It's my fundamental right to oppose.
১৯৭১ এ ৩০লক্ষ মানুষ শহীদ হোলো। ৯৫,০০০ হাজার খুনী হানাদার ধরা পড়লো, বিচার হোলো না। হাজারে হাজারে খুনীর সহযোগী পাওয়া গেলো, ধরা হোলো না, বিচার হোলো, বিভ্রান্তিমূলক ক্ষমা মঞ্জুর করা হোলো, বিচার হোলো না।
১৯৭৫এ মহামানব শহীদ হোলো। এই খুনের প্রেক্ষাপট যারা তৈরী করেছিল, সেই আওয়ামী লুটেরা মন্ত্রী, এম পি দের পরবর্তীতে কোনোই দায় নিতে হোলো না।
আওয়ামী মন্ত্রী রিলিফ চোর গাজী গোলাম মোস্তফার চুরি কিংবদন্তীতে রুপ নিয়েছিল। স্বয়ং বঙ্গবন্ধূ পর্যন্ত আক্ষেপ করলেন, ৭ কোটি কম্বল (তখন জনসংখ্যা ৭ কোটি ছিল) রাশিয়া থেকে এলো, আমার ভাগের কম্বলটা কই?। গাজী গোলাম মোস্তফার দৃষ্টান্ট মুলক কোনো সাজা দেখলাম না। আমীর হোসেন আমু লবন কেলেংকারীতে জড়িত ছিল। লোকে বলতো, আমু সব খামু।
কোনো তিরস্কার, শাস্তির কথা তারা ভুলে গেলো। শেখ কামালের সাথে বন্ধুত্বের সুযোগে তাঁর বন্ধুরা সীমাহীন দৌরাত্ম করলো, এমনকি কামালের গাড়ী ব্যবহার করে ব্যাংক লুটের চেষ্টা করলো, যেটা সবাই মনে করেছিল স্বয়ং শেখ কামাল লুটের চেষ্টা করেছিল, তার তদন্ত / বিচার হোলো না। সফিউল আলম প্রধান তঃকালীন ছাত্রলীগের নেতা ৭টি খুন করে এখনো রাজনীতি করে। এমনি অনেক অনাচারের ফয়সালা জনমানুষ পায়নি।
সুযোগ সন্ধানী, নিজ পদে ক্ষুধ্ব মেজর জেনারেল জিয়া ষড়যত্রের সমস্ত কার্য কলাপ নির্লিপ্ত ভাবে নিজের চোখের সামনে ঘটতে দেখলেন, কোনো হস্তক্ষেপ করলেন না।
জাতিসংঘে পাক সামরিক জান্তার মুখপাত্র ছিলেন মেধাবী ছাত্রনেতা শাহ্ আজিজ। দেশের বিরু্দ্ধে জাতিসংঘে প্রতিনিধিত্ব করলেন। তাঁর বিচার হোলো না, উল্টো পুরস্কার হিসেবে যে দেশ তিনি চাননি দেশের প্রধানমন্ত্রী হলেন।
যাদু মিয়া দেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিলেন, হলেন জিয়ার উপদেষ্টা। (এ তথ্যটা পরিস্কার মনে নেই)।
মেজর জেনারেল সফিউল্লাহ্ , পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র নপুংশক সর্বাধিনা্য়ক। তাঁর অর্পিত দায়িত্ব পালনে ভয়াবহ ভাবে ব্যর্থ হলেন, ব্যবস্থা নেয়া হোলো না। উল্টো পুরস্কার হিসেবে দীর্ঘ যুগ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হলে বিদেশে নিরাপদে আসীন থাকলেন। তরক্কী হোল, বিচার হোলো না, আরো পরিহাস, চাকুরী জীবন শেষ করে দেশে ফিরে যে আওয়ামী লীগের পিঠে ছুরি মেরেছেন, সেই আওয়ামী লীগের এম পি হলেন।
জিয়া নিহত হলেন, তা্ৎক্ষণিত যাকে সামনে পাওয়া গেলো তাকেই সা্থে সাথে শ্যূট অথবা দড়িতে ঝুলিয়ে দেয়া হোলো।
আজও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোলো না, কেন ঐ ঘটনা ঘটেছিল। জিয়া পরিবারও রহস্যজনক ভাবে তদন্ত / বিচার না চেয়ে আজও নিশ্চুপ। রহস্যজনক ভুমিকার ডাঃ বদরুদোজ্জার বিচার হোল না। আরও আরও মন্ত্রী যারা কোন্দলে লিপ্ত ছিল, যাদের কোন্দলের কারনে, কোন্দল মিটাতে চট্টগ্রামে গিয়ে নিহত হলেন জিয়া তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দল বা জাতি ভুলে গেলো।
