গত ৪ মে ২০১০ সাল ইহুদীবাদী ইসরাইলের একজন কারারক্ষী পবিত্র কোরানের পৃষ্ঠা ছিড়ে ফেলার পর ফিলিস্তিনে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল এবং যেই ঝড়ের তান্ডব বাংলাদেশের ধর্ম ব্যবসায়ী হেফাজতি জামাতিরাও দেখিয়েছিল ঢাকার রাজপথে।
২১-২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১২, কোরান পোড়ানোর প্রতিবাদে আফগানিস্তানে সহিংস প্রতিবাদ হয়েছিল। সারা মুসলিম বিশ্বে এই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছিল।
ডিসেম্বর ২২, ২০১২ তারিখে ‘দ্যা টাইমস অব ইন্ডিয়া’ পত্রিকার এক প্রতিবেদন মোতাবেক, উগ্র মুসলিম জনতা এক পুলিশ স্টেশনে হামলা চালিয়ে কোরান পুড়ানোর অভিযোগে অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে পুলিশ হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়ে তাকে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে। এছাড়া তসলিমা নাসরিন, সালমান রুশদী, ইরানের পারভিন আরদালান, প্রথম আলোর কার্টুনিষ্ট আরিফ সহ সারা বিশ্বে এই অবমাননাকারীদের সংখ্যা নেহাত কম নয়।
এই সব অবমাননাকারীদের বিচারে দায়ভার বরাবরই বিশ্বের মোল্লা সম্প্রদায় স্বপ্রণোদিত হয়ে কাধে তুলে নিয়েছে এবং সারা বিশ্বে তান্ডব চালিয়েছিল । কিন্তু ৫ই মে বায়তুল মোকারমের পাশের দোকান গুলিতে আগুন দিয়ে শত শত পবিত্র কুরআন পুরানো হলো এর প্রতিবাদে বাংলাদেশের ধর্ম ব্যবসায়ী জামায়াত, তেতুল শফীর হেফাজতী আর নাস্তিক/আস্তিকদের সাটিফিকেট প্রদানকারী বেপর্দানী বেগম খালেদা জিয়া/ফালু মুখে কোন শব্দ নেই । সাথে সারা পৃথিবীর ধর্ম ব্যবসায়ীরাও চুপ । কারন এই ঘটনার জন্য তো ইহুদীরা সারা দুনিয়ার ধর্ম ব্যবসায়ীদের টাকা দেয় নাই মুসলীম দেশ গুলিতে অরজগতা সৃষ্টির জন্য । তাই এত গুলো কুরআন পুরানোর পরেও সবাই এক সাথে চুপ করে আছে ।
এখন আপনারাই বলুন বাংলাদেশের ধর্ম ব্যবসায়ীদের নবীর প্রতি, ইসলাম ধর্মের প্রতি ভালবাসা আছে ? নাকি বেপর্দানী বেগম খালেদা জিয়া/ফালু কে ক্ষমতায় নেওয়ার জন্য ধর্মের নামে অহেতুক দেশের মধ্যে নৈরাজ্য সৃষ্টি চেষ্টা করছে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।