আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গলাচিপায় তরমুজ চাষিদের মুখে হাসি

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় তরমুজ চাষিদের এবার অধিক ফলন হওয়ায় তাদের মাঝে আনন্দের যেন শেষ নেই। বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে দেখা গেছে, তরমুজ চাষ করে বিগত বছরের তুলনায় এ বছর খুব ভাল ফলন পেয়েছে বলে পানপট্টি ইউনিয়নের কাজীকান্দার কৃষক আবদুস সোবাহান গাজী  বলেন। তিনি ১ একর জমিতে ১ লক্ষ টাকা খরচ করে তরমুজ চাষ করে ৭ লক্ষ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন। তিনি আরো বলেন, যদি ভাল মানের বীজ হয় এবং সঠিক ভাবে পরিচর্যা করা যায় তাহলে একজন তরমুজ চাষি মোট  খরচের ৭ গুণ লাভের অংশ নিয়ে ঘরে ফিরতে পারে।  

সঠিক সময়ে তরমুজের উন্নত বীজ রোপন করাই ভাল ফলন পাওয়ার প্রথম ধাপ।

তরমুজের বীজ বপন করার প্রকৃত মৌসুম হচ্ছে পৌষ ও মাঘ মাস। এ রসালো সুস্বাদু ফল বছরে একবারই ফলে। তাই এ মৌসুমেই চাষিরা তরমুজ চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। দক্ষিণের চরাঞ্চলে তরমুজ একটি সম্ভাবনাময়ী লাভজনক মৌসুমি ফল, তাই  চাষিরা সারা বছরের মধ্যে এ সময়টার জন্যই অপেক্ষায় থাকেন বলে দক্ষিন পানপট্টির কৃষক তালিম মৃধা জানান।  

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পানপট্টির গ্রামর্দনের কৃষক জাফর খাঁ বলেন, সবাই ভাল ফলনের আশায় উন্নতমানের বীজ ক্রয় করেন।

বাজারে বিভিন্ন জাতের বীজ পাওয়া যায়, তবে কোনটা আসল কোনটা নকল তা বোঝা মুশকিল। কিন্তু বিক্রেতারা সব জাতের বীজ ভাল বলেই বিক্রি করে থাকেন।  

এ বছর বাংলাদেশের পায়রা এগ্রো লিঃ আমেরিকা থেকে এই প্রথম বারের মত 'লং ড্রাগন' ও 'বস্নাক ডায়মন্ড' নামে  উন্নত মানের তরমুজের বীজ আমদানি করে কৃষকদের মাঝে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে সাড়া জাগিয়েছেন। এছাড়া ভাল মানের বীজ হিসেবে কৃষকরা যা বপন করেছে তার মধ্যে জাপানের 'বিগ ফ্যামিলি', 'হান্টা', 'জাগুয়ার', 'জাম্বু জাগুয়ার', 'অল কুইন', থাইল্যান্ডের 'বাদশা', 'ড্রাগন' উল্লেখযোগ্য।  

সরকারী ভাবে যদি কৃষকদের মাঝে স্বল্প মূল্যে উন্নত মানের বীজ, সার ও প্রয়োজনীয় কীটনাশক ঔষধ বিতরণ করা হয়, তাহলে কৃষকদের মাঝে উৎসাহ অনেক গুণ বৃদ্ধি পাবে, ফলে কৃষকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে সমগ্র বাংলাদেশে একটি কৃষি বিপ্লব ঘটিয়ে দেশের মৌসুমী ফলের ঘাটতি পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।

সরকারী কৃষি অফিস থেকে কৃষকের সহায়তা করার কথা থাকলেও কোন কৃষক তা পায়না।  

গলাচিপা উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বঙ্কিম চন্দ্র দাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ মৌসুমে সরকারী ভাবে তরমুজ চাষিদের জন্য কোন বীজ, সার ও কীটনাশক ঔষধের বরাদ্দ আমরা দিতে পারিনি, তবে এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে আগামী মৌসুমে তরমুজ চাষিদেরকে সার্বিক ভাবে সাহায্য ও সহযোগিতা করার চেষ্টা করব।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।