আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রাচীন মিশরের পিরামিড তৈরির ভিন্নধর্মী কেচ্ছা কাহিনী-৫

...


১ম পর্ব
২য় পর্ব
৩য় পর্ব
৪র্থ পর্ব

(পুরো সিরিজটিতে অনেক ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। স্লো নেট স্পিড এর কারনে ছবি দেখতে না পারলে- অপেক্ষা করুন। ছবি ছাড়া টেক্সট পড়ে মূল বিষয়টি সহজে বুঝতে পারবেন না)

পিরামিডের ভেতর মমি পাওয়া যায়নিঃ
গিজা’র গ্রেট পিরামিডের ভেতর কোন ধরনের মমি পাওয়া যায়নি। মমি পাওয়া গেছে পিরামিডের পাশের কিং’স ভ্যালিতে। বর্তমান গবেষকরা এর একটা হাইপোথিসিস দাঁড় করিয়েছেন।

প্রাচীনকালে ধন সম্পদের লোভে পিরামিডের ভেতর চুরি হবার ভয় ছিল। তাই মমিগুলো সরিয়ে কিং’স ভ্যালিতে আনা হয়েছে। তার মানে চুরির ভয়ে সুরক্ষিত জায়গা থেকে মমিগুলো সাধারণ গোরোস্থানে আনা হয়েছে? টনকে টন পাথর ভেঙ্গে পিরামিডের ভেতরে সাধারন চোরদের কি প্রবেশ করা সম্ভব ছিল? নাকি সত্যকে অস্বীকার করার অপপ্রয়াস মাত্র?
Click This Link

কিন্তু হঠাৎ করেই একটি পিরামিডে মমি পাওয়া যায়।
Click This Link

পিরামিডটি মাত্র ১৬ ফিট উচ্চতার। আগেই লেখায় উল্ল্যেখ করেছি- ছোট পিরামিডগুলো অন্য কোন জাতির তৈরি হতেও পারে।

তারা হয়তো পিরামিডকে শবাধার হিসাবে ব্যবহার করেছিল।

কিন্তু গ্রেট পিরামিডের গল্প অন্যরকম।


আ’দ জাতির অত্যাচারঃ
আ’দ জাতি ছিল অত্যাচারী যার প্রমান বিভিন্ন দেয়াল চিত্রে পাওয়া যায়।







কোরআনে পাই;
এবং যখন তোমরা (অন্য কারো উপর) আঘাত হান তখন আঘাত হেনে থাক কঠোরভাবে। তোমরা আল্লহকে ভয় কর, আমার আনুগত্য কর।

(সূরা শু’আরা ১৩০-১৩১)

ধ্বংসপ্রাপ্তঃ
কোরআনে দেখতে পাই আল্লাহ আমাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন, যারা শক্তিশালী ও অত্যাচারী ছিল তাদেরকে কিভাবে ধ্বংস করা হয়েছিল।

আমি তাদের পূর্বে আরো বহু জাতি ধ্বংস করেছি যারা ছিল তাদের অপেক্ষা শক্তিতে প্রবল, তারা দেশে –বিদেশে ভ্রমণ করে ফিরতো; পরে তাদের জন্য কোন আশ্রয়স্থল রইলো না। (সূরা ক্বাফ ৩৬)

আ’দ জাতি তাদের শক্তিমত্তা নিয়ে দম্ভ করত। আল্লাহ তাদেরকে মিথ্যা প্রমাণিত করলেন। তাদেরকে ও তাদের শহরকে ধ্বংস করে দিলেন।

সাত রাত ও আট দিন বিরামহীনভাবে বয়ে চলা ঘুর্ণিঝড় পুরো শহরকে বালির নীচে চাপা দেয়।

