আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘অবৈধ সংসদে প্রধানমন্ত্রীর অসত্য বক্তব্য’

দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পরদিন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই প্রতিক্রিয়া এলো।

বুধবার সকালে শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার বিচার কার্যক্রম ও গোটা প্রক্রিয়াটি চালানো হয়েছে। পুরো বিষয়টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ”

ফখরুল বলেন, “গোটা বিশ্বের কাছে যখন সরকারের বৈধ্যতা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে, তখন জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে বৈধতাহীন সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী ওই অস্ত্র মামলার বিষয়ে দেশের কোটি মানুষের প্রিয় নেত্রী সর্ম্পকে অসত্য ও মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন। আমরা তার এহেন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

’’

ফখরুল দাবি করেন, সঠিক তদন্ত ও বিচার করা হলে ওই ঘটনার পেছনের ‘আসল সত্য’ বেরিয়ে আসত।

২০০৪ সালে চট্টগ্রামে দশ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায়ে গত ৩০ জানুয়ারি সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী এবং তখনকার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বিএনপি নেতা লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত।

মঙ্গলবার প্রকাশিত ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিতে বলা হয়, সরকারি মদদ ছাড়া এতো বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদ বাংলাদেশে আনা কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না। তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর ঘটনার সঙ্গে পুরোপুরি জড়িত ছিলেন। আর অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি জানানোর পর তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নির্লিপ্ততা ছিল ‘রহস্যজনক’।

দুপুরে রায়ের অনুলিপি প্রকাশের পর সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। তাতে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “এই মামলা চলাকালে রেফারেন্স হিসাবে এসেছে, হাওয়া ভবন এর সঙ্গে জড়িত। বিচারের জেরাতে যখন সাক্ষী চলতে থাকে তখন বিএনপি নেত্রীর নাম চলে আসে। … এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে কারা জড়িত, তার বিচার হওয়া দরকার। হাওয়া ভবন ও বিএনপি সম্পৃক্ততার বিচার করা হবে।

এটা করা দরকার। ”

রায়ের পর্যবেক্ষণের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মির্জা ফখরুল বলেন, “বিএনপি সরকারের সময়ে ১০ ট্রাক অস্ত্র ধরা পড়েছে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও নেত্রী এ ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে, তদন্ত করে বিচার কার্যক্রমও আমাদের সরকার শুরু করেছে। ’’

আর এখন খালেদা জিয়াকে ‘রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতেই’ প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে এ ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন ফখরুল।

“আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দেশপ্রেম  এবং গণতন্ত্রের সংগ্রামে তার ভূমিকা দেশের মানুষের জানা আছে। মিথ্যাচার করে এ নিয়ে বিভ্রান্ত করা যাবে না। ’’

মঙ্গলবার জামিনে মুক্তিপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ ও রফিকুল ইসলাম মিয়াসহ নেতাকর্মীদের নিয়ে সকালে জিয়ার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।

মৎস্যজীবী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আউয়াল খানসহ সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন আইনজীবী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।




সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.