এক সময় বই ছিল আমার নিত্য সঙ্গী , অনেক রাত জেগে বালিশ নিয়ে উপুর হয়ে বই পড়তে পড়তে বুক ব্যাথা হয়ে যেত । পড়া শেষ হতো না । আজো বইয়ের কথা মনে হলে আমার বুকে ব্যাথা হয়, তাদের মলাটে ধুলোর আস্তর জমেছে বলে । বইয়ের পোকা থেকে এখন আমি ইন্টারনেটের পোকা ।
উপরে সুনীল আকাশ, স্ফটিক স্বচ্ছ জলের তলায় ঝাঁকে ঝাঁকে মাছের খেলা আর হাজারো পরিযায়ী পাখির কলকাকলীতে মুখর যেন এক স্বপ্নীল জগৎ।
হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন, আমি বলছি টাঙ্গুয়ার হাওড়ের কথা। এটা টাঙ্গুয়ার হাওড়ের শীতের চিত্র, বর্ষাকালে আবার দেখবেন ভিন্ন আরেক সৌন্দর্য্য। আসুন আমার ক্যামেরায় টাঙ্গুয়ার হাওড়ের কিছুটা চিত্র দেখি।
(২) সুনামগঞ্জের সাহেব বাড়ি ঘাট থেকে সুরমা নদীর ওপারের ছোট বাজারটিতে পৌছলেই মোটর সাইকেলের ড্রাইভাররা আপনাকে ছেকে ধরবে। আর দরদাম করে এখান থেকেই আপনাকে মোটর সাইকেল ভাড়া করতে হবে।
(৩) যাত্রী নেওয়ার জন্য অপেক্ষমান মোটর সাইকেল।
(৪/৫) মোটর সাইকেলে আমাদের গন্তব্য প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দুরত্বের শ্রীপুর বাজার। মাঝখানে ভাতের টেক নামক জায়গায় নৌকা দিয়ে মোটর সাইকেল ও যাত্রীদের পার হতে হয়।
(৬/৭) আরো আগাইলে পড়বে অসম্ভব সুন্দর নদী যাদুকাটা। এখানে আর একবার খেয়া পারাপার হতে হবে।
(৮) টেকের ঘাট পারি দিয়ে আমরা এগিয়ে চললাম টাঙ্গুয়ার হাওড়ের দিকে।
(৯) শ্রীপুর বাজারে পৌছে আমরা ট্রলার নিলাম টাঙ্গুয়ার হাওড়ের উদ্দেশ্যে।
(১০) সারি হিজল, করচের গাছগুলো হাওড়ে প্রবেশের আগেই আপনাকে স্বাগত জানাবে।
(১১/১২) আমাদের ট্রলারের শব্দে পাখিদের মধ্যে চাঞ্চল্য দেখা দিলো।
(১৩) পরিযায়ী পাখিদের সাথে আমাদের ছোট্ট দুষ্টু মাছরাঙারাও এখানে আছে স্বদর্পে।
(১৩) পরিযায়ী পাখিদের সাথে আমাদের ছোট্ট দুষ্টু মাছরাঙারাও এখানে আছে স্বদর্পে।
(১৪) নলখাগরার বনে কালিম পাখিরা রোদ পোহাচ্ছে।
(১৫/১৬) জলের তলায় মাছ ও জলজ উদ্ভিদগুলো এতো স্বচ্ছভাবে ধরা পরে যা সত্যিই অভাবনীয়।
(১৭) কিছু বিশালাকৃতির ভিন্ন রঙের বক।
(১৮) জলকেলীরত নানা রকম পাখিরা।
(১৯)
(২০)
(২১) ব্যাস্ত এক ঝাঁক কালিম পাখি।
(২২) পানকৌরি।
(২৩/২৪) টাঙ্গুয়ার হাওড়ে পানি শুকিয়ে আসার সময় এখানে চলে পুলিশ, ম্যাজিষ্টেট, জেলে ও আশেপাশের গ্রাম বাসীদের সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ।
(২৫) ভাগ্য ভালো থাকলে জেলেদের রান্না করা সুস্বাদু খাবারও আপনার জুটতে পারে
(২৬) সবুজ মখমলের বিছানাটা সত্যিই ছিলো খুব মজাদার
(২৭) টাঙ্গুয়ার হাওড় দেখে ফেরার পথে সবার মনে এমন অকৃত্রিম হাসি থাকবে এ আর অস্বাভাবিক কি ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।