যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের তুলনায় ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা লাতিন আমেরিকায় কম হলেও এখানে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি বলে ওই প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে।
অসুস্থতার প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করায় অনীহা বা দেরিতে পরীক্ষা এবং সুচিকিৎসার অভাব মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রধান কারন বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
তারা জানান, লাতিন দেশগুলোর নাগরিকদের গড় আয়ু বৃদ্ধির কারণে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু অনেক দেশই পরিবর্তিত এই পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর মতো প্রস্তুতি নিয়ে উঠতে পারেনি।
ব্রাজিলের সাও পাওলোতে অনুষ্ঠিত ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের এক সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে ল্যানচেট অনকোলজিতে প্রকাশিত নিবন্ধটি তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয়, লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নতিতে মানুষের জীবনমানের উন্নতি হয়েছে, উন্নত দেশগুলোর মতো জীবনযাপনে আরো বেশি সংখ্যক মানুষ অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে।
বসে বসে কাজ করার জীবনে অভ্যস্থ হয়ে উঠেছে, অস্বাস্থ্যকর খাবার বেশি খাচ্ছে এবং ধূমপান ও মদাসক্তিও বেড়ে গেছে।
এসব কারণে এবং সূর্র আলোর মধ্যে বেশি সময় থাকা ও কয়লা ধরনের জ্বালানীর ওপর নির্ভরতার কারণে গৃহাভ্যন্তরের দূষণ বৃদ্ধি পেয়েছে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, লাতিন আমেরিকায় প্রতি লাখ মানুষের মধ্যে ১শ’ ৬৩ জন ক্যান্সারে আক্রান্ত, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি লাখে ৩শ’ জন এবং ইউরোপে প্রতি লাখে ২শ’ ৬৪ জন ক্যান্সারে আক্রান্ত।
কিন্তু আক্রান্তদের মৃত্যুর সংখ্যা লাতিন আমেরিকায় অনেক বেশি। প্রতি ২২ জন ক্যান্সার রোগীর মধ্যে এখানে ১৩ জন মারা যায়, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ৩৭ জনে ১৩ জন এবং ইউরোপে প্রায় প্রতি ৩০ জনে ১৩ জন মারা যায়।
গবেষকরা হিসাব করে জানিয়েছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়া অঞ্চলে ১৭ লাখ মানুষের শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়বে যাদের মধ্যে ১০ লাখেরও বেশি মারা যাবে।
লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় দেশগুলোর মধ্যে আর্জেন্টিনা, বাহামা, বলিভিয়া, ব্রাজিল, চিলি, কলাম্বিয়া, কোস্টারিকা, ডমিনিকান রিপাবলিক, ইকুয়েডর, গুয়াতেমালা, ফেঞ্চ গায়ানা, গায়ানা, হন্ডুরাস, হাইতি, মেক্সিকো, নিকারাগুয়া, পানামা, পেরু, পুর্তোরিকো, প্যারাগুয়ে ও এল সালভাদর- এসব দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে গবেষণাপত্রটি তৈরি করা হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।