মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল!
এরিস্টটলের পলিটিক্সের কিছু অংশ --- 'একজন স্বৈরশাসক কেমন হয়'
একজন স্বৈরশাসক ধনীদের কামনা করে আর একজন রাজা সম্মান কামনা করেন। স্বৈরশাসকের প্রহরার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকে ভাড়াটে সৈনিকগণ, আর রাজার প্রহরার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকে তার জনগণ। স্বৈরশাসকগণ প্রায়শঃই বক্তৃতাবাগীশ নেতা হয়। তারা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বিরূদ্ধে অবস্থান গ্রহন করে এবং সাধারণ জনগণকে রক্ষা করার প্রতিজ্ঞা গ্রহন করে ক্ষমতা দখল করে। একজন স্বৈরশাসক অসাধারণ গুণসম্পন্ন কোন ব্যক্তির উত্থানকে প্রতিরোধ করে, প্রয়োজনে তাকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করে অথবা গুপ্তহত্যার ব্যবস্থা করে ।
স্বৈরশাসকের বিরূদ্ধে শত্রুতার মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে এমন যৌথ ভোজনালয়, ক্লাব বা এমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সে নিষিদ্ধ ঘোষণা করবে। তার রাষ্ট্রে কোন সাহিত্য সন্মেলন বা কোন আলোচনা সভার ব্যবস্থা থাকবে না। জনগণ যাতে পরস্পরকে ঘনিষ্টভাবে জানার সুযোগ না পায়, সেই মতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এবং তাদেরকে তার প্রাসাদের বহির্দ্বারে সমবেত হয়ে সময় অতিবাহিত করতে বাধ্য করবে। রাষ্ট্রের গোপন সংবাদ সংগ্রহের জন্যে নারীদের ব্যবহার করবে।
জনগণের মধ্যে যাতে কলহ সৃষ্টি হয় এবং তারা যাতে দরিদ্র ও নিস্বঃ হয়ে যায় সেই ব্যবস্থা সে গ্রহন করবে। মিশরের রাজা যেমন প্রজাদের পিরামিড তৈরীর কাজে ব্যস্ত রাখবে সেইরূপ সে বড় বড় কাজে প্রজাদের ব্যস্ত রাখবে। মেয়ে মানুষ ও দাসদের মধ্য থেকে গুপ্তচর তৈরীর জন্য সে তাদের ক্ষমতা প্রদান করবে। সে প্রয়োজনে যুদ্ধও সংঘটিত করবে যাতে প্রজারা মনে করে যে তাদের করণীয় কিছু কাজ রয়েছে। এতে তারা সর্বদাই একজন নেতার অভাব অনুভব করবে।
সমগ্র 'পলিটিক্স' গ্রন্থে এটি একটি হতাশার প্রতিচ্ছবি। কিন্তু এ ধারনা আজকের দিনে খুবই প্রযোজ্য। এরিস্টটল আরো বলেন যে একজন স্বৈরশাসকের কাছে নীতিবিবর্জিত বা ক্ষতিকর কোন কাজ নেই। নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য তিনি সবকিছুই করতে পারেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।