চোখে যা দেখি, কানে যা শুনি, তা নিয়ে কথা বলবোই !
বিশ্বনাথে জমিদার মরমী কবি হাছন রাজার বাড়িটি বর্তমানে অবহেলা-অযতেœ পড়ে আছে। কেউ রাখেনি খবর। বাড়িটি দেখতে আসেন দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকেরা। কিন্তু পুরনো ঘরের ধংসাব শেষ আর খালি জায়গা ছাড়া দেখার কিছু নেই এই বাড়িতে। পর্যটকদের বসারও নেই কোন ব্যবস্থা।
মাঝে মধ্যে বাড়িতে হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বসে সাহিত্য আড্ডা। এসব অনুষ্ঠান করতে হয় আঙ্গিনায়। সব মিলিয়ে বাড়ির অবস্থা একেবারে নাজুক। সংস্কার না করায় ধংস হচ্ছে হাছন রাজার বাড়িটি। হাছন রাজা তাঁর একটি গানে লিখেছিলেন “লোকে বলে বলেরে ঘর বাড়ি বালা নায় আমার, জান তো যদি হাছন রাজা বাঁচব কতদিন বানাই তো দালান কোঠা করিয়া রঙ্গিণ” তাঁর কথা ও বাড়ির বাস্তব চিত্র বর্তমানে।
কিন্তু এসব চান দেশের মানুষ। তারা চান সুন্দর একটি বাড়ি। হাছন রাজার বাড়িতে আসা দর্শনার্থীদের সাথে আলাক করে এই বিশেষ প্রতিবেদন তৈরী করা হয়েছে।
রংপুরের আহসান হাবিব বলেন, একজন জমিদার হাছন রাজা। তার বাড়ি দেখতে আসলাম।
এখানে এসে দুংখ পেলাম। কিছুই নেই। দেখলাম ভাঙ্গ বাড়ি। তিনি বলেন, মরমী কবি হাছন রাজার লেখা গানে বলা হয়েছিল “লোকে বলে বলেরে ঘর বাড়ি বালা নায় আমার, জানত তো যদি হাছন রাজা বাঁচব কত দিন বানাই তো দালান কোটা করিয়া রঙ্গিণ” হাবিব আর এসব দেখতে চান না। তিনি বলেন, একজন গুণী মানুষের বাড়ি সংস্কারের দরকার।
তিনি দ্রুত সংস্কার করে পর্যটন হিসেবে ঘোষনা করতে সরকারের কাছে জোরদাবী জানিয়েছেন।
বগুড়ার আবদুর রাজ্জাক বলেন, মনে করেছিলাম এনেক কিছু দেখব। কিছু জানার হবে শিখা হবে। কিন্তু রাজার বাড়িতে এসব কিছু নেই। যেসব দালান রয়েছে তাও রয়েছে অযত্নে।
দর্শনার্থী বসারও নেই কোন ব্যবস্থা। এসব দেখে তিনি দুংখ প্রকাশ করেন। তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য কে বাড়ি সংস্কারের জন্য দাবি জানান।
গাজিপুরের ফারুক হোসাইন বলেন, অনেক কষ্ঠ করে হাছন রাজার বাড়ি দেখতে আসলাম। বাড়ি দেখে মন ভরলনা।
একজন নামকরা মানুষের বাড়ি এবাবে হবে ভাবতে অবাক লাগে। ছোট ছোট ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে ঘুরে শান্তি পাননি তিনি।
কিশোরগঞ্জের সালমা বলেন, অনেক টাকা পয়সা খরছ করে দেখতে আসলেন। কষ্ঠ ছাড়া মনকে আনন্দ দিতে পারলেননা। একজন জমিদারের বাড়ি অবহেলায় পড়ে আছে।
আগে জানলে তিনি আসতেনা বলে তিনি এ প্রতিবেদক কে জানালেন।
বাউল মোহাম্মদ জুলেয় আহমদ বলেন, কেউ কি দায়িত্ব নিতে পারেন না। বিশ্বনাথে কৃতিমান মানুষের বাড়িকি এভাবে থাকবে? তিনি বলেন, হাছন রাজার বিশাল বাড়িটি এবাবে দেখলে বেমানান লাগে। একটি মানানসই বাড়ি দেখতে চান তিনি। জুয়েল বলেন, এখানে পর্যটকেরা দেখতে এসে বসার পর্যন্ত জায়গা পায়না।
জগন্নাথপুরের আবদুল মতিন বলেন, বাড়িটির কিছু কাজ করলে পর্যটকেরা বারবার দেখতে আসবে। এরজন্য সরকারের সহযোগিতা দরকার বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে হাছন রাজার রামপাশার বাড়ি দেখতে আসেন। কিন্তু এখানে এসে বাড়ির বেহাল অবস্থা দেখে আর আসতে চায় না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনামনি চাকমা বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলাপ করে হাছন রাজার বাড়ি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী সবুজ সিলেট কে বলেন, বাড়ি সংস্কারের জন্য হাছন রাজার বংস ধররা উদ্যোগ নিতে হবে। উদ্যোগ নিলে বাড়িতে কালচারাল একাডেমি, গবেষনা কেন্দ্র, লাইব্রেরী, স্মৃতি সংসদ করা যেত। তিনি বলেন, বাড়ি সংস্কারে হাছন রাজার উত্তরসূরীদের সঙ্গে অনেকবার যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু তাদের সহযোগিতা না পাওয়ায় কিছু করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, তারা উদ্যোগ নিলে এই বাড়িতে যা যা দরকার সবকিছু করা হবে।
সরকার এব্যাপারে আন্তরিক বলে তিনি জানান।
http://surmatimes.com/2012/12/30/12476.aspx/ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।