিধান ও উপদেশ তোমাদেরকে সতর্ক করার উদ্দেশ্যে তোমাদের কাছে এসেছে , তোমরা সেই অবস্থার কথা স্মরণ কর, যখন নূহের (আঃ) সম্প্রদায়ের পর আল্লাহ তোমাদেরকে তাদের স্থলাভিষিক্ত করেছেন এবং তোমাদের আকার-আকৃতি অন্যদের অপেক্ষা শক্তিতে অধিকতর সমৃদ্ধ করেছেন। সুতরাং তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর, হয়তো তোমরা সফলকাম হবে। ” (সূরা ‘আরাফ ৬৯)
আমি তাদেরকে (আ’দ সম্প্রদায়কে) যা দিয়েছিলাম তোমাদেরকে তা দেই নি; ... (সূরা আহক্বাফ ২৬)
তারা কি ভেবে দেখেনি যে আমি তাদের পূর্বে বহু সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দিয়েছি, যাদেরকে দুনিয়ায় এমন শক্তি, সামর্থ্য ও প্রতিপত্তি দিয়েছিলাম, যা তোমাদেরকে দেইনি ... (সূরা আন’আম ৬)
বিশাল আকৃতির মূর্তি
মূর্তিগুলোর চেহারার সাথে মমি হিসাবে প্রাপ্ত ফারাওদের চেহারা মিলে না।
কারন কি?
দুটি ভিন্ন আকৃতির মানুষ দেখা যাচ্ছে।
Giant sarcophagus; Length: about 4 meter. Width: 2.3 meter. height: 2.5 meter under the name of king Merneptah ( son of ramses II)
Giant Coffin under the name of Ahmose-Nofretari
এই বৃহৎ স্ট্যাচু ও কফিনগুলো কাদের?
রয়্যাল ফ্যামিলিঃ
বিভিন্ন গবেষক এই বিশাল আকৃতির মূর্তি ও দেয়াল চিত্র সম্পর্কে অবগত। কিন্তু তারা জায়ান্টদের মানতে নারাজ। তাহলে এই বৃহৎ মূর্তি ও ছবিগুলোর ব্যাখ্যা কি হবে?
তারা অদ্ভুত এক থিউরি বের করলেন- যেহেতু এগুলো রাজা/রানীদের (রয়্যাল) মূর্তি বা ছবি তাই তাদের সম্মানার্থে এগুলোকে বড় করে তৈরি বা চিত্রিত হয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে থিউরিটি গ্রহনযোগ্যতা পায়।
দাসরা তো নীচু জাত, তাদের ছোট আকৃতির চিত্রায়ন হতেই পারে।
কিন্তু দেয়াল চিত্র হতে পাওয়া গেল অন্য তথ্য;
বামে দেখা যাচ্ছে রাজা ছোট আকৃতির কৃতদাস পরিবেষ্টিত। ডানে রাজা/ রানী’র সমআকৃতির কৃতদাস দেখা যাচ্ছে।
বাম ও ডান পাশে উভয় আকৃতির কৃতদাস দেখা যাচ্ছে।
বাম ও ডান পাশে উভয় আকৃতির কৃতদাস দেখা যাচ্ছে।
উপরের চিত্রে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে যে, ছোট ও বড় উভয় আকৃতির কৃতদাস সেই সময়ে ছিল।
এতে কি প্রমাণিত হচ্ছে? সেই সময়ে যারা দেয়াল চিত্রগুলো বানিয়েছিলেন তারা মানুষের সঠিক পরিমাপই নিয়েছিলেন। রাজা/রানী বলে তাদের আকৃতিকে বাড়িয়ে দেয়নি অথবা কৃতদাস বলে তাদের আকৃতিকে ছোট করে দেয়নি।
আরো প্রমান চাই?
ছোট আকৃতির কৃতদাসেরা বড় বড় নেকলেস বানাচ্ছে। কেন? কাদের জন্য?
জায়ান্টদের গলায় নেকলেস দেখা যাচ্ছে।
তাহলে কি অনুমেয় নয় জায়ান্টদের জন্য বড় আকৃতির নেকলেসের প্রয়োজন ছিল।
ওবলিস্ক ও তার পাশে জায়ান্ট।
উচ্চতার সঠিক অনুপাতেই জায়ান্ট ও ওবলিস্ক আঁকা হয়েছে।
এখানেও মূর্তি ও জায়ান্টদের আকৃতির অনুপাত নিশ্চিতভাবেই চিত্রিত হয়েছে।
শক্তির দম্ভঃ
আ’দ জাতি তাদের শক্তির বড়াই করত।
যদি আ’দ জাতি আল্লাহর প্রতি ঈমান আনত, তাহলে তারা আরো শক্তিশালী হতে পারত।
আর আ’দ সম্প্রদায়ের ব্যাপার এই যে, তারা পৃথিবীতে অযথা দম্ভ করত এবং বলতঃ আমাদের অপেক্ষা শক্তিশালী কে আছে? তারা কি তবে লক্ষ্য করেনি যে, আল্লাহ, যিনি তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, তিনি তাদের অপেক্ষা শক্তিশালী? অথচ তারা আমার নির্দেশাবলীকে অস্বীকার করত। (সুরাঃ হা-মীম-আসসাজদাহ ১৫)
আর হে আমার কওম! তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর, অতঃপর তাঁরই পানে নিবিষ্ট হও , তিনি তোমাদের উপর প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন এবং তোমাদেরকে আরও শক্তি প্রদান করে তোমাদের শক্তিকে বর্ধিত করে দিবেন, আর তোমরা অপরাধী হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিয়ো না। (সূরাঃ হূদ ৫২)
অপরদিকে মিশরিয় ফারাও রা শক্তির দম্ভ করেনি। তাদেরকে বলা হয়েছে বিপথগামী, যাদুকর, দূর্নীতিগ্রস্থ ও বিপর্যয় সৃষ্টিকারী।
ফেরাউন ও তার বাহিনী অন্যায়ভাবে পৃথিবীতে অহংকার করেছিল এবং তারা মনে করেছিল যে, তারা আমার নিকট প্রত্যাবর্তিত হবে না। (সূরাঃ কাসাস ৩৯)
নিশ্চয়ই ফেরাউন দেশে পরাক্রমশালী হয়েছিল এবং তথাকার অধিবাসীদেরকে বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত করে তাদের একটি শ্রেণীকে সে হীনবল করেছিল, তাদের পুত্রদেরকে সে হত্যা করত এবং নারীদেরকে সে জীবিত রাখত। নিশ্চয় সে ছিল বিপর্যয় সৃষ্টিকারী। (সূরাঃ কাসাস ৪)
(চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।