আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফ্লাস ব্যাক -

স্বাধীন বাংলাদেশে জন্ম

২০০৮ সালে গঠিত আওয়ামী সরকারের কিছু প্রাপ্তী সর্বগ্রাসী দুর্নীতিতে দেশ দেউলিয়ার পথে


বর্তমান মহাজোট সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের দিনবদলের সনদের অগ্রাধিকারের পাঁচটি বিষয়ের অন্যতম এজেন্ডা ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ। অথচ এ সরকারের আমলে মতাসীনদের দুর্নীতির রাহুগ্রাসে পুরো অর্থনীতি আজ স্থবির হয়ে পড়েছে। দেশের মুদ্রাবাজার ও পুঁজিবাজার হুমকির মুখে। সরকারের দলীয়করণের কারণে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে চলছে অস্থিরতা। শেয়ারবাজারে লাখ লাখ বিনিয়োগকারী তাদের সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসেছেন।

সরকারের উচ্চমহলের দুর্নীতির কারণে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের দুর্নীতির কারণে সাধারণ জনগণকে প্রতি মাসে অতিরিক্ত ব্যয় বৃদ্ধির চাপে পড়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ সরকারের আমলে ছয়বার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ থেকে সাম্প্রতিককালে বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তাদের মতে, যার পরিমাণ বছরে গড়ে প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার বা ২৫ হাজার কোটি টাকার মতো।

এসব টাকার প্রায় পুরোটাই অপ্রদর্শিত অর্থ বা কথিত কালো টাকা। সরকার এসব অর্থ বিনিয়োগে আনতে পারছে না। দেশে ঘুষ-দুর্নীতি, অন্যায়-অনিয়ম যতো বাড়ছে, ততোই বাড়ছে কালো টাকার পরিমাণ। বর্তমান সরকার মতায় আসার পর এটা ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। শুধু ২০১০ সালেই শেয়ারবাজার লুটের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে এক বছরে বিদেশে পাচার হয়ে যায় প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার বা ৬০ হাজার কোটি টাকা।

এরপর গত বছর কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র আমদানির নামে আরো প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার বা ৪০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অবশ্য অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বর্তমান আমলে এসে বাংলাদেশের দুর্নীতির বার্ষিক পরিমাণ জিডিপির ৫ শতাংশ অর্থাৎ ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। আর বার্ষিক ৫০ হাজার টাকার দুর্নীতি হলে গত ৪ বছরে এ সরকারের আমলে প্রায় দুই লাখ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।

শেয়ারবাজারে লুটপাট
মহাজোট সরকার মতায় আসার পর ক্ষমতাসীনদের প্রত্য মদদে পুঁজিবাজার থেকে লুটপাট করা হয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ৭০ থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকা। অবশ্য কেউ কেউ বলেছেন শেয়ারবাজার থেকে এ লুটের পরিমাণ প্রায় এক লাখ কোটি টাকা হবে।

সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ট কয়েক ব্যক্তির যোগসাজশে শেয়ারবাজার থেকে এ টাকা লুটপাট হয়েছে। আর শেয়ারাবাজারের এ লুটপাটের কারণে তিগ্রস্ত হয়েছে দেশের ৩৬ লাখ ুদ্র্র বিনিয়োগকারী। শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির ঘটনায় গঠিত ইব্রাহিম খালেদের তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ না করার পেছনে দেশের জনগণ মনে করছে, এই লুটপাটের সাথে সরকারের সর্বোচ্চ মহল ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আর এই করুণ পরিণতির শিকার হয়ে জীবনের সর্বস্ব হারিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন অনেকে, যা গোটা জাতির জন্য বেদনাদায়ক।

কুইক রেন্টালে দুর্নীতি
দেশে সাধারণ জনগণের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না বর্তমান সরকার।

তাই প্রয়োজন বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়ানো। উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সরকার তার সংশ্লিষ্ট বিভাগ বা মন্ত্রণালয়গুলোকে কাজে লাগাতে পারে। বিদ্যুৎ উৎপাদন একটি বড় বিষয় এবং উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন বৃহৎ পুঁজি। সাধারণ জনগণ বা ছোট আকারের কোন ব্যবসায়ীর পক্ষে এত বড় পুঁজির সংস্থান করা সম্ভব নয়। তাই বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই রাষ্ট্র ও সরকারের উদ্যোগেই বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

