হুংগা............হুংগা............
দশম সংসদের অধিবেশনে খালেদা জিয়াকে এই ভূমিকায় আর দেখা যাবে না। নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বিরোধীদলীয় নেতার পদের পাশাপাশি মন্ত্রীর পদমর্যাদায় পাওয়া সরকারি সুযোগ-সুবিধাও হারাবেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে খালেদা জিয়ার জন্য প্রযোজ্য সুযোগ-সুবিধা বাতিল করা হবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী সাংসদদের শপথ অনুষ্ঠিত হবে। এর পরপরই সরকার গঠন হবে।
১৯৯১ সালের পর থেকে খালেদা জিয়া হয় প্রধানমন্ত্রী, না হয় বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করে এ ধরনের সরকারি সুযোগ-সুযোগ পেয়ে আসছিলেন। কিন্তু এবার বিরোধী দলবিহীন একতরফা নির্বাচনে খালেদা জিয়া অংশ না নেওয়ায় এ ধরনের সরকারি সুবিধার বাইরে চলে যাচ্ছেন।
জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার পদটি একজন পূর্ণমন্ত্রীর পদমর্যাদার। বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধাও মন্ত্রীর মতো পান। তাঁকে ঢাকা মহানগর পুলিশ থেকে একজন হেড কনস্টেবল, একজন নায়েক ও ছয়জন কনস্টেবলসহ মোট আটজন হাউস গার্ড দেওয়া হয়।
এর বাইরে বিশেষ শাখা (এসবি) থেকে দুজন গানম্যান পালাক্রমে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন। পুলিশ জানিয়েছে, বর্তমানে যেহেতু তিনি বাসার বাইরে বের হচ্ছেন না, তাই পুলিশ প্রটেকশন উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে এসবির গানম্যান রয়েছে।
বিরোধীদলীয় নেতা সরকারি একজন একান্ত সচিব (পিএস), একজন সহকারি একান্ত সচিব (এপিএস), দুজন ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, একজন বাহক, দুজন এমএলএসএস ও একজন বাবুর্চি পেয়ে আসছিলেন। গাড়ির সুবিধাও পেয়ে থাকেন বিরোধীদলীয় নেতা।
তবে খালেদা জিয়া সরকারি বাসায় থাকেন না।
বিরোধী দলের প্রধান বেতন পান ৫৩ হাজার ১০০ টাকা। এ ছাড়াও চিকিৎসা, ভ্রমণসহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও সুবিধা পেয়ে থাকেন। বিরোধীদলীয় নেতার পদ হারানোর ফলে খালেদা জিয়া এসব সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন।
তবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, সরকার চাইলে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে খালেদা জিয়াকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা দিতে পারে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।