যতোবার আমি শান্তি খুঁজেছি, ঠিক ততোবার আমার মাথায় শুধু একটি চিন্তাই এসেছে। সেটা হচ্ছে একটা ড্রিল মেশিন দিয়ে মাথার খুলিটা ফুটো করে দেওয়ার চিন্তা।
চিঠিটা লিখবার আগে-
একটা লম্বা করিডোর থেমে থাকে; যার শুরু একটা কারুকাজ সমৃদ্ধ দরজায় এবং
এসে শেষ হয়ে যায় একটা নিঃসঙ্গ ড্রয়িংরুমে;
শেষ দেয়ালটা জুড়ে স্বচ্ছ কাঁচ, তাই পুরোটাই হয়ে গেছে বিশাল একটা
জানালা,
এবং শেষ বিকেলেও শুধু আলো আর আলো-
এখানে দাঁড়ালেই আমার মনে হয়, আকাশটাকে একটু ছুঁয়ে দেই। কিন্তু মাঝখানে বাঁধ সাধে
স্বচ্ছ কাঁচ। মাঝে মাঝে আমার এই সরু কার্নিশে পা ঝুলিয়ে বসে থাকতে খুব ইচ্ছা হয়। সেটা কখনো সম্ভব হয়নি। স্বচ্ছ কাঁচেরা আমাকে মনে করিয়ে দেয় কল্পনা এবং বিষাদের পার্থক্য কতখানি।
অতঃপর নোটপ্যাড-
প্রতিদিন আমি দুই-চার পৃষ্ঠার সাথে কথা বলি কলম দিয়ে আঁকিবুঁকি অজস্র দাগ কেটে; যদিও
এই কনভারসেশন ওয়ান ওয়ে- কারন কাগজের তো আর মুখ নেই যে সে কথা বলবে- কাগজের কোন চোখ নেই- কাগজের মন নেই- অনুভূতিহীন; কিন্তু তবুও প্রতিদিন
অবাধ্য প্রলাপ; কিংবা কিছু একান্ত ব্যক্তিগত আলাপ-সালাপ
অথবা ধরা যাক, দীর্ঘদিন গোপন প্রকোষ্ঠে জমে থাকা কিছু
অপ্রকাশিত চিঠি
নামধাম হীন,
অনুভূতি;
চিঠিটা লেখার সময়-
হ্যা, এটা এখন আমিই- ভেতরের অন্য কেউ নয়, বলছি ২৮ তলা টাওয়ার এর উঁচু একটা কাঁচের
ঘর হতে, আমি বললাম কারন- হয়তো বা, আর কিছুক্ষন পর আমি আর আমি
থাকবো না; তবে বদলে যাওয়ার আগে কথার ভারী সিন্দুকটা ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার
বুনো একটা চিন্তা আছে; একারনেই একটা গ্লাস কাটার এনে বিশাল উইন্ডো এর মাঝে আরও একটা উইন্ডো
বানানোই যায়- আহা, কাটাকুটি; শুনেছি এটার নাকি অনেক ধার; এখনো পরখ করে দেখা হয়নি;
তবে আজ বদলে যাওয়ার আগে
অথবা বদলে যাওয়ার সময়
________________শেষ চিঠিটা
যদি লিখি পোস্টবিহীন খামে, তারপর এই আটাশ তলা টাওয়ারের স্বচ্ছ ঘর থেকে
আমি একটা বার ভূমির দিকে তাকিয়ে
অতঃপর টের পাই
অ্যান্টিগ্র্যাভিটি; যা কোনদিনও অনুভব করা হয়নি
আজকের আগে, LSD এর প্রভাবে
আর কথারা ভারী হয়
___________ক্ষণে ক্ষণে
______________তারপর ওরা ঝরে যায়
______________________ওরা পড়ে যায় টুপ করে
________একবার ভূমির টানে
অতঃপর অ্যান্টিগ্র্যাভিটি;
রঙ্গমঞ্চ থেকে বিদায় নেবার সময়-
কি বলবো, কি বলবো না ভেবে সব এলোমেলো হওয়ার আগে এখন
বলি-
তুমি
__এবং একটা
______ বেয়ারিং চিঠিই
সবচেয়ে সুন্দর কম্বিনেশন।
আর কি বলবো সব ভুলে গেছি.........
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।