কিন্তু বর্তমান সরকার মতায় আসার পর বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সরকারদলীয় কিছু বেসরকারি কোম্পানিকে বেছে নেয়া হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে সরকার তার দলীয় লোকদের ব্যবসায়িক স্বার্থে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মতো একটি জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ খাতের ব্যাপারে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুধু তাই নয় সরকার বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের এ কাজটি বিনা টেন্ডারে তাদের দলীয় লোকদের হাতে দিয়ে দিয়েছে। আর বিনা টেন্ডারে উচ্চমূল্যের কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের নামে বিদ্যুৎ খাতের যে দুর্নীতিকে আবার সরকার আইন করে দায়মুক্তিও দিয়েছে। এরপর গত বছর কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র আমদানির নামে আরো প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার বা ৪০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।



পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি
পদ্মা সেতু প্রকল্প দণিবঙ্গের জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি। জাতীয় অর্থনীতিতে এ সেতুর নির্মাণকে বিশেষ প্রকল্প হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। অথচ বর্তমান সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে গত ২৯ জুন বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর ঋণচুক্তি বাতিল করে দেয়। শুধু তাই নয়, বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির অভিযোগের প্রেেিত সরকারের একজন মন্ত্রীকে পদত্যাগ ও একজন উপদেষ্টাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে যেতে হয়েছে। পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সাথে সরকারের চরম বিরোধের প্রেেিত বিশ্বব্যাংকের প হতে পদ্মা সেতু প্রকল্পের ঋণ বাতিল করে গত ৩০ জুন একটি বিবৃতি প্রদান করা হয়েছে।

তাতে বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। দাতা সংস্থাটি বলেছে, এসব অভিযোগের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার থেকে পর্যাপ্ত বা ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। বিশ্বব্যাংকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের ব্যাপারে বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা, এসএনসি-লাভালিনের কর্মকর্তা এবং বেসরকারি পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের দুর্নীতিমূলক ষড়যন্ত্র সম্পর্কে বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত দুর্নীতির বিশ্বাসযোগ্য তথ্য-প্রমাণ বিশ্বব্যাংকের কাছে রয়েছে। বিশ্বব্যাংক ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর ও ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে দু’টি তদন্তের তথ্য-প্রমাণ প্রদান করেছে। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ কর্তৃপকে বিষয়টির পূর্ণ তদন্ত করতে এবং যথাযথ বিবেচিত হলে দুর্নীতির জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিল।

কিন্তু আওয়ামী সরকার বিশ্বব্যাংকের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে বিকল্প পন্থায় সেতু নির্মাণের উদ্যোগের কথা বলে। জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য এসব কথা বললেও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন ছাড়া নির্মাণ যে সম্ভব নয় তা সরকার ভালোভাবেই উপলব্ধি করে। পদ্মা সেতুতে তাই বাধ্য হয়ে সরকার বিশ্বব্যাংকের সকল দাবি মেনে নেয় এবং পদ্মা সেতু নির্মাণে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। তবে পদ্মা সেতু নির্মাণ কবে শুরু হবে তা নিশ্চিত করে বলা কঠিন। যাদের কারণে পদ্মা সেতু নির্মাণ দেরি হলো তাদেরকে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা উচিত।

সরকার একদিকে বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করছে অন্য দিকে বিশ্বব্যাংকের নিকট থেকে অর্থ আদায়ের তদবির করছে ফলে এখন দেশের মানুষ মনে করছে আওয়ামী লীগ দুর্নীতি করে নিজের পকেট ভর্তি করছে। তাই আওয়ামী লীগ আদৌ পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পারবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।

ডেসটিনির ৩২৮৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ
সরকারের মদদপুষ্টদের সহযোগিতায় ডেসটিনি নামক একটি গ্র“প সাধারণ জনগণ থেকে তিন হাজার ২৮৫ কোটি টাকা আর্থিক প্রতারণা ও অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর ও মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে আত্মসাৎ করে। আর অর্থ আত্মসাৎকারী প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট সেক্টরস কমান্ডারস্ ফোরামের সাবেক সেক্রেটারি লে.জে. (অব হারুন-উর রশীদ নিজেই। রাষ্ট্রীয় সংস্থা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বেশ কয়েকবার তদন্ত শেষে ডেসটিনির বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনে।

