আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাড়ছে বাণিজ্যিক ই-অপরাধ

দেশে ক্রমেই বাড়ছে ই-অপরাধ। অনলাইন ও অফলাইন- উভয় ধারায় চলছে সাইবার অপরাধের ঘটনা। আশঙ্কাজনক হারে নগরীতে বেড়ে চলেছে ই-ব্লাকমেইলের ঘটনাও। অর্থ আত্দসাৎ থেকে শুরু করে জীবননাশেও মদদ জোগাচ্ছে তা। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যক্তিগত অপরাধের পাশাপাশি আশঙ্কাজনক হারে বিস্তার লাভ করছে রাজনৈতিক সাইবার অপরাধ।

গত তিন মাসের হিসাবে দেখা যাচ্ছে, সব ছাপিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে অর্থনৈতিক খাতের সাইবার অপরাধ। এসব তথ্য জানিয়েছেন দেশের সাইবার অপরাধ-সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কাশিফ আলী খান। তিনি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইনসাইট বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের (আইবিএফ) নির্বাহী পরিচালক।

এসব সাইবার অপরাধ ঠেকাতে সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানান কাশিফ আলী খান। এরই মধ্যে তার প্রতিষ্ঠান সরকারের সঙ্গে কাজ শুরু করেছে।

তিনি জানান, নাগরিকদের সচেতন করা ও সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দক্ষ করে তোলা হচ্ছে দেশের নিরাপত্তা বাহিনীকেও। এরই অংশ হিসেবে দুই সপ্তাহের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলছে। প্রশিক্ষণে ই-অপরাধী শনাক্তকরণের কৌশল ও বিদ্যমান অপরাধের কেসস্ট্যাডি তুলে ধরা হচ্ছে। কাশিফ আলী খান জানান, সব কিছু ছাপিয়ে এখন মোবাইল লেনদেন-সংশ্লিষ্ট ই-অপরাধ বাড়ছে। গত তিন মাসে ৭-৮ শতাংশ হারে এই অপরাধ বাড়ায় এখন মোট সাইবার অপরাধের ১৮ শতাংশই ঘটছে গ্রামীণফোনের ফ্লেঙ্েিলাড আর বিকাশ-এর মতো মোবাইল ফোনে টাকা স্থানান্তরের অন্তরালে।

কাশিফ বলেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ব্যালান্স চেক না করে কেবল এসএমএস দেখেই টাকা পরিশোধ করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। প্রতিষ্ঠানগুলোর বাইরে থেকে বেশ কিছু সংঘবদ্ধ চক্র মাস্কিং করে এসএমএস পাঠিয়ে সাইবার অপরাধ করছে। ইনসাইট বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের (আইবিএফ) পর্যবেক্ষণ বলছে, ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক_ এই তিন ক্ষেত্রেই দেশে ই-অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। দেশে সংঘটিত সাইবার অপরাধের মধ্যে প্রায় ৭২ শতাংশই ব্যক্তিগত স্বার্থসংশ্লিষ্ট। এর মধ্যে ছবি জাল করা, ভিডিও টেম্পারিং এবং সাইবার বুলিং (র্যাগিং) অন্যতম।

আর মোট অপরাধের প্রায় ১৬ শতাংশ সাইবার অপরাধ ইন্ডাস্ট্রিয়াল। তিন মাস আগেও এই হার ছিল আট শতাংশের নিচে। সাইবার জগতে রাজনৈতিক সহিংসতা ও অপরাধ বেড়েছে। এখন এই হার ১২ শতাংশ হলেও প্রতিদিনই তা বাড়ছে। ফলে সাইবার অপরাধ এক বছরের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়েছে।

আইবিএফের নির্বাহী সদস্য তানভীর জুম জানান, পাসওয়ার্ড চুরি, ফিশিং, বট-নেট বানিয়ে ফেলা থেকে শুরু করে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক, রাজনীতিবিদদের নামে ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খোলা এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রতারণাসহ বিভিন্ন সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছে দেশের মানুষ। কাশিফ আলী খান জানান, বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্ষেত্রে সংঘটিত সাইবার ক্রাইম থেকে সাধারণ নাগরিকদের বাঁচাতে শীঘ্রই তথ্য ও যোগা-যোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালু করা হবে ।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.