স্বপ্ন দেখে সময় পার করিনা, সামনে এগিয়ে যেতে চাই তাই কাজ করে সময় পার করি।
চন্ডীগড় ভ্রমনের প্রথম দিন এখনও শেষ হয়নি। রক গার্ডেন দেখে বের হতেই দুপুর পার। ক্লান্ত আমরা গেস্ট হাউজে ফিরে যাবার পথে ওয়্যার মেমোরিয়ালটি দেখে নিলাম। যুদ্ধে নিহত ভারতীয় সেনাদের সম্মানে তৈরি এই মেমোরিয়াল।
শান্ত এবং নিরিবিলি পরিবেশের মেমোরিয়ালটিতে কিছু সময় পার করলাম।
মেমোরিয়াল থেকে সোজা গেস্ট হাউজে ফিরে গেলাম। সন্ধ্যা পর্যন্ত বিশ্রাম নিয়ে চন্ডীগড় শহর ঘুরে দেখতে বের হলাম। সিটি সেন্টারে এসে টুকটাক শপিং করলাম প্রিয়জনদের জন্য যার মধ্যে ছিল পান্জাবী গহনা এবং পুতুল। এরপর রাতের খাবার সারলাম পাও-ভাজি, ছোলা-বাটুরা এবং ফ্রাইড রাইস দিয়ে।
আবারো গেস্ট হাউসে ফিরে এলাম। খুব শীত ছিল। ৩টা কম্বল মুড়ে গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলাম। সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে, নাস্তা করে রওয়ানা করলাম সুকনা লেক দেখতে।
সুকনা লেক আকারে বেশ বড়।
মাঝে একটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত সুকনা লেক শীতের সকালে কুয়াশার চাদরে মুড়ে ছিল। একটি বোট নিয়ে আমরা লেক ভ্রমনে বের হলাম। আধা ঘন্টা ধরে প্যাডেল বোটে করে লেকের বেশ বড় একটি অংশ ঘুরে দেখলাম।
সুকনা লেকের আরেকটি দর্শনীয় বিষয় ছিল হাঁসের অবাধ বিচরন। নানা প্রজাতির হাঁসের দেখা পেলাম এই লেকে।
সুকনা লেক থেকে ফিরে চলরাম গেস্ট হাউজে কারন দেরাদুন ফিরতে হবে সন্ধ্যার আগেই। পথে কলাগ্রাম নামক চারুকলা প্রতিষ্ঠানে নজরে এল বিশাল চারু-কলা মেলার। ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে সবাই হাজির হয়েছে তাদের চারু পণ্য, খাবার এবং সংস্কৃতি নিয়ে। মেলা মানেই বেশুমার শপিং। তাই দেরী না করে মেলা প্রবেশ করলাম।
কয়েক প্রস্থ শপিং করলাম আমরা।
শপিংয়ের মাঝে গরম গরম জিলাপীর স্বাদ নিলাম। ঢাউস সাইজের এক-একটা জিলাপী একা খেয়ে শেষ করা যায়না।
এসবের মাঝে উপভোগ করলাম ভারতীয় সংস্কৃতির কিছু ঝলক। নানা প্রদেশের নানা রকম সাংস্কৃতি।
একসাথে দেখে ভালোই লাগল।
কলাগ্রামের মেলা শেষে গেস্ট হাউজে ফিরে এলাম। ব্যাগ গুছিয়ে দেরাদুনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম। পাহাড়েরে মাঝ দিয়ে, গ্রাম এবং বনের ভেতর দিয়ে চলতে চলতে সন্ধ্যার কিছু আগে দেরাদুনে ফিরে এলাম।
২০০৬ সালে প্রথম পড়েছিলাম চন্ডীগড় নিয়ে।
শখ ছিল ভ্রমনের। ক্ষুদ্র এই জীবনের হাজারো শখের মাঝে একটি। শখ পূরন হয়েছিল এই ভ্রমন দিয়ে। জীবনে আর কি চাই? শখগুলো পূরন হোক..... জীবন আনন্দময় হোক।
সৌন্দর্যময় চন্ডীগড় ধারাবহিকের এখানেই সমাপ্তি।
পর্ব ৩ ও বাকীগুলো:
Click This Link
*ফেব্রুয়ারীতে দেশে আসছি ফিল্ড ওয়াক এবং ছুটিতে। দেরাদুন থেকে সরাসরি কলকাতা এবং কলকাতা থেকে খুলনা.....আসা-যাওয়ায় প্রায় ৩৫০০ কিলোমিটারের এই ভ্রমন নিয়েই হাজির হব পরবর্তী ভ্রমন ধারাবাহিকে মার্চের ২য় সপ্তাহে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।