এই ক'দিন আগে স্বামী শশী থারোরের সঙ্গে পাকিস্তানের সাংবাদিক মেহের তারারের অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ এনেছিলেন সুনন্দা। এরপরই গতকাল শুক্রবার রাতে সুনন্দার লাশ পাওয়া যায় দিল্লির একটি হোটেলে। আর এ নিয়ে টুইটারে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শশীর সেই কথিত বান্ধবী মেহের।
হিন্দুস্থান টাইমস জানায়, সুনন্দার মুত্যুর খবর শুনে টুইটারে জানানো প্রতিক্রিয়ায় নিজের হতবাক হওয়ার কথা জানান মেহর তারার। ৪৫ বছর বয়সি এই সাংবাদিক লিখেছেন- “এটা কি নরক! সুনন্দা! ও খোদা!”
পরের টুইটে লেখেন, “আমি ঘুম থেকে উঠেই এই খবর দেখলাম।
আমি এতটাই শোকাহত যে ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। সুনন্দার আত্মার শান্তি হোক”।
গত বুধবার ভারতের মন্ত্রী শশীর সঙ্গে পাকিস্তানি সাংবাদিক মেহেরের টুইট নিয়ে অভিযোগ তুলে আলোচনার ঝড় তুলেছিলেন ৫২ বছরের সুনন্দা। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ চান বলেও এনডিটিভিকে জানিয়েছিলেন তিনি। পরে অবশ্য তাদের যৌথ এক বিবৃতিতে ভিন্ন কথা বলা হয়।
শশী-সুনন্দা দম্পতি জানান, তাদের দাম্পত্যে কোনো ধরনের সমস্যা নেই। এর একদিন বাদেই শুক্রবার রাতে দিল্লির একটি হোটেলে সুনন্দাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
সুনন্দার অভিযোগের পর মেহের তাদের সম্পর্কের ব্যাখ্যায় বলেন, গত বছরের এপ্রিলে ভারতে গিয়ে শশীর সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন তিনি। এরপর জুনে দুবাইয়ে একটি অনুষ্ঠানে ফের তাদের দেখা হয়। এর পাশাপাশি ই-মেইল ও টুইটারে শশীর সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত ছিল বলে স্বীকার করেন এই সাংবাদিক।
তবে দুজনের মধ্যে কোনো প্রণয় ছিল না বলে দাবি করেন তিনি।
নিজেদের বাড়ি রঙ করানোর জন্য দিল্লির লীলা প্যালেস হোটেলে উঠেছিলেন শশী-সুনন্দা দম্পতি। দিনভর দলের বৈঠক থেকে ফিরে সেখানেই সুনন্দাকে মৃত অবস্থায় পান কংগ্রেস নেতা শশী।
মন্ত্রীর সহকারীর বক্তব্য অনুযায়ী, হোটেলে ফিরে কক্ষের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পান শশী। সুনন্দার কোনো সাড়া না পেয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ভেতরে ঢুকে বিছানায় স্ত্রীর লাশ পান তিনি।
সুনন্দা আত্মহত্যা করেছেন কি না, তা তদন্ত করছে পুলিশ। তবে হোটেল কক্ষে আত্মহত্যার কোনো নোট পাওয়া যায়নি। মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটনে একজন ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছেন। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন হাতে আসলে অনেক কিছু পরিস্কার হবে বলে মনে করছে পুলিশ।
এদিকে স্ত্রীর মৃত্যুর পর শশী বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
সুনন্দার লাশ সকালে নেওয়া হয়েছে দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সে, সেখানে তার ময়না তদন্ত হবে।
২০১০ সালে সুনন্দাকে বিয়ে করার আগেও কেলেঙ্কারিতে জড়ান তখনকার প্রতিমন্ত্রী শশী থারোর। বান্ধবী সুনন্দাকে আইপিএল'র একটি দল কিনতে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ ওঠায় মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয়েছিল তাকে। এরপর দুজনে বিয়ে করেন, যা ছিল উভয়েরই তৃতীয় বিয়ে। সুনন্দার দ্বিতীয় স্বামীর ঘরে ২১ বছর বয়ী একটি ছেলে রয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।