আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘অবৈধ’ ভোটের হালচাল বিএনপি জানাল কূটনীতিকদের

বিএনপিবিহীন নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা নতুন সরকার গঠনের পরদিন বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি নেতারা।

নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনার মধ্যে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, “জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কোনো ধরনের চাপের কাছে শেখ হাসিনা মাথা নত করে না। ”

সোমবার বিকালে গুলশানে হোটেল হেরিটেজে বৈঠকে ঢাকায় কর্মরত ৩৪টি দেশের কূটনীতিকদের কাছে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বিষয়ে পর্যালোচনামূলক প্রতিবেদন তুলে ধরে বিএনপি।

বৈঠকের পর বিএনপির সহসভাপতি শমসের মবিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “দলের আমন্ত্রণে রাষ্ট্রদূতরা এখানে এসেছিলেন। নির্বাচনের বিষয়ে আমরা রাষ্ট্রদূতদের অবহিত করেছি।

প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে ভোটগ্রহণের সময় কেন্দ্রের ভোটারের অনুপস্থিতি, জাল ভোট দেয়া, ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ভিডিওসহ তথ্যচিত্র কূটনীতিদের দেয়া হয়।

বৈঠকের যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা, কানাডার হাইকমিশনার হিদার ক্রুডেন, জার্মানির রাষ্ট্রদূত আলবার্ট কোনসে, ইউরোপীয়ন ইউনিয়নের মিশন প্রধান উইলিয়াম হানাসহ অন্তত ২৪টি দেশের রাষ্ট্রদূত কিংবা হাইকমিশনার এবং ভারত ও পাকিস্তানসহ ১০টি দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

গাইবান্ধা সদরের মুন্সীপাড়া কেন্দ্র। ভোটের দিন দুপুরেও ছিল তা ভোটারশূন্য।

ড্যান মজীনা সাংবাদিকদের বলেন,দশম সংসদ নির্বাচনে তারা হতাশ হয়েছেন।

ওই নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ তাদের মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে পারেনি।

বিএনপি অবরোধ প্রত্যাহার করায় সন্তোষ জানিয়ে তিনি বলেন, এতে সংলাপ অনুষ্ঠানের পথ উন্মুক্ত হল। এখন সরকারকে সংলাপের সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

সহায়ক পরিবেশ বলতে বিরোধী দলের কার্যালয়ে যেত বাধা না দেয়া, নেতাদের মুক্তি দেয়া, বিরোধী দলকে কর্মসূচি পালনের সুযোগ দেয়াকে বুঝিয়েছেন রাষ্ট্রদূত।

উইলিয়াম হানাও বলেন,বিরোধী দল অবরোধ প্রত্যাহার করায় সংলাপের একটি ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।

এখন সরকারেরই উচিৎ পরিবেশ তৈরি করা।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,বাংলাদেশের জনগণ চাইলে সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতার মধ্য দিয়ে সব দলের অংশগ্রহণে নতুন একটি নির্বাচন হতে পারে।

বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান, সাবিহ উদ্দিন আহমেদও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ও ছিলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন আহমেদ।




সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.