সত্য পথের অনুসন্ধানি
আনু মুহাম্মদ সাহেবের লিখাটা পড়লাম । অনেক গুলা বিষয়ের সাথে একমত কিন্তু তিনি যে বিষয়টা টাস করেননি সেটা হলো মুক্তিযুদ্ধের ভালো ব্যবসাদার কে হতে পারে বা হবে বা হবার সম্ভাবনা সেটা বলেননি।
এই যে আমি মুক্তিযোদ্ধোত্তর প্রজন্ম- আমি যে একজন মুক্তিযুদ্ধার শীতের মধ্যে লুঙ্গি পড়া আর সেন্ডু গেঞ্জি পরা ছবি কাঁদায় সেটাতো আওয়ামীলীগই শিখিয়েছে। "একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে" "রক্তে আগুন"
"জয় বাংলা বাংলার জয়" গান গুলা যে আমাকে আওয়ামীলীগের ৫৩৭ টেপ রেকর্ডার থেকেই বেঁজে ওঠতো এবং এখনো ওঠে।
মুক্তিযুদ্ধ কারো একার নয় সেটা মানলাম! কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের বিষয় গুলা নিয়ে অন্যদল গুলা খুব একটা মাথা ঘামান না।
মুক্তিযুদ্ধকে কেউ কি নিজেদের মধ্যে আপন করে নিয়েছে? মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রসারে প্রচারে কেউ কি আওয়ামীলীগের চেয়ে বেশী অবদান রেখেছে বা রাখছে?
এরশাদের আমলে এবং খালেদা জিয়ার আমলে পাঠ্য বইয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের কোন জায়গায় গোলাম আজমের নাম ছিল না। সেটাতো কখনো কেউ বলেনি?16ই ডিসেম্বর 26শে মার্চ আওয়ামীলীগের কার্যক্রমের চেয়ে কে বেশী কার্যক্রম হাতে রাখে? জীবন বাঁচায় ঔষুধ। তাই খাঁটি ঔষুধ শিল্প তৈরী করা অথবা ঔষুধের দোকান গুলো শুধু মাত্র ব্যবসা প্রতিষ্টানই নয় এক প্রকার সেবাও। মুক্তিযুদ্ধের কবর খোঁড়কদের চেয়ে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কেউ যদি ফেরীও করে(বিনিময়ে ভোট চায়) প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম সে অনেক ভালো।
মুক্তিযুদ্ধের দালালের চেয়ে একজন ফেরীওয়ালা অনেক ভালো।
অন্তত ফেরীওয়ালার থলেটা মাঝে মাঝে আমাদেরকে একাত্তরে নিয়ে যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।