আর আ’দ সম্প্রদায়, তাদেরকে ধ্বংস করা হয়েছিল এক প্রচন্ড ঘুর্ণিঝড়ের দ্বারা। যা তিনি তাদের উপর প্রবাহিত করেছিলেন সাত রাত ও আট দিন বিরামহীনভাবে, তুমি (সেখানে থাকলে) সেই সম্প্রদায়কে দেখতে খেজুর কান্ডের ন্যায় সেখানে পড়ে আছে। (সুরা হাককাহঃ ৬-৭)

আর যখন আমার (শাস্তির) হুকুম এসে পৌছল তখন আমি হূদকে (আঃ) এবং যারা তার সাথে ঈমানদার ছিল তাদেরকে স্বীয় অনুগ্রহে রক্ষা করলাম, আর তদেরকে বাঁচিয়ে নিলাম অতি কঠিন শাস্তি হতে। (সূরা হূদঃ ৫৮)


মনে হয় হঠাৎ করেই কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল


একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়? শ্রমিকদের কোথাও চলে যেতে হয়েছিল? তারা কি হঠাৎ করেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল?

চিরস্থায়ীত্বঃ
প্রায় ৪৫০০ (বা তারো বেশী?) বছর ধরে গ্রেট পিরামিড ছিল পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়া।

এখনো পিরামিড, বিভিন্ন প্রাসাদ, ওবিলিস্ক, মূর্তি প্রাচীন নিদর্শন হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে।

Recent geological studies indicate that the Great Pyramid and the Sphinx may be at least 10,000 years older than traditional scholars have thought.

আর তোমরা প্রাসাদ নির্মান করেছ এই মনে করে যে, তোমরা চিরস্থায়ী হবে। ” (সূরা শুআ’রা ১২৯)

H.E. Licks, mathematician states: "So mighty is the Great Pyramid at Gizeh and so solidly is it constructed that it will undoubtedly remain standing long after all other buildings now on Earth have disappeared."

কোরআন মতে ফেরাউন নির্মিত কীর্তিকলাপ ও স্থাপনা সম্পূর্ণরুপে ধ্বংস করা হয়েছে। তাই বর্তমান পিরামিড তাদের তৈরি তা ভাবা যায় না।

আর ফেরাউন ও তার সম্প্রদায়ের নির্মিত কীর্তিকলাপ ও উচ্চ প্রাসাদ সমূহকে আমি ধ্বংস করেছি।

(সূরা আ’রাফ ১৩৭)
“And we destroyed completely all the great works and buildings which Fir‘aun (Pharaoh) and his people erected.” (Al Aaraf: 137)

বর্তমান বিজ্ঞান ও গবেষকগনঃ
এই যে প্রাচীন মিশরে জায়ান্টদের পক্ষে এত তথ্য, উপাত্ত আর তাদের অস্তিত্ব বিশ্বাস করার মতো যুক্তি- তারপরও কি গবেষক, ইতিহাসবিদ ও বর্তমান বিজ্ঞান এতে অবগত নয়?

আমরা খুব সহজেই হিমালয়ের মানুষসদৃশ বিগফুটের কথা বিশ্বাস করি, কিন্তু জায়ান্ট মানুষের কথা ভাবতেও পারি না।

আমার মতে বর্তমান গবেষকরা সচেতনভাবে এটা এড়িয়ে চলছেন। জায়ান্ট কাহিনী বিশ্বাস করলে তাদেরকে অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। যার গোছানো উত্তর এখন পর্যন্ত গবেষকদের কাছে নাই।
ডারউইনবাদ মুখ থুবরে পড়বে, ইসলাম ধর্ম প্রাধান্য পাবে, নাস্তিক্য হুমকীর সম্মুখিন হবে।

বর্তমান কালের ইহূদীতন্ত্র কি তা চাবে?



নোটঃ এর বাহিরে আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকলে, তার উত্তর আপনাদেরকেই খুঁজে নিতে হবে। আমার দৌড় এই পর্যন্তই।
সূত্রঃ ইন্টারনেটের বিভিন্ন জার্নাল, ইউটিউব, পবিত্র আলকোরআন।

(আপাতত শেষ)
 

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।