নিতান্তই আজাইড়া মানুষ আমি।
কদিন আগে বাসায় আসলো এক ভদ্র(!)মহিলা। মাকে গলায় জড়িয়ে বললো, “ আপা, আমি আপনার প্রতিবেশী। ঐ যে দেখছেন? ওই দোতালা বাড়িটায় আমি থাকি। ” মহিলার হাতে দেখি আইফোন! চাইনিজ সস্তা সেটই হবে হয়তো! মা মহিলাকে চা নাস্তা দিলো।
বিনা বাক্যব্যায়ে সব সাবার করে মহিলা বললো, আপনাদের নিচতলায় টু লেট ঝুলছে দেখলাম। আমার জন্য রেখে দেন, আমরা আসবো। মহিলা ভাড়া জানতে চাইলো না, রুম দেখতে চাইলো না, সোজা বলে দিলো আমাদের বাসায় উঠবে! এ আবার কী! উনার হাজব্যান্ড নাকি বিদেশে লোক পাঠায়! যাবার আগে মহিলা খুব করে আমাকে ওদের বাসায় যেতে বললো উনার বাচ্চাদের পড়ানোর জন্য। মহিলা যাবার পরপর মাকে সাবধান করে দিলাম। সন্দেহজনক, যেন মা বেশি পাত্তা না দেয়।
তবু আরো দুুুদিন উনি এসেছিলো, একবার আমাকে খুঁজতে, কেন আমি তার বাচ্চাদের পড়াতে যাচ্ছিনা জানতে, আর একবার ২০০ টাকা ধার নিতে।
তার কদিন পরেই ওই বাড়ির বাড়িওয়ালা জটিল একটা খবর দিলো! মহিলা দুমাসের ভাড়া দেয় নাই, তার ওপর ছাদে কারো লুঙ্গিটা, কারো শাড়িটা যা পায় তাই গায়েব করে দেয়। অন্য ভাড়াটিয়া শাকিলের আস্ত সাইকেলই একদিন গায়েব। ওটা বের হল দুদিন পর, মহিলার স্বামী দিব্যি ব্যবহার করছে ওটা। শাকিল রেগে মেগে ওর সাইকেল ফেরত চাইলো, লোকটা বলে এটা নাকি তার!!! রাগের মাথায় শাকিল চড় থাপ্পড় মারলো আর রাতের বেলায় পুলিশ এসে শাকিলকে নিয়ে গেলো! কতো সুন্দর আইন আমাদের দেশের!! ওই মহিলা মামলা করেছে যে- শাকিল উনার কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা নিয়েছে।
এখন ফেরত চাওয়াতে তার স্বামীকে মারধর করা হয়েছে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে! কি দুনিয়া আইলো!!
আজ রাতে ব্যাপারটার মিমাংশা হলো এইভাবে যে, শাকিল যদি ২৫০০০ টাকা ওই বেটিরে দেয় তা হলে ওই চুরনী বেটি মামলা তুলে নিবে! আমার ই মনে হইতেসে ওই বেটিরে পিটাই! কি দুনিয়া আইলো! আমি তো অল্পের জন্য বেঁচে গেছি! ওই বেটির বাচ্চাগুলানরে পড়াইতে গেলে আমার আজকে কি হাল হইতো কে জানে!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।