স্বপ্ন দেখে সময় পার করিনা, সামনে এগিয়ে যেতে চাই তাই কাজ করে সময় পার করি।
চন্ডীগড় ভ্রমনের ধারাবাহিকে আজ আপনাদের নিয়ে যাচ্ছি রক গার্ডেনে। নেক চন্দ নামক এক ব্যাক্তি নানা রকম ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া, নষ্ট, পুরোনো বস্তু দিয়ে তৈরি করেছেন এই গার্ডেনটির প্রায় সকল কিছু। গার্ডেনের প্রবেশ পথে আমাদের স্বাগত জানাল ব্যাতিক্রমী নাম ফলক। দেখেই বুঝে গেলাম রক গার্ডেনে নিশ্চিত চমক লুকিয়ে আছে।
প্রবেশের পর শুরু হল নানা রকম ডিজাইন, ভাষ্কর্য, স্থাপত্য এবং কারুকাজ দর্শন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখলাম অনেক কিছু। নিচে দিলাম উল্লেখ্য ছবিগুলো-
ভেঙ্গে যাওয়া সকেট দিয়ে তৈরি দেয়াল:
পুরোনো কলসের তৈরি দেয়াল:
ফেলে দেওয়া ভাঙ্গা টাইলসের তৈরি পুল:
দর্শকদের জন্য তৈরি এম্ফিথিয়েটার:
কৃত্রিম ঝরনা:
নুড়ি-পাথরের বাগিচা:
নুড়ি-পাথরের পথ চলার প্যাসেজ:
নুড়ি-পাথরের দেয়াল:
নুড়ি-পাথর আর কাঠ দিয়ে তৈরি একদল বানর:
টাইলস এবং মাটির তৈরি মানুষেরা:
নানা রকম ফেলে দেওয়া জিনিষে তৈরি কলসি কাঁখে পরিবার (এটি খুবই বিখ্যাত ভাষ্কর্য। চন্ডীগড় বিষয়ক যে কোন বই বা গাইড বুকে এটি থাকে):
আরো একটি ঝরনাধারা:
নষ্ট হয়ে যাওয় সিমেন্টের বস্তার তৈরি পিলার:
পুরোনো বালির বস্তা দিয়ে তৈরি হাতি:
হরিণের অবায়বে গাছ:
পাথর, কাঠ, ইত্যাদি ব্যবহার করে তৈরি করা ভাল্লুক, মানুষ এবং আরও কিছু প্রানী:
ভাঙ্গা চুড়ি দিয়ে তৈরি মেয়ে এবং ময়ূর:
টাইলস, মাটি, ইত্যাদি দিয়ে তৈরি সেনাপতি এবং তার রক্ষী:
ভাঙ্গা তৈযষপত্রের তৈরি মানুষ:
এরকম অনেক কিছুই ছিল রক গার্ডেনে। সব কিছুই অসাধারন।
রক গার্ডেন থেকে বেরিয়ে 'কোন কিছুই ফেলনা নয়' কথাটির স্বার্থকতা বুঝতে পারলাম। সেই সাথে চারুকলার কিছু অসাধারন নিদর্শনগুলো দেখার মজাতো বোনাস!
চন্ডীগড় ধারাবাহিকের আর মাত্র এক পর্ব বাকী। চন্ডীগড়ের যা কিছু বাকী তা নিয়ে হাজির হব শেষ পর্বে।
পর্ব ২:
Click This Link
পর্ব ১:
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।