স্বপ্ন দেখে সময় পার করিনা, সামনে এগিয়ে যেতে চাই তাই কাজ করে সময় পার করি।
মিউসিয়াম থেকে বের হয়ে আমরা চলে যাই রোজ গার্ডেনে। সুবিশাল সাইন বোর্ড আমাদের স্বাগত জানাল।
রোজ গার্ডেনে প্রবেশ করতে হলে একটি গেট পেরোতে হয় যা কয়েকটি ছোট দেয়াল সামনা-সামনি রেখে তৈরি। আইডিয়াটি ভালো লেগেছিল আমার কাছে।
এই গেটের পর লতা-গুল্মের ছাউনি পার করে তবেই পা পড়ে রোজ গার্ডেনে। সবমিলিয়ে রোজ গার্ডেনে প্রবেশের আয়োজন খুবই চমকপ্রদ।
ছাউনি পেরোতেই নজরে এল গোলাপ বাগান। তবে তার মাঝে একটি আলোর ফোয়ারা বা ঐ রকম কিছু একটাতে চোখ পড়ল প্রথমেই।
এবার গোলাপ দেখার পালা।
নানা রংয়ের, নানা আকারের গোলাপ চারিদিকে!! কিছু চেনা, কিছু অচেনা। যাই হোক নিচে প্রায় সকল গোলাপেরই ছবি দিলাম কোন ক্যাপশন ছাড়াই কারন কোনটার কি নাম বা প্রজাতি তা আমার মনে নেই। গোলাপতো গোলাপই, তার আবার কিসের ক্যাপশন?
শুধু আমরাই নয়, আরও কেউ এসেছিল গোলাপের সৌন্দর্য লুটতে। এবার তাদের কিছু ছবি
রোজ গার্ডেন দেখা শেষ করলাম। কালো গোলাপ দেখার খুব শখ থাকলেও তা দেখা হয়নি।
তাই কিছুটা আফসোস রয়ে গেল। অবশ্য কালো গোলাপ আদৌ এখানে ছিল কিনা তাও জানিনা। যাই হোক গেটের বাইরে আসতেই নজরে এল এক উটওয়ালার। উটের পিঠে উঠবার শখ মেটালাম আমি।
রোজ গার্ডেন থেকে চলে গেলাম এসেম্বলী হাউজে।
বিশেষ অনুমতি নিয়ে প্রথম দুই স্তরের নিরাপত্তা পার হলাম, কিছু একাডেমিক কাজ করলাম এবং ফিরে এলাম। তবে ছবি তোলার। অনুমতি ছিলনা। ওখান থেকে ওপেন হ্যান্ডের সামনে এসে দূর থেকে এসেম্বলী হাউজের ছবি নিলাম। দেখে মনে হয় পারমানবিক চুল্লী।
এবার ওপেন হ্যান্ড দেখার পালা। এটি আসলে বাতাসের সাথে দিক পরিবর্তন করে। হাতের পান্জার মাঝে একটি শাবল বা এই জাতীয় কিছু অংকিত। থীমটি ভালোই লাগল।
দুপুর হয়ে গিয়েছে সেই কখন...তাই ওপেন হ্যান্ডকে পিছনে ফেলে ছুটলাম মধ্যান্নভোজনের জন্য।
এরপর গন্তব্য রক গার্ডেন যা অতি অবশ্যই এক বিষ্ময়কর স্থান!
*পর্ব ৩য়ে থাকছে শুধুই রক গার্ডেনের বর্ননা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।