রোববার বিকেলে ধানমন্ডির ডাব্লিউভিএ মিলনায়তনে প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর ৯২তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভায় অর্থমন্ত্রী একথা বলেন।
মুহিত বলেন, “যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ার কারণে বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০১৩ সন একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ‘হোতা’র প্ররোচনায় এবছরই হেফাজতীরা নতুন দল হিসেবে এসেছে। ”
“এই ব্যাটারা ধর্মের জন্য কখনোই কিছু করে নি। দেশের ইসলামকে জনগণই রক্ষা করেছে।
”
অর্থমন্ত্রী বলেন, “হেফাজতকে মোকাবেলায় আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি ছিল না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজত একত্রিত হয়েছে। ”
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে মূলত ককটেলের ভয় দেখিয়ে দেশকে অচল করার চেষ্টা করেছে বিএনপি ও জামায়াত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মুহিত শংকা প্রকাশ করেন, “আমি ভয়ে আছি কারণ এদের হোতা (খালেদা জিয়া) হিপনোসিস বা কৃত্রিম নিদ্রায় আছেন। ”
এসময় তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করতে দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হবার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর, শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী, কবীর চৌধুরীর তনয়া শাহীন কবীর।
অনুষ্ঠানে বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর বলেন, “বাংলাদেশে ধর্মের নামে উপদ্রব দেখা দিয়েছে।
যারা ধর্মের নামে ‘ওয়াজ’ করছেন তারা বদমাশ ছাড়া কিছু নয়। ”
এইসব বদমাশদের কাছে দেশের মানুষের কিছু শেখার নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, “আমাদের শেখার কি আছে মওদুদীর কাছে, যুদ্ধাপরাধীদের কাছে, যারা সেলে বসে মৃত্যু পরোয়ানা গুণছে। ”
তিনি বলেন, “আমাদের কারো এদের বিরুদ্ধে সত্যি কথাগুলো বলার সাহস নেই । কিন্তু কবীর ভাইয়ের ছিল।
”
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুনতাসীর মামুন এবং অধ্যাপক কবীর চৌধুরী স্মারক বক্তৃতা পাঠ করেন মেসবাহ কামাল।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।