কারা যেন লিখছে পান্ডুলিপি ললাটের ক্যানভাসে আকঁছে ব্যবচ্ছেদ বিকলাঙ্গ শরীর ,চোখ ,হাত , পা , মুখ- মুখশ্রী ,তলপেট, ঊরু , ঠুকরে খাওয়া হৃদয় । ব্যধি নয় ,ব্যধিবোধ কুরে খায় আমাদের সময় ।
হবেনারে সুজন কামনা হেরিলি যবে,
বিকিকিনি বাজারে কাঞ্চন বৈভবে।
সোনার প্রতিমা যায়
বাঁশের পিঞ্জরে তায়
কি করে কি করে রাখিবি ধরিয়া তবে........?
রাজা বালকের একটা চিঠি এসেছিল। বিশ্বামিত্রের আঁচল খসানো মেনকার ভঙ্গুর কথা ছিলনা, তুষার ধ্বসের পরে শিশির ভেজা লাউফুলের রঙে পালক খসা ফোটা লহু -লহরী নয়, শীত সদ্য লাল বাস্পের কুহেলি সন্ন্যাস ঝুলিয়ে এনেছিল মাঝ বয়সী ডাহুকের রাত, ইচ্ছামৃত পালক পিতার না পারা না পারা নিশ্বাস ভাঙ্গা চারিটায় তৃণশুন্য বিমুখ গাভীর পায়রা বন্দি কথা ছিল অন্তর পোকা যাতনার ভীরে! জেদি লক্ষীন্দর, তোর রাজাবলি রূপকথা ছেলেবেলা - ছেলেখেলা নয়! সত্যি! অন্তত পাখির চোখে বুলিয়ে যাও চোখ, ভীনদেশি বর্ণমালার আত্মস্থ কালো কালো আখরোট! ও ও ও ও ও বালক রাজা! তোর সীতা বনবাসের বেহালা চিরকুট! মাটিতে লেখা ছিল যেসব বোবা মনস্তাব
" কোন এক সোনা ঝরা নদীর তটে, দুপুর রোদে কিংবা রাত ভোরে দেখা মেলে তার, যার আঙ্গুল মধ্যবর্তী কালো আঁধার মূঠোবন্দি হয়ে ঝরে পরে ঊষার নীলে, গল্পের নদীতে তখন কবিতার স্রোতধারা।
আবার কখনো ভাটার টানে জলের রেখা ভরে বালিতে নিখাদ কাব্য গল্প। সে এক বাজিগর,আমার পথের - কথার - দিগন্তের। "
এতটুকু কথা, বোঝা যায় নি অন্তর্বর্তী আয়াসের নেই আছে ভাবনায়, রাজপথে সিংহাসন
পেতেছিল এক পোড়া ভাগ্যের নিশিগন্ধা। ও রাজা ঘুমিয়ে পড়েছিল খেয়ালি চাদিনায়, থেঁতো ঘাস, মৃত ফসলের বুকে! একেক সন্ধায় কাকতাড়ুয়ার তৃষ্ণা ভেঙ্গে মেঘ ঘুম কালো আঁধারের সঁপসঁপে পিচে ছড়িয়ে রেখেছিল ভাঙ্গা শহরের টুকরো ছবিদের। চলছবি নয়, ওতো ঘুঘু বালকের চনমনে বিষণ্ন দুপুর, বাঁশঝাড়, বাঁশপাতা ভাঙ্গা রোদ নিয়ে উনুনের বুকে খসে পড়া বহুবার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।