হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনের বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেয়।
দুই সপ্তাহের মধ্যে এই আদেশ বাস্তবায়ন করে স্বরাষ্ট্র সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে আদালতে অবহিত করতে বলেছেন বিচারক।
কিশোরগঞ্জে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে সোনালী ব্যাংকের শাখা থেকে ১৬ কোটির বেশি টাকা চুরির ঘটনায় জঙ্গি সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ এই রিট আবেদন করে।
ওই ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি বা সন্ত্রাসীদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ তদন্ত এবং মূল হোতাকে গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে একটি রুলও জারি করেছে আদালত।
স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র্যাবের মহাপরিচালক, ঢাকার পুলিশ কমিশনার, কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার, কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ওসিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব দিতে হবে।
রিটে বলা হয়, পুলিশ এই মামলার হোতাদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থ হওয়ার পর র্যাব উদ্ধারে সফল হয়েছে। তাদের কাছে এ বিষয়ে তথ্য আছে। তাই এই গুরুত্বপূর্ণ মামলাটি পুলিশকে দিয়ে তদন্ত করা হলে তা ব্যর্থ হতে পারে।
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ গত রোববার এই রিট দায়ের করেন। তিনিই আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত রায়।
মনজিল মোরসেদ বলেন, “এটা কোনো স্বাভাবিক চুরির ঘটনা নয়। এরই মধ্যে জঙ্গি-সংযোগের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। তাই এর যথাযথ তদন্ত হওয়া দরকার। ”
কয়েকটি পত্রিকায় প্রতিবেদন যুক্ত করে এই রিট আবেদন করেন তিনি।
এর মধ্যে ‘সুড়ঙ্গ কেটে টাকা লুটের ঘটনার নতুন মোড়’ শিরোনামে গত ৩১ জানুয়ারি দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, “সোনালী ব্যাংকের টাকা লুটের ঘটনা নতুন মোড় নিয়েছে। সোহেলের প্রকৃত পরিচয় নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। র্যাব বলছে, এ ঘটনা সাধারণ একটি টাকা লুটের ঘটনা নয়। এর পেছনে অন্য কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে। ”
কিশোরগঞ্জ শহরের রথখলা এলাকায় সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় গত ২৬ জানুয়ারি সুড়ঙ্গ খুঁড়ে চুরি হয়।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের ভল্ট থেকে ১৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা চুরি গেছে।
এর দুই দিন পর রাজধানীর শ্যামপুর থেকে হাবিবুর রহমান ওরফে সোহেল রানা ও তার সহযোগী ইদ্রিস মিয়াকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পাঁচটি বস্তায় তাদের কাছে মোট ১৬ কোটি ১৯ লাখ ৫৬ হাজার ৬৪ টাকা পাওয়া যায়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।