শশুরবাড়ী ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে গেছেন মুকেশের বউ। অপরাধ- অল্প বেতনের চুক্তিভিত্তিক চাকরিটি হারিয়েছেন তাঁর স্বামী। চাকরি ফেরত পেলে তবেই স্বামীর ঘরে ফেরা হবে তার। নিরুপায় হয়ে মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়েছেন মুকেশ। তার ধারণা- মুখ্যমন্ত্রীর একটা ফোনই তার চাকরিটি ফিরিয়ে দিতে পারে।
জোড়া লাগিয়ে দিতে পারে তাদের ভাঙা সংসার।
আজ সোমবার টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, মুকেশ যাদব ২০০৭ সাল থেকে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। পূর্ব নোটিশ ছাড়াই গত বছর তাঁর চুক্তিভিত্তিক চাকরিটি চলে যায়। এ কারণে তাঁর স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যান। যাদবের দাবি, চাকরিটি ফিরে পেলে তাঁর স্ত্রী ফিরে আসবেন।
তাই তিনি দারস্থ হয়েছেন নতুন মুখ্যমন্ত্রীর। অপেক্ষা করছেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাসভবনের বাইরে। মানুষটির সঙ্গে একটিবার দেখা হলেই এ প্রত্যাশার কথা জানাবেন তিনি।
গত শনিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের জনতার দরবার ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে সাহায্য পাওয়ার আশায় সেখানে গিয়েছিলেন যাদব।
সেখানে সাক্ষাৎ পেতে ব্যর্থ হয়ে গতকাল রবিবার সকালে কেজরিওয়ালের বাসভবনের সামনে হাজির হন তিনি।
যাদব জানান, দুই হাজার ২০০ রুপি বেতনে চাকরিটি শুরু করেছিলেন তিনি। কয়েক বছর পর বেতন বাড়ে। কিন্তু গত বছর চুক্তিভিত্তিক চাকরিটি চলে যায়। প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তি জানিয়ে দেন, তাঁকে (যাদব) আর তাঁদের দরকার নেই।
যাদবের চার বছর বয়সী একটি সন্তান আছে। কিন্তু চাকরি ছাড়া সংসার চালানো তাঁর পক্ষে অসম্ভব। এ জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ধরনা দিতে এসেছেন।
যাদব সেখানে কয়েক ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করেন। তবে মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পেতে ব্যর্থ হন।
শুধু যাদব নন, শনিবার জনতার দরবারে কেজরিওয়ালের সাক্ষাৎ পেতে ব্যর্থ হয়ে শত শত মানুষ গতকাল সকালে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে জড়ো হন। তাঁরা সবাই দিল্লির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চুক্তিভিত্তিক চাকরি করেন। চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে তাঁরা নয়া মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।