পটুয়াখালীর গলাচিপার পানপট্টি ইউনিয়নের পরকীয়া প্রেমিক-প্রেমিকাকে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসীর সহায়তায় ইউনিয়ন পরিষদ। ঘটনাটি ঘটেছে ইউনিয়নের বিবির হাওলা গ্রামের ওয়াপদা বেরি বাঁধের উপরে। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত ৯ টার দিকে হাজী মুঃ নূর হোসেনের ছেলে আলী আজগর (৩৫) ও তারই আপন শ্যালক মোশারেফ প্যাদার তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী জ্যোৎস্না বেগম (২৫) কে অসৎ কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় স্থানীয় জনগন হাতে নাতে ধরে এলাকার মেম্বর মোঃ হাফিজুর রহমান, ইউনিয়ন দফাদার মজিবর হোসেন ও গ্রাম পুলিশ আজাহার আলীর হাতে তুলে দেয়। পর দিন আজ সকাল ১০টার দিকে প্রেমিক প্রেমিকাকে পানপট্টি ইউনিয়ন পরিষদে হাজির করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মুঃ হানিফ মীরার উপস্থিতিতে শালিসির মাধ্যমে আজগরকে ৩০ হাজার টাকা ও জ্যোত্স্না বেগমকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে ঘটনাটি স্পর্শকাতর মনে করে বিষয়টি গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিশির কুমার পালকে অবহিত করলে, তিনি এস আই মুঃ ফখর উদ্দিনকে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য পানপট্টি ইউনিয়ন পরিষদে পাঠান।
বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে শালিসগন আসামীদেরকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। ঘটনা সূত্রে আরো জানা যায়, দীর্ঘ দিন যাবৎ এই প্রেমিক-প্রেমিকার পরকীয়া প্রেম চলছিল। প্রায় ২ বছর পূর্বে এই অবৈধ সম্পর্ক টের পেয়ে জ্যোৎস্না বেগমকে তালাক দেয় তার স্বামী মোশারেফ প্যাদা। এর পরেও থেমে থাকেনি তাদের গোপণ অভিসার। আলী আজগরের বর্তমান স্ত্রী বিবির হাওলা গ্রামের মৃত মোতাহার আলী প্যাদার মেয়ে দুই সন্তানের জননী (১ ছেলে ও ১ মেয়ে) পারভিন আক্তার লজ্জা, ক্ষোভ, আতঙ্ক ও হতাশায় এখন দিশেহারা।
জ্যোৎস্না বেগম সতিরাম গ্রামের নূর ইসলামের মেয়ে। অসৎ কাজে লিপ্ত থাকার কারনে ৫৪ ধারায় তাদেরকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।