.................।
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লীগের যবনিকাপাত ঘটতে যাচ্ছে রোমে দুই দেশের দুই লীগ চ্যাম্পিয়নের খেলার মধ্য দিয়ে। অনেকেই ফুটবল বোব্ধা এই ফাইনালের নাম দিয়ে দিয়ছেন ড্রীম ফাইনাল। আমি আমার সামান্য জানা থেকে দুই দলের কিছু দিক নিয়ে কিছু টাইপাস টাইপ এনালাইসিস করার চেস্টা করছি।
ম্যান ইউঃ প্রথমেই বলে রাখি আমি ম্যানইউ এর ফ্যান না।
তাই এই টিম স্মপ'কে আমার খুব ডিটেইল ধারণা নেই। যা অল্প বিস্তর ধারণা আছে তার থেকে কিছু এনালাইসিস করার চেস্টা। ফাইনালে ফাগুসন কোন ফরমেটে খেলাবে বলা মুশকিল। হতে পারে সেটা ৪-৫-১(বেরবাটভ/রোনাল্ডো লোনলি স্ট্রাইকার) অথবা ৪-৪-২(রুনি+বেরবাটভ স্টাইকার) একটু নিচে উইং থেকে দুই পাশে রোনাল্ডো & গিগস অথবা ৪-৪-৩। তবে আমি মোটামুটি শিওর তেভেজ়ের প্রথম একাদশে জায়গা হবে না, কেননা নাকউচু ফাগুসন তেভেজের মিডিয়াতে ট্রান্সফার নিয়ে কথা আসায় বিরক্ত,যদি ম্যানইউ পিছিয়ে পরে তখন বদলী হিসেবে তেভেজ়কে শেষবারের মত ম্যানইউ জা'সি গায়ে দেখা যেতে পারে।
তবে আমার মনে হয় না যে বা'সার বিপক্ষে ফা'গুসন আট্যাকিং ফুটবল ৪-৩-৩ খেলবে শুরু থেকে, আমার মনে হয় ৪-৪-২ হবে ম্যানইঊ শুরুর ফরমেট, যদি শুরুর গোল ম্যানইঊ দেয় তবে ম্যানইয় ৪-৫(৩-২)-১ চলে যাবে। ম্যানইউ আমার মনে হয় সেটপিস,ক্রস থেকে হেড গোল দিতে বেশি চেস্টা করবে বাসা'র ডিফেন্স ভাংগা থেকে। দ্রুতগতির রোনাল্ডোকে দিয়ে ডিফেন্স থেকে লং পাস, কাউন্টার অ্যাটাক নিভ'র ফুটবল খেলবে। ক্যারিক,ইভরা অন্য খেলায় যেরকম ঊপরে উঠে আসে ফাইনালে শুরুর দিকে কম দেখা যাবে। ক্যারিক অ্যাটাক থেকে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের রোল বেশি প্লে করবে।
তবে ম্যানইঊ শুরুর গোল দিয়ে দিলে আলট্রা ডিফেন্সিভ ফুটবল খেলবে বলেই মনে হয়। তবে বাসা এগিয়ে গেলে তেভেজ়কে দেখা যাবে বদলী খেলোয়াড় হিসেবে। আমি আগেই বলেছি ইভরা এবং ও'শেয়া ডিফেন্স ছেড়ে ঊইং আসবে না। কড়া পাহাড়ায় থাকবে মেসি, যদি ইভরাকে পরাস্ত করে তবে ফাডিনান্ড অথবা ভিদিক ডিফেন্সের বাহিরে ছোট খাট ফাউল করতে সময় নিবে না। ম্যানইঊ এর শক্তিশালী দিক ডিফেন্স,তারপর আক্রমণভাগ।
তুলনায় মধ্যমাঠ একটু দুব'ল। সত্যকার অথে' ম্যান ইঊ একটি ব্যালন্স টিম এবং ইনজ়ুরি সমস্যা অনেক কম।
বা'সাঃ সুন্দর ফুটবলের পুজারি হিসেবে অধিকাংশ ফুটবল ফ্যান চায় বা'সার জয়। বাট বা'সা ইনজুরি+ কাডে'র কোপে পরে একটু টালমাতাল অবস্থায় আছে। আলভেস নেই,নেই মারকুয়েস, তারে সাথে নেই আবিদাল।
পুয়েল হয়তে তার ফুল ব্যাক পজ়শন ছেড়ে আবিদালের জায়গায় খেলবে এবং আমার ধারণা পুয়েল ভালোই খেলবে, তবে সমস্যা হলো আলভেসের পজ়শনে কে খেলবে কাকেরস নাকি সিলভিনহো,কারো সম্প'কে আমার ধারণা নেই, তবে সিলভিনহো বয়স বেশি-৩৫,তাই ম্যানইউ স্পীডি অ্যাটাকিং লাইনের বিরুব্ধে কতটা সাফল্য পাবে বলা মুশকিল। টোরে তার নরমাল ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের রোল ছেড়ে দিয়ে ফুল ব্যাক হিসেবে খেলবে পিকের সাথে। পিকেকে একটু বেশি কাজ় করতে হবে। সত্যকার অথে' বাসা'র দুব'ল দিক হলো ডিফেন্স। টোরের ছেড়ে যাওয়া ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের যায়গা নিবে কেইটা/বাসকোয়েট।
