দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা, কারো দানে পাওয়া না!
এক ছিচকে চোর একটা বাড়িতে চুরি করতে ঢুকলো। বাড়ির মালিক জেগেই ছিলো। তাই চোরকে দেখে ফেললো।
চোর তখন পকেট থেকে চাকু বের করে বললো,
- যা আছে সিন্দুকে দিয়ে দে
- হা হা। তুই চোর?
- হ্যা।
কেন কি হইছে?
- তোরে গেটাপ দেইখা তো চোর চোর লাগে না। জোকার জোকার লাগে !
- কি !
- হ্যা রে বেটা। গেট আপ চেঞ্জ করা লাগবে তোর
মালিকের একটা অবৈধ পিস্তল ছিলো। চোরকে হাবিজাবি বলে সে আসলে সময় নিচ্ছিলো। আর ড্রয়ারের দিকে যাচ্ছিলো।
পিস্তলটা বের করতে। হঠাত পিস্তলটা বের করেই চোরের দিকে ধরলো,
- তুই আমার বাড়িতে চুরি করতে ঢুকছোস? এত সাহস? দিমু ফুটা কইরা
চোর চাকু ফেলে দিলো দৌড়!
বেশ কিছুদিন পর বাজারের মধ্যে সেই চোর আর বাড়ির মালিকের দেখা। এবার চোর ভদ্র পোশাক করে এসেছে। তাকে দেখেই বাড়ির মালিকের মাথায় একটা চিন্তা এলো। তার অবৈধ অস্ত্রের কথা যদি পুলিশে বলে দেয়? সে ভয় পেয়ে গেলো।
তাই চোরকে ডেকে বললো,
- ভাইজান কেমন আছেন?
চোর ভয়ে ভয়ে বললো,
- জি ভাই ভালো।
- আসলে সেদিন আপনাকে টাকা না দিয়ে ভুল করেছি। এই নেন পাঁচশ টাকা। কাউরে কিছু বইলেন না কিন্তু।
চোর তো অবাক! পরে ভাবলো নিশ্চয়ই সে গেট আপ চেঞ্জ করে ভদ্র পোষাক পড়ে এসেছে বলেই আজকে লোকটা ভয় পেয়ে টাকা দিয়ে দিয়েছে!
এই চোরের নাম শ্রীনিবাসন।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান। তিনি আজও কোট টাই পরে চুরি করেন।
তার জামাই এর নাম মিঃ গুরুনাথ। গুরুনাথ মশাই আইপিএল এর চেন্নাই সুপার কিংস এর মালিক। স্পট ফিক্সিং এর কেইসে জামাই বাবুও মুম্বাই পুলিশের কাছে ধরা খাইছিলো ।
তো জামাই বাবুকে বাচিয়ে দেন তার তার শ্বশুর শ্রীনিবাসন। এমনই বোর্ড প্রধানের নীতি!
এই খানদানি চোররা নাকি আজ হুমকি দিয়েছে আমাদের দেশের বিশ্বকাপ বর্জনের। এদের কাছে আসলে টাকাটাই মুখ্য। একারনেই এরা বিশ্বকাপের মতো আসর বর্জনের হুমকি দেয় অবলীলায়।
আমাদের দেশের পত্রপত্রিকাগুলো দেখে অবাক হই।
এই অভদ্র চোরদেরই তারা জমিদার নাম দিয়েছেন।
বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ বর্জনের হুমকি দিয়ে আমাদের দেশকে অপমান করেছে বিসিসিআই। আমাদের জানিয়ে দেওয়া উচিত কোনো অনৈতিক দাবী করে বিশ্বক্রিকেটের মুনাফার সিংহভাগ ভোগ করার অঅনৈতিক দাবী করে জমিদার সেজে থাকা এই চোরদের আতিথেয়তা দিতে আমরা রাজি নই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।