জেগে থাকা শ্রদ্ধার নিয়ে ফুলঝুরি, যারা দিয়ে গেছ প্রাণ- সেই ত্যাগ অম্লান বিজয়ের ক্ষণে আজ তোমাদের স্মরি।
গোলমালটা পাকাল তো
ঠোঁট পাতলা ববি,
জোর গলাতে বলল হেঁকে
বালিশ তলায় ছবি।
থমকে সবে চাইল ফিরে
ছবির কিবা দোষ,
ববির হাতের নাড়া দেখে
ফিরে পেল হুঁশ।
তার হাতেতে পাচ্ছে শোভা
একটা রঙ্গিন ছবি,
দাঁত খেলানো হাসি দিয়ে
দিচ্ছে যেন দাবি।
আমি তখন বইটা হাতে
হাসছি মিটিমিটি,
ঝন্টুটা ঐ কোণায় বসে
হেসেই লুটোপুটি।
মন্টু কপাল কুঁচকে বলে
কোথায় পেলি এটা,
কে পেলরে ও সুন্দরী
কপাল মোদের ফাটা।
ববি চোখের কোণা দিয়ে
আমার দিকে চায়,
তার মানে ঐ ছবির হদিস
আমার বালিশটায়।
সেন্টু বলে ডাকব আমি
মিষ্টি করে ভাবী,
পেশ করিতে তারপরেতে
হাজার খানেক দাবী।
মন্টু বলে আপা ডাকাই
সবচে হবে ভালা,
চাহিদাও কম হবেনা
হব যখন শালা।
কক্ষজুড়ে চলছে শুধু
হৈহৈ রৈরৈ,
কেউবা ধরে কানটি চেপে
মিষ্টি মোদের কৈ।
বলতে আমি চাইছি তবু
কে শোনে কার কথা,
ববিটা কয় গলা ছেড়ে
তোর কি মাথাব্যাথা।
রহস্যটা খুলেই বলি
ছাড়া পেতে জান,
ঝন্টুটা আর আমি মিলে
করছি একটা প্ল্যান।
নিমের মাজন বাজারজাতের
কারখানাটি দিয়ে,
যদি কিছু আয় করা যায়
এই ভাবনা নিয়ে।
বোতলজাতের লেবেল নিয়ে
কী করা যায় বল,
ঝন্টু বলে ছবি একটা
নিয়ে আসি চল।
ঝন্টু আসে ছবি নিয়ে
তেলেগু না তামিল,
দাঁত খেলানো হাসি দেখেই
পেয়ে গেলাম মিল।
বালিশ তলা খুঁজে ববি
পেয়ে গেল ছবি,
বইয়ের পাতায় মুখ লুকোলাম
কে হল কার ভাবী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।