শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বে রাজধানীর শাহবাগ থেকে নয়টি বাসে করে এই রোডমার্চ শুরু হয়।
যাত্রা শুরুর আগে ইমরান সাংবাদিকদের বলেন, “সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আমাদের দীর্ঘমেয়াদী আন্দোলনের অংশ হিসেবে এই রোডমার্চ শুরু হচ্ছে। আমাদের এ আন্দোলন চলবে। ”
দেশের অন্য যেসব স্থানে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে- সেসব জায়গায় কীভাবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে সংগঠিত করা যায়, মার্চ থেকে ফিরে সে বিষয়ে গণজাগরণ মঞ্চ কাজ করবে বলেও জানান তিনি।
রোডমার্চের সময় মঞ্চের কর্মীদের ওপর হামলার আশঙ্কা করছেন কি-না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “এর আগেও সাম্প্রদায়িক শক্তি গণজাগরণ মঞ্চের ওপর হামলা চালিয়েছে।
আমরা হামলার তোয়াক্কা করি না। নিরাপত্তা নিয়ে র্যাব, পুলিশকে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছি। তারা আমাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে। ”
মঞ্চের অন্যতম সংগঠক মাহামুদুল হক মুন্সী জানান, যশোরের মালোপাড়ায় হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে বিতরণের জন্য তারা কিছু শীতবস্ত্র ও অর্থ সংগ্রহ করেচেন। সেসব সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
গত ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু ধর্মালম্বী সংখ্যালঘুদের উপর হামলা ও লুটপাট চালানোর পর মঙ্গলবার প্রথম রোডমার্চ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় গণজাগরণ মঞ্চ।
প্রথম পথসভাটি হবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি ফার্ম গেটে। এরপর মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে, ফরিদপুর শহরের জনতা ব্যাংকের মোড়ে সমাবেশ হবে।
বিকালে ফরিদপুরের মধুখালীতে মধুবন মার্কেটের সামনে এবং মাগুড়া পৌঁছে খানপাড়া বটতলায় পথসভা করবে গণজাগরণ মঞ্চ।
রাতে যশোর পৌঁছে শেষ হবে রোড মার্চের প্রথমদিন। সেখানেই রাত কাটাবেন মঞ্চের কর্মীরা। শনিবার সকাল ৮টায় তারা যাত্রা করবেন অভয়নগর উপজেলার সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস কবলিত মালোপাড়ার উদ্দেশ্য।
সেখানে পৌঁছে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পযর্ন্ত মালোপাড়া এলাকার আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন, আক্রান্ত মানুষদের সঙ্গে মতবিনিময়, সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস রোধে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে স্থানীয় জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধকরণ এবং দুর্গত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করার ইচ্ছার কথাও জানিয়েছেন ইমরান।
সবশেষে ফেরার পথে যশোর চিত্রামোড়ে আরেকটি সমাবেশ করবে গণজাগরণ মঞ্চ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।