শ্রীলঙ্কাকে হারাতে শেষ দিনে ৪৫৫ রান করতে হবে বাংলাদেশকে। হাতে ১০ উইকেট থাকলেও ব্যাটসম্যানদের কোনো ঝুঁকি না নেয়ার পরামর্শ দিয়ে জার্গেনসেন বলেন, “আমার ধৈর্য ধরতে হবে এবং সারা দিন ব্যাট করতে হবে। ওদের দুই ব্যাটিং গ্রেট মাহেলা জয়াবর্ধনে ও কুমার সাঙ্গাকারার কাছ থেকে আমাদের শিখতে হবে এবং তা কাজে লাগাতে হবে। আমাদের দলটি তরুণদের নিয়ে গড়া। এবং তারা যথেষ্ট ধারাবাহিক নয়।
”
‘শিষ্য’দের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “ধৈর্য ধরো, এক-দুই রান নিয়ে খেলো আর বেসিকগুলো ঠিকমতো করো। তবে এই উইকেটে বাজে বলগুলো থেকে রানও নিতে হবে। ”
গত দেড় বছরে কয়েকবার টেস্টে পাঁচশ’র ওপরে রান করেছে বাংলাদেশ। তবে টেস্টসুলভ রক্ষণাত্মক ব্যাটিং এখনো ভালোভাবে শিখতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।
জার্গেনসেনের ধারণা, অভিজ্ঞতার অভাবই তার কারণ।
“আমাদের ম্যাচের কঠিন সময় নিয়ে আরো বেশি কাজ করতে হবে। কঠিন সময়ে আমরা ঠিকভাবে খেলতে পারি না। বিরতির আগে-পরে উইকেট হারাই। ”
এই সিরিজের শুরু থেকে কোনো কিছুই বাংলাদেশের পরিকল্পনা মতো হয়নি। তবে শেষটা ভালো করে রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ জার্গেনসেন।
তিনি বলেন, “আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে আমরা পুরো দিন ব্যাট করেছিলাম। শনিবার তার পুনরাবৃত্তি করতে হবে। শুরুটা ভালোই হয়েছে, তামিম-শুভকে স্বচ্ছন্দ মনে হয়েছে। ”
আম্পায়ারের কিছু সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করে জার্গেনসেন আরো বলেন, “নিঃসন্দেহে কিছু সিদ্ধান্ত আমাদের পক্ষে যায়নি।
গত আড়াই বছর ধরেই আমি এটা দেখে আসছি। এটা ভীষণ হতাশাজনক। খেলোয়াড়রা এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বল প্যাডে লাগলেই আউট হওয়ার দুর্ভাবনা তাড়া করছে তাদের। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।