দুদক জানায়, ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেড কর্তৃপ ডেসটিনি ট্রি প্ল্যানটেশন ও ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মাধ্যমে প্রায় ৪ হাজার কোটি সংগ্রহ করে। কিন্তু বর্তমানে তাদের পৃথক দু’টি অ্যাকাউন্টে ৫৬ লাখ ও ৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। বাকি টাকা তারা মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছে।

ব্যাংকিং খাত থেকে লুটপাট
২০০৯ থেকে ২০১২ সালের জুন পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে সোনালী, রূপালী, অগ্রণী, জনতা, কৃষি ও বেসরকারিসহ ২৫টি ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ হাজার কোটি টাকা লোপাট করা হয়। ব্যাংকগুলো রফতানি মূল্য কম দেখিয়ে এবং আমদানি মূল্য বেশি দেখিয়ে এসব টাকা লোপাট করেছে।

ব্যাংকগুলো থেকে এই বিপুল অর্থ সরিয়ে ফেলার সঙ্গে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কিছু কর্মকর্তার প্রত্য ও পরো সহযোগিতার প্রমাণ পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে এলসি খুলে এ সব ব্যাংকের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করা হয়েছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক তদন্তে দেখা গেছে, করপোরেট গ্রাহকের অনুকূলে ঋণপত্র স্থাপনের েেত্র বোর্ডের অনুমোদন ছাড়াই শাখা ব্যবস্থাপকেরা মতাবহির্ভূতভাবে ঋণপত্র খুলেছেন। কোনো ধরনের সহায়ক জামানত ছাড়াই অনেক সময় নন-ফান্ডেড ঋণ (ডেফার্ড এলসি ও সাইট এলসি) সুবিধা দেয়া হয়েছে।

হলমার্ক কেলেঙ্কারি
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের এক নিরীায় সোনালী ব্যাংক থেকে তিন হাজার ৬০৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা সরিয়ে ফেলার তথ্য বেরিয়ে আসে।

এর মধ্যে সরকারের মদদপুষ্ট হলমার্ক গ্রুপ একাই তুলে নেয় দুই হাজার ৬০০ কোটি টাকার বেশি। আর এ অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ডা: সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীই নয় বরং সরকারের উচ্চ পর্যায়ের অনেকে জড়িত। তাই কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সাপ বের হওয়ার আশঙ্কায় সরকার পুরো বিষয়টিকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। সোনালী ব্যাংকের যে শাখা থেকে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা সরানোর ওই ঘটনা ঘটেছে, সেই শাখায় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার যাতায়াতের খবর কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় আসে। এসব প্রতিবেদনে বলা হয়, মোদাচ্ছের আলীর প্রভাবেই হলমার্ক গ্রুপ নিয়ম ভেঙে ঋণের টাকা তুলে নেয় আর রাষ্ট্রীয় সংস্থা দুর্নীতি দমন কমিশন এ অভিযোগের তদন্ত করছে।

সোনালী ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের ইতোমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। হলমার্কের অর্থ কেলেঙ্কারি ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীকে ‘ইতোমধ্যে’ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান। বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) আতাউল হাকিম জানান, সরকারের উন্নয়ন বাজেটের (এডিপি) ৪০ থেকে ৫০ শতাংশই দুর্নীতির মাধ্যমে প্রতি বছর লুটপাট হয়ে যায়। এ সংক্রান্ত হাজার হাজার কোটি টাকার অডিট আপত্তি আটকে রয়েছে। সরকারের খোদ পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খোন্দকার বলেছেন, এডিপির মাত্র ২৫ শতাংশ জনগণের কাজে লাগে।

বাকিটা দুর্নীতি ও অপচয় হয়ে যাচ্ছে। বর্তমান ২০১২-১৩ অর্থবছরে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাজেট হচ্ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা। ওদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) খোদ চেয়ারম্যানই স্বীকার করেছেন যে, বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন আসলে একটি নখ-দন্তহীন কাগুজে বাঘ। সকল ক্ষমতা আসলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। যে কারণে দুর্নীতি প্রতিরোধে তারা অক্ষম।

বিশ্বব্যাংকসহ অন্য দাতারাও এজন্য দুদকের ওপর ভরসা রাখতে পারে না। অথচ সরকার তার নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছিল দুর্নীতি দমন কমিশনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে শক্তিশালী করা হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধে বহুমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.