ফ্রিল্যান্সিং কী
গতানুগতিক চাকরির বাইরে নিজের ইচ্ছেমতো কাজ করার নামই ফ্রিল্যান্সিং বা মুক্ত পেশা। আর এই পেশায় যিনি জড়িত তাঁকে বলে ফ্রিল্যান্সার। তিনি কোনো প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী নন। কাজের ধরন বা প্রকল্পের মেয়াদ অনুযায়ী চুক্তিতে আবদ্ধ হন। তিনি পারিশ্রমিক পান সময় হিসেবে অথবা কাজের ধরনের ওপর।
বিভিন্ন অনলাইন মার্কেট প্লেস বা ওয়েবের মাধ্যমে কাজ দেওয়া-নেওয়া হয়। ইন্টারনেটে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস যেমন http://www.oDesk.com ইত্যাদির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো ফ্রিল্যান্সারদের কাজ দিয়ে থাকে। স্বল্প সময়ের কাজগুলোই আউটসোর্স করা হয় বেশি। অনেক প্রতিষ্ঠান স্থায়ী নিয়োগ দেওয়ার চেয়ে ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে কাজ করাতে আগ্রহী থাকে। জেনে রাখা ভালো, প্রতিষ্ঠান চাইলে কোনো ফ্রিল্যান্সারকে প্রকল্পের মাঝামাঝি সময়ও বাদ দিতে পারে এবং নতুন কর্মী নিয়োগ করতে পারে।
ইন্টারনেটে যা করা যায়
ইন্টারনেটে যেসব কাজ করা সম্ভব, তার সবই করতে পারেন একজন ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং কর্মী। অনেকে মনে করেন, আউটসোর্সিং কেবল ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্টের মতো কাজগুলোতেই সীমাবদ্ধ। ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের একজন শিক্ষার্থী চাইলে কোনো প্রতিষ্ঠানের হিসাব-নিকাশ করে কিংবা অর্থনৈতিক অবস্থার বিশ্লেষণ করেও অনেক টাকা উপার্জন করতে পারেন। অনলাইন মার্কেটপ্লেসে অনেক রকম কাজ থাকে। একজন ফ্রিল্যান্সার তাঁর দক্ষতা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কাজ করতে পারেন।
এসবের মধ্যে রয়েছে - ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন, সফটওয়্যার/অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট, ব্লগ/আর্টিকেল রাইটিং, ডাটা এন্ট্রি, গ্রাফিকস ডিজাইন, কাস্টমার সাপোর্ট, সেলস/অনলাইন মার্কেটিং, অনলাইন সার্ভে, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি। যাঁরা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ও ডিজাইন করতে চান তাঁরা ওয়ার্ডপ্রেস, সিএসএস, পিএইচপি, এইচটিএমএল, জুমলাসহ পছন্দ অনুযায়ী বিভাগ বেছে নিতে পারেন। সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশন, মোবাইল অ্যাপস নির্বাচন করতে পারেন। যাঁরা ইংরেজিতে দক্ষ ও যেকোনো লেখা লিখতে পারেন তাঁরা ব্লগ/আর্টিকেল রাইটিং করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে কোনো ব্লগের জন্য পোস্ট বা রিভিউ রাইটিং করা যাবে।
ডাটা এন্ট্রির ক্ষেত্রে রয়েছে পিডিএফ থেকে এক্সলে শিট সম্পাদন, ক্যাপচা (ই-মেইলে নিরাপত্তার জন্য শব্দ বা সংখ্যা ব্যবহারের উপায়) এন্ট্রি ইত্যাদি। গ্রাফিকস ডিজাইনের ক্ষেত্রে অ্যাডবি ইলাস্ট্রেটর, ফটোশপ ইত্যাদি যেকোনো বিষয় নির্বাচন করতে পারেন। আর কাস্টমার ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ই-মেইল রেসপন্স, কল রেসপন্স বা কলসেন্টার সার্ভিস দেওয়া যাবে। জনপ্রিয় আরেকটি বিষয় সেলস মার্কেটিং ক্যাটাগরিতে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন [এসইও], মার্কেট রিসার্চ, সোশ্যাল মার্কেটি ইত্যাদি।
দৃষ্টি আকর্ষণ: দক্ষতা, প্রশিক্ষণ, মার্কেট প্লেস নির্বাচন, আবেদনের নিয়মাবলী সহ আরও বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।