আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লিফটের মধ্যে লুতুপুতু (ইয়ে দুনিয়া পিত্তল দি) .......



ছেলেটা লিফটের মধ্যে মেয়েটার পাসে দাড়াইয়া নতুন পড়া এক আজব থট ভেবে ভেবে মিটি মিটি হাসিতে থাকিলো। সত্যিই তো... বিধাতা মেয়েটাকে যদি তার জন্য নাই পাঠাইতো তবে কি মেয়েটা এতো কাছ আসিতো ..!!

পরিবেশটা তার কাছে শতগুণ বেশী রোমান্টিক করিতেছিলো লিফটের ক্রিস্টাল স্টিলের দেয়াল গুলো। যেদিকে তাকাই সেদিকেই তাহাদের দুইজন কে দেখায়। অনেক টা জসিম আমলের বাংলা ছিনেমায় গানের দৃশ্যে নায়কের হৃদয়ে শুধুই নায়িকা বোঝাতে যে স্পেসাল ভিজুয়াল ইফেক্ট দেখানো হতো তার মতো।

মেয়েটা যে তাহার এক নম্বর টার্গেট তাহা নয়।

এটি সেকেন্ড । বারো তলার গান গাইতে পারা মেয়েটা তাহার ফার্স্ট টার্গেট। তাহার লগে ফেইসবুক আলাপকালে সে জানাইয়াছে....... শি হেট লুল পুলা। তাই তাহাকে খুশি করিবার লাগি এই তিন মাস কাওকে add meh বলেনাই। কোনো মেয়ের ফটোতে লাইক দেই নাই।

এর প্রেক্ষিতে তাহার ইউনিভার্সিটির মেয়ে ফ্রেন্ডরা তাহাকে ক্লাস নোট দেয়া বন্ধ করিয়া দিয়াছিলো। এই ঘাটতি অবস্য তাকে রেস্টুরেন্টের বিল দিয়া শোধ করিতে হইয়াছে।

যাকগে এসব কথা। এসব কথা সে এখন ভাবিতে চাহিতেছে না। তাহার পাসে এখন তেরো তলার নতুন আসা সুইট দুস্টু মেয়েটা।

তাও আবার একই লিফটে। তেরো তলা থেকে নিচ তলায় লিফট পৌছানোর সময় টাও অনেক। হিন্দি সিনেমা দেখা জ্ঞান তাহারে কহিলো.... " ইয়ে বাত সোচ কিতনে পাল হ্যায় জিন্দেগী মে। হার পাল কো মেহসুস কারনা পড়ে গা। "

প্রথমেই সে ভাবিলো সুচিত্রা সেন কে না পাই রাইমা সেন কে হাতছাড়া করা যাইবে না।

সে কিরুপে মেয়েটাকে ইম্প্রেস করিবে তার প্রিপারেশনের জন্য চক্ষু মুদিলো। কিন্তু তাহার ঠ্যাং কাপিতেছিলো। সে কন্সেন্ট্রেড করিতে পারিতেছিলো না।

হঠাৎ সে সামনের রিফ্লেক্টিভ স্টিলের মধ্যে দেখিলো মেয়েটা হাসিতেছে। সে হাসি বড়ই চমত্কার।

সেও ততোধিক হাসি মাখা ফেইস নিয়ে তাহার দিকে তাকাইলো। আহা দুনিয়া বড়ই গুলাবী...... !!!

মনের মধ্যে আইটেম সং বাজিতে লাগিলো। বাজিলো আর বাজিলো।
মেয়ের চাপা হাসি থামেনা। এবং কেনো যানি লুকাইতে চায়।

ছেলেটা বুঝিলো ডাল মে কুছ কালা হ্যাঁয়।
সে Know Thyself ছাকুনি দ্বারা নিজের মধ্যে খোজ দ্যা সার্স মারিলো। উইক পয়েন্ট পাইয়া ঘামিয়া গেলো। কেম্নে কি?

তাহার প্যান্টের জিপার খোলা ও সেখান থেকে পিঙ্ক কালারের সুতা বেরিয়ে আছে..!! তখন পরিস্থিতি অন্য দিকে টার্ন নিলো। একজনের হাসি বাড়িলো, একজনের কাশি বাড়িলো।

সে জিপার ধরিয়া টানাটানি করিতে লাগিলো। কিন্তু সুতা বাধিয়া যাওয়ায় সক্ষম হইতে পারিতেছিলো না। ইতোমধ্যেই লিফট নিচতলায় পৌঁছে গেট খুলিয়া গিয়েছিল। বাইরে দাড়িথাকা মানুষের মধ্যেও চাপা হাসি সংক্রমিত হলো। মেয়েটা বেরিয়ে গেলো।

ছেলেটা তাতক্ষণিক ধাক্কা সামলানোর আগেই অন্যরা লিফটে ঢুকে পড়িলো। সেই মানুষগুলোর মধ্যে বারো তলার সেই গান গাওয়া মেয়েটিও ছিলো।
দুকূল হারানোর নিশ্চিত কু-ম্ভাবনায় সে ভাঙ্গিয়া পড়িলো। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাইতে সে তার গলায় ঝুলতে থাকা হেড ফোন কানে গুজিয়া নিলো। সেখানে তাহাকে সান্তনা দেবার জন্যই হয়তো সানি লিওন গাহিয়া উঠিলো " ইয়ে দুনিয়া, ইয়ে দুনিয়া পিত্তল দি"।



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।