আমার পছন্দ কেইটা। কিন্ত টোরের মত অতটা নিভ'রযোগ্য কিনা সন্দেহ আছে। ইনফ্যাক্ট বাসা'র পাস-পাস নিভ'র খেলায় হোল্ডিং মিডফিল্ডারের ভুমিকা অনেক বেশি। জাভি তার নরমাল বল ডিস্ট্রবিঊশন ভালোই করবে। ইনজ়ুরি থেকে ফিরে সেমির হিরো ইনিয়েস্তা কতটা দাত বসাতে পারবে বুঝতে পারছি না।
অ্যাটাকে মেসি তার লেফট ঊইং না খেলে রিয়ালের সাথে যে পজিশননে(২য় স্ট্রাইকার/২ স্ট্রাইকারের থিক নিচে)খেলেছে সেই পজ়িশনে খেলতে পারে চমক হিসেবে। সন্দেহ নেই মেসি শুধু কড়া মা'কিং না, জোনাল মা'কিং এ থাকবে(যা আমি আগে লিখেছি)। তবে অনেক কিছু ডিপেন্ড করবে মেসির ঊপর, খুব কড়া মা'কিং এ থাকলে ১/২ টা ম্যাজিকাল পাশের(যেমন রিয়ালের সাথে অরির ফা'স্ট গোল অথবা কোপা-দেল-রে তো বোজ়ানের গোল) আশায় থাকবে টিম। যদি তাও না পারে তবে ২/৩ জন ডিফেন্ডারকে যদি মেসি নিজ়র দিকে কেন্দ্রিভুত করে রাখতে পারে তা হলে ও সু্যোগ আছে- যেমন সেমিতে মেসিকে তিনজন গোলের আগে মা'ক করতে গিয়ে ইনিয়েস্তা গা'ডলেস হয়ে পড়েছিল,মেসির ৩ জনের সামনে থেকে একটা ছোট পাশ তার থেকে গাড'লেস ইনিয়েস্তার অমুল্য গোল। অরি কেবল ইনজুরি থেকে ফিরল,ইনিয়েস্তার মত ম্যাচ প্রাকটিসের অভাবে হয়ত অণুব্জল থাকতে পারে।
সাথে যোগ দিন অনেক দিন ইতোর গোল না পাওয়া। সব মিলিয়ে সুন্দর ফুটবলের ধারক বাসা'কে ডিপেন্ড করতে হবে ইঊরো হিরো জাভি এবং বিস্ময়বালক মেসির উপর আক্রমণের জন্য।
আমার কাছে মনে হছে ফাইনালের আগে ম্যান ইঊ অনেক ভালো অবস্থানে আছে। তবে পূ'ণ শক্তির বাসা'হলে আমি বলতাম আমার বা'সা জিতবে। তার ঊপর ধরূন ইঊরোপে ফাইনালে ম্যানইঊ এর না হারার রেক'ড।
তাই ম্যানইউ ফাইনালে ফেভারিট। তবে আমি চাইব হিট & রান ফুটবল নয় সুন্দর ফুটবলের জয় হোক। কাদুনে বালক(রোনাল্ডো) নয় সত্যকারের ম্যারাডোনা-জিদানের(মেসি) উওরাধিকারের হাতে জয়ের বরমাল্য উঠুক।
সব'শেষে আমার মত মেসি ভক্তদের জন্য কিছু কথা। জিদান ১৯৯৭ এবং ১৯৯৮ টানা দুই বছরেই জুভেন্টাসকে ফাইনালে তুলে নিয়ে কাপ হাতে নিতে পারে নাই।
লিজেন্ড জিদানের সবক্ষোভ একাকার হয়ে গিয়েছিল ১৯৯৮ ওয়া'ল্ড কাপ এবং ২০০০ ইঊরোতে। আজ ও মনে পড়ে জিদান বিহীন ১৯৯৮ ২য় রাঊন্ড প্যারাগুয়ের সাথে এক্সট্রা রাঊন্ড এবং কোয়া'টার ফাইনালে ইটালির সাথে ট্রাইবেকারে কোনরকম জয় অথচ সেই ফ্রান্স ফাইনালে এক ফু তে ম্যাচ জিতে নিল জিজুর প্লে ম্যাকিং এ। যদি এই ফাইনালে নাই বা হলো মেসির জয়,মেসি মানেই ডিফেন্স চেড়া পাস, মেসি মানেই অনিন্দ্য সুন্দর গোল। মেসির একটা ম্যাজিকাল মুভ মানি হিটস & রান মেথড ফুটবলের শতগোল থেকে অনেক বেশি নয়নমনোহর।
জয় হোক বাসা'র।
জয় হোক জাভি-ইনিয়েস্তা-মেসি-অরির-ইতোর অ্যাটাকিং ফুটবলের এই প্রত্যাশায় থাকলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।