নিপুণ লেখনীর শানিত গর্জন / লিখব আজ নিপুণ কথন
আজ সন্ধ্যায় খুব খারাপ ও নির্মম
একটা ঘটনা ঘটেছে ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
পি জে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলের লিফটের
নিচে চাপা পরে একজনের মৃত্যু ঘটেছে । খবরের
প্রথমাংশ পড়ে খটকা লাগল- লিফটের ভেতরে মানুষ
থাকে, নিচে যায় কিভাবে? পরে বিস্তারিত
পরে জানা গেল, লিফটের সুইচে ত্রুটি ছিল । সুইচ
চাপলে লিফট ওপর থেকে নিচের তলায় আসবে,
তারপরেই লিফটের দরজা খুলবে । এটাই নিয়ম ।
কিন্তু
এখানে লিফট নিচে নামার আগেই দরজা খুলে গেছে ।
বেচারা খেয়াল না করে সামনে এগুতে গিয়েই লিফটের
খাদে পরে যায় । চিল্লাপাল্লা করেও লাভ হয়নি । কেউ
এসে তাকে তোলায় আগেই ওপর থেকে লিফট
এসে তাকে চাপা দেয়!
কতটা নির্মম! এমন অচল, অকেজো লিফট কেন
রাখা হয়? লিফটম্যান তাহলে কি দায়িত্ব পালন করে?
এই লিফটে কয়েকবার আমিও চড়েছি । উঠলে মনে হয়
যেন চিপা কোন একটা জায়গায় উঠলাম ।
ডানে বামে জায়গা খুব কম, সামনে পিছে তিনজন
গা ঘেঁষে দাঁড়ানো যায় । লিফটের গতি অনেক
বেশী মনে হয়েছে আমার কাছে । আর চলার সময়
লিফটটি কাঁপত ।
এই ভবনে শুধু বিদেশী ছাত্ররাই নয়, স্যারেরাও থাকেন
। অনেকেই পরিবার নিয়ে থাকেন ।
ভাবছি, আজ
রিকশাওয়ালা (কর্মচারীর আত্মীয়)
মারা না গিয়ে যদি তাঁদের কেউ মারা যেত? যেই হোক,
আসল কথা- একজন নিরাপরাধ মানুষ দুর্ঘটনা কবলিত
হয়ে মারা গেছেন । এমনটি হওয়ার কথা ছিল না ।
এমনটি হতে দেয়া যায় না । এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত
দাবি করছি । সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নতুন-
পুরাতন লিফটের অবস্থা যাচাই ও ত্রুটিমুক্তকরণে
আশু পদক্ষেপ কাম্য ।
[ আমিও একটি সুউচ্চ ভবনে থাকি । আমাকেও
লিফটে চড়তে হয় । ঘটনাটা শোনার পর ভয়
হচ্ছে আমারও । এই লিফটেও ঝামেলা আছে । যদিও
এর বয়স এক বছর হবে! সত্যিই ভয় করছে আজ ।
এমনটি কেন হয়? কেন আমরা আগে থেকেই সতর্ক হই
না? কেন সব জায়গায় অসততা? ]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।