বাংলাদেশের প্রযুক্তিখাতে নতুন সংযোজন হতে পারে কোয়াড কপ্টার। লাইভ ব্রডকাস্টিং এর জন্য সম্ভাবনার এই কোয়াড কপ্টারটি তৈরি করেছেন তিন তরুণ বাংলাদেশি। ইঞ্জিনিয়ার মাহমুদ আলী খান, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন ও ইঞ্জিনিয়ার নাসির আহম্মেদ প্রজেক্ট ‘সাধু’ শিরোনামে এটি তৈরি করেন।

রিমোট কন্ট্রোলের সহায়তায় এই কোয়াড কপ্টারটি মাটি থেকে ২০০০ ফুট উচুতে উড়তে সক্ষম। ট্রান্সমিটার ও রিসিভারের গুণগত মানের ওপর নির্ভর করে এটি প্রায় ১৫ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে আকাশ থেকে সরাসরি ছবি পাঠাতে পারবে বলে বাংলদেশ প্রতিদিনকে জানান  ইঞ্জিনিয়ার মাহমুদ আলী খান।

তিনি বলেন, প্রায় ৬ মাস আগে এটির মূল নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এই কোয়াড কপ্টারটি মূলত  টেলিভিশনে  সরাসরি ছবি পাঠানোর উদ্দেশে তৈরি করা হয়েছে। এটি ব্যবহারে আকাশ থেকে  সরাসরি খবরের ছবি সংগ্রহে (টপ ভিউ) নতুনত্ব যোগ করবে।   উপর থেকে ছবি সংগ্রহের প্রচলিত খরচও অনেক কমে আসবে বলে মত দেন তিনি। নির্মাণকাজে সম্পৃক্ত ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন বলেন, কোয়াড কপ্টরটির মাধ্যমে লাইভ ব্রডকাস্টিংসহ রেকর্ডেড ভিডিও এইচডি মানে পাওয়া সম্ভব হবে।

প্রাথমিকভাবে এটি তৈরি করতে দুই লাখ টাকার মত খরচ পড়েছে। সরাসরি নিউজ ব্রডকাস্টিং ছাড়াও এটি প্রচলিত ড্রোনের মত ব্যবহারপোযোগী। উচুঁতে কোন তারের মেরামত বা উচুঁ দালানে আগুন লাগলে তার সরাসরি ছবি এটি পাঠাতে পারবে। নিরাপত্তা প্রদানের কাজের জন্যও ওয়াচ টাওয়ারের পরিবর্তে মাত্র একজন অপারেটরের সাহায্যে এটি ব্যবহার করা সম্ভব। কোয়াড কপ্টারটির পরামর্শক হিসেবে রয়েছেন বাংলাদেশ প্রতিদিন'র সম্পাদক নঈম নিজাম।

এছাড়া সময় টিভির হেড অব ব্রডকাস্ট অ্যান্ড আইটি সালাহউদ্দিন সেলিম এই প্রকল্পটি নির্মাণে উত্সাহ যুগিয়েছেন।

।