এরশাদ।
আহা এরশাদ।
দেলোয়ার, নূর হোসেন, ডাঃ মিলন ... আরো আরো মৃত্যুর হুকুমের আসামী হিসেবে সহজেই দড়িতে ঝুলে যায় এরশাদ। নাহ্, এ বাংলায় কোনো অনাচারেরই বিচার হয় না।
দূর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিয়েছেন এরশাদ। এই যে দূর্নীতি আজ সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে, তার উদ্ববোদন তাঁর আমলে।
দূর্নীতিকে উৎপাটণ করতে হলে তাঁর আমল থেকে শুরু করতে হবে। কিন্ত তা হয় না, হবে না। মনে পড়ে, তাঁর সময় কালে যে আকারে বাজেট পেশ হোত তার অর্ধেক তিনি নিজেই হজম করেছেন। বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা "ফোবর্স" তাঁর হদিশও দিয়েছে। সুইস ব্যাংক ও সুইস সরকারের অসহযোগীতার কারনে তা হস্তগত করা যাচ্ছে না ।
এর মীমাংসা হয নি। চিনি চোর জাফর বহাল তবিয়তে।
বেগম খালেদা সুযোগ্য পুত্রধনদের দূর্নীতির ফয়সালা হয় না। গডফাদার র্মীজা আব্বাস, পল্টিবাজ মওদুদ আহমেদ (বলা হয় তার কারনেই ১/১১র সৃষ্টি), কালপ্রিট সাকা চৌধুরী, কমিশন খোর ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদা, ১০ জনমের ধন সঞ্চয় করা সাদেক হোসেন খোকা ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক অনেক মুখ দলে আশ্রয়ে আছে প্রশয়ে আছে এদের কর্মকান্ডের বিচার পরকালের হাতে ছেড়ে দিতে হয়েছে। এই দল, এই জাতি, এই রাষ্ট্র তাদের কোনো বিহিতই করে না।
হাসিনা ওয়াজেদ, শুধু মাত্র এক আবুলকে বাচাঁতে গিয়ে দক্ষিণ বঙ্গের ৪ কোটি মানুষের কপালে উষ্টা মারেন। কোনো বিচার নেই। ভারতের দালাল উপদেষ্টা মশিউরের পরামর্শে বিনা পয়সায় ট্রানজিট দিয়ে গোয়া মারা খাই। আরেক মাল্টিন্যাশনালের দালাল তৌফিক এনাম চৌধুরীর পরামর্শে তেল, গ্যাস, বিদ্যূত অব্যবস্থায় পড়ে যায়। কোনো প্রতিকার হবে না।
পাঠক আরো আরো নাম যোগ করতে পারেন। কিন্তু প্রতিকার পাবেন না।
আগামীতে যে সরকারই আসুক আবার র্দূনীতি, আবার পার পেয়ে যাওয়া।
রাষ্ট্রের সুস্থিতি হয় না , হবে না। সুবিচার, ন্যায় বিচার অথবা বলা যায় নিয়তির মাইর ঐসব কূলীশবদের ছোয় না।
রাজা আসে রাজা যায়।
পাপীরা বেচেঁ যায়, থেকে যায়।
পাদটীকাঃ
বাংলার প্রাচীণ গল্প।
দু বন্ধু ভাগ্য অন্বেষনে অজানা জনপদে হাজির। আহারের সন্ধানে নগরের বাজারে উপস্থিত হোলো।
বাজারে খাদ্য দ্রব্য বেজায় সস্তা। এক বন্ধু কিনলো মুড়ি, আরেক বন্ধু মুড়কি। দাম দিতে গিয়ে দেখলো মুড়ি মুড়কি এক দর। দাম সস্তা দেখে এক বন্ধু থেকে গেলো এই জনপদে। আরেক চলে গেলো এই বলে, যে দেশে মুড়ি মুড়কি এক দর সে দেশে আর যাই হোক ইনসাফ নেই।
রয়ে যাওয়া বন্ধুটা এক সকালে রাজার পেয়াদা কর্তৃক গ্রেফতার বানিজ্যে ধরা পড়ে বিনা দোষে সোজা শূলে।
শূলে চড়তে চড়তে বন্ধু হূদয়ঙ্গম করলো, যে দেশে মুড়ি মুড়কি এক দর, সে দেশে ইনসাফ নেই।
বন্ধুরা, রাষ্ট্র তেমন হতে চলেছে। অতীত কর্মকান্ডের জন্য কারো বিচার হবে না, ভবিষ্যৎ কর্মকান্ডও একই ধারায় চলবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।