লিপস্টিক দিয়ে জীবনে একবারও ঠোঁট রাঙিয়ে নেননি,এমন নারী আধুনিক যুগে খুজে পাওয়া দুষ্কর। নামীদামী মডেল থেকে শুরু করে ফুটপাতের ফেরীওয়ালা নারী – সবাই জীবনে একবার হলেও ঠোঁটে লিপস্টিকের পরশ বুলিয়েছেন।
অনেক নারীর প্রতিদিনের সাজসজ্জার প্রধান উপকরণই লিপস্টিক। লিপস্টিক ছাড়া যেন সাজটাই অপূর্ণ থেকে যায়।
তবে, নারীরা হয়ত শুনলে চোখ কপালে তুলবেন যে, সাজসজ্জায় এই অতিপ্রয়োজনীয় উপাদানই বুদ্ধিনাশের কারণ।
সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, লিপস্টিক নিলে আইকিউ কমে যায়।
আইকিউ কমানোর ক্ষেত্রে লিপস্টিকে থাকা সীসা দায়ি বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা । বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, খুব অল্প পরিমাণের সীসাও আইকিউ এর ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা, ২২টি ব্রান্ডের লিপস্টিকে ওপর গবেষণা করে ৫৫ শতাংশ লিপস্টিকেই বিষাক্ত উপাদানের উপস্থিতি পেয়েছেন।
আন্ডাররাইটারস ল্যাবেটরিজ নামের একটি সংস্থা ঠোঁটে ব্যবহার্য ১২টি পণ্যের মধ্যে সীসার উপস্থিতি পেয়েছেন।
চলতিবছর আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, জনপ্রিয় ৪শ’ শেভের লিপস্টিকে সীসার উপস্থিতি রয়েছে।
এব্যাপারে “বোস্টন লিড পয়জনিং প্রিভেনশন প্রোগ্রাম” এর মেডিক্যাল ডিরেক্টর ড. সিন প্যালফ্রে জানান, খুব সামান্য পরিমাণের সীসাও মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুকির কারণ হতে পারে। এমনকি সীসা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতির কারণ হতে পারে।
তিনি বলেন, সীসা মানুষের আচরন ও শেখার ধরণের ওপর প্রভাব ফেলে।
এব্যাপারে পারসনাল প্রোডাক্ট কাউন্সিলের প্রধান বিজ্ঞানী ড. হ্যালিনা ব্রেসলাওস জানান, “আপনি যদি সীসার কারণে স্বাস্থ্যের ক্ষতির ব্যাপারে সচেতন হন, তাহলে আপনার লিপস্টিক ব্যাপার করা উচিত হবে না।
”
তাই বলে যে লিপস্টিক দিয়ে ঠোঁট একেবারেই যে রাঙানো যাবে না, তা নয়। এব্যাপারে ক্যাম্পেইন ফর সেফ কসমেটিকসের সদস্য জেনেট নুডেলম্যান জানান, প্রায় অর্ধেক ব্রান্ডের লিপস্টিকে সীসার উপস্থিতি থাকলেও, বাকি অর্ধেক কিন্তু সীসামুক্ত। এক্ষেত্রে কোন লিপস্টিকে সীসার উপস্থিতি নেই তা' সাধারনত নির্ণয় করে করা মুশকিল।
তবে, সীসাছাড়াও লিপস্টিক তৈরি করা সম্ভব।
View this link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।