রোমের ঐতিহ্যবাহী আর্ট সেন্টার গ্যাল্লেরিয়া ল্যাভাতইও কনতুমাচিয়ালেতে চলছে তন্তুশিল্পী শফিকুল কবির চন্দনের নবম একক বয়ন চিত্রকলা প্রদর্শনী। ‘চন্দন এর গেরো, রোমে বাংলার মসলিনের উত্তরাধিকার’ শীর্ষক এই প্রদর্শনীটি ৬ এপ্রিল শুরু হয়। শেষ হবে ২০ এপ্রিল। এতে প্রায় ৪০টির মতো বয়নচিত্র ও তন্তু ভাস্কর্য স্থান পেয়েছে।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রোমে নিযুক্ত বাংলাদেশি দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত শাহাদাত হোসেন, কাউন্সিলর সৈয়দ ময়নুল হাসান, জনতা ব্যাংক ইতালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবুর রহমান, ইতালির শিল্প সমালোচক ফ্রাঙ্কা সন্নিনো, তোমাজো বিঙ্গাসহ শিল্পবোদ্ধারা।
১৯৬৮ সালে বাংলাদেশের নরসিংদীতে জন্ম হয় শফিকুল কবির চন্দনের। চট্টগ্রাম সরকারি চারুকলা কলেজ, ঢাকার চারুকলা ইনস্টিটিউট ও ভারতের শান্তিনিকেতনে শিল্পকলার পাঠ নেন তিনি। ১৯৯৯ সালে ফাইবার আর্ট বিষয়ে শান্তিনিকেতন থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফেরেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটে কয়েক বছর শিক্ষকতাও করেন।
ইতালির বিভিন্ন শহর, চেক প্রজাতন্ত্র, ভারত, বাংলাদেশে তার একক প্রদর্শনী হয়েছে।
ইটালি, শ্রীলঙ্কা, ফ্রান্স, চেক প্রজাতন্ত্র, ভারত ও বাংলাদেশের ৪৬টি যৌথ প্রদর্শনীতে তাঁর বয়ন চিত্রকলা প্রদর্শিত হয়েছে। চিত্রকলা নিয়ে তাঁর লেখা একটি বইও রয়েছে। তাঁর সম্পাদনায় ও আলোচনায় চিত্রকলাবিষয়ক প্রকাশনা আছে চৌদ্দটি। ইতিমধ্যে পৃথিবীর এগারটি দেশ ভ্রমণ করেছেন তিনি।
অন্য পাঁচজন চারুশিল্পীর মতো চন্দনও ছবি আঁকেন।
তবে রং তুলি দিয়ে নয়। তার ছবি আঁকার উপকরণ ভিন্ন। তিনি ছবি আঁকেন পাট, সুতো, খড়, বিচালি, রেশম, পশম, উল, শন, হোগলা, চামড়া ইত্যাদি দিয়ে। তাই বলা যায়, তিনি ছবি আঁকেন না, ছবি বোনেন। নির্মাণ করেন তন্তুভাস্কর্য।
মসলিন বাংলার বয়ন ঐতিহ্য। আজকের বয়নচিত্র বাংলার বয়ন ঐতিহ্যের সমকালীন ভিন্ন শিল্প ধারা। একজন বাঙালি শিল্পী তাঁত বুনে যখন শিল্প কর্ম গড়েন তখন তাকে মসলিনের উত্তরসুরী হিসেবে বলা হয়। আর একদা মসলিনের প্রধানতম ক্রেতা ছিল রোমানরা। সেই রোমে উপস্থাপিত হচ্ছে এই প্রথম কোনো বাংলার টেক্সটাইল আর্টিস্টের শিল্পকর্ম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।