আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর বিষ যার নেই কোনো প্রতিষেধক

রহস্য

মাঝে মাঝেই আমরা নানা সায়েন্স ফিকশন গল্প অথবা সিনেমায় দেখেছি- ‘বিজ্ঞানীরা তাদের ল্যাবে ভুল্ক্রমে এমন কোনোকিছু তৈরী করলেন যার ফলে আক্রান্ত হলো গোটা মানবজাতি...’। আশঙ্কাজনক হলেও সত্য- এমন কাহিনী এখন আর বইয়ের পাতায় কিংবা রুপালী পর্দায় আটকে নেই। বরং বাস্তবেই বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন এমন এক বিষ যাকে বলা হচ্ছে ‘বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর বিষ’। তবে আরো ভয়ের কথা হলো- ‘এখনও আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি এর কোনো প্রতিষেধক’। চলুন জানা যাক বিস্তারিতঃ



সম্পূর্ণ নতুন এক ধরণের বটুলিনাম টক্সিনের সন্ধান পেয়েছেন Sacramento-তে অবস্থিত California Department of Public Health-এ স্টিফেন আর্নন এবং তার সহকর্মীরা।

তারা এ বছরের অক্টোবর মাসের শুরুর দিকে এই Clostridium Botulinum থেকে তৈরী ৮ম বিষাক্ত পদার্থটির সন্ধান পেলেন, যার নাম দেয়া হয়েছে Type H। আর এর নমুনাটি পাওয়া গেছে বটুলিজমে আক্রান্ত এক শিশুর মুখ থেকে।

ক্যালেন্ডার আর ইতিহাসের পাতা ওল্টালে দেখে যাবে, Type H আবিষ্কারের আগ পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা বটুলিনাম টক্সিনের মোট ৭টি প্রকারভেদের সন্ধান পেয়েছিলেন। এরা হলো- A, B, C1, D, E, F এবং G। এদের মাঝে সর্বশেষটির সন্ধান পাওয়া void(1);গিয়েছিলো ১৯৭০ সালে।

এদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যও প্রকাশ করা হয়েছিল বিভিন্ন জার্নালে কারণ এদের প্রতিষেধক খুঁজে পাওয়া গিয়েছিলো।
কিন্তু বিপত্তি বাধলো এই Type H কে নিয়ে। বিজ্ঞানীরা এখনও এই নতুন বিষাক্ত পদার্থটির কোনো প্রতিষেধক খুঁজে বের করতে সমর্থ হননি। আর এই Type H এর ক্ষমতা কতটুকু তা শুনলে আপনি নিজেই চমকে যাবেনঃ

“একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের শরীরে এই Type H এর ১ গ্রামের ২ বিলিয়ন ভাগের ১ ভাগ ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রবেশ করালে কিংবা তিনি নিঃশ্বাসের মাধ্যমে ১ গ্রামের ১৩ বিলিয়ন ভাগের ১ ভাগ গ্রহণ করলে তার মৃত্যু নিশ্চিত...”

কিন্তু কিভাবে কাজ করে এই Type H?

এই বিষাক্ত পদার্থটি আমাদের স্নায়ুকলা থেকে নিঃসৃত Acetylcholine-কে নিঃসরণে বাঁধা দেয় যা আমাদের পেশীগুলোকে কাজ করতে সহায়তা করে। আর যে ব্যাক্তি এর দ্বারা আক্রান্ত হন, তিনি প্যারালাইসিসের কারণে মৃত্যুবরণ করেন।



এখন আসলেই আমরা দাঁড়িয়ে আছি এক সংকটময় মূহুর্তের সামনে। এই Type H এর জিন সিকোয়েন্স প্রকাশ না করার মূল কারণ এর কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কৃত না হওয়া এবং কোনো ‘ভূল হাত’-এ পড়ে যাবার ভয়। তাই এখন কেবল অপেক্ষা, বিজ্ঞানীরা কত তাড়াতাড়ি এর প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে পারেন তার জন্য...

তথ্যসুত্রঃ http://www.newscientist.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.