আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিহরিত স্পন্দন



তুসারের সাথে ইরার পরিচয় টা ফেইসবুকে -
অনেক দিন হলো তুসার আর ইরা একে অপরের ফ্রেন্ড লিস্টে কিন্তু কখন ও কথা হয়নি একে অপরের সাথে ।
ইরার আজ মন খারাপ তাই হটাৎ গভীর রাতে আজ অনলাইনে আসা ।
সাধারনত ইরা রাতে খুব একটা অনলাইন হয় না।
অনলাইন হয়েই ইরা দেখলো তুসার ছাড়া আর কেও নাই অনলাইনে।

ইরা knock করলো তুসার কে-
তুসারঃ শুধু একটা স্ম্যাইল দিলো ।

এর পরে অনেক ক্ষন আর কোন কথা হলো না দুই জনের মাঝে।
এর কিছুক্ষন পর ইরা আবার knock করলো তুসার কে

ইরা- কি জনাব ব্যস্ত নাকি ?
তুসারঃ নাহ। আসলে এসাইনম্যান্টের কাজ করছিলাম তো।
ইরাঃ ওহ সরি তাহলে তো বিরক্ত করলাম।
তুসারঃ না না।

এখন অবশ্য ফ্রী।
ইরাঃ আচ্ছা যাই ঘুম পাচ্ছে এখন ঘুমাতে যাই।

তুসার ম্যাসেজ টা আর দেখার প্রয়োজন বোধ করেনি। এক টা আননোন মেয়ে হাই হ্যালো করলো এইটা মনে রাখার মত কিছু ই ছিলো না।

কি মনে করে তুসার ঘুমানোর আগে ইরার ওয়ালে গেলো।

তুসার ইরার ওয়ালে গিয়ে তো চোখ ছানাবাড়া অবস্থা। এই যেনো এক পরী। ইরার সৌন্দর্যের বর্ননা না দিলে ই নয়। রেশম কালো চুল তার - খাড়া নাক। আর গায়ের রঙ তো দুধে আলতা।

- এর পরে তুসার ইরার একটা পিকচার এ কমেন্টস করলে " অসাধারন"
সেই থেকে শুরু। দুই জন দুই জনের ওয়ালে প্রতিদিন এক বার যাওয়া যেনো নিত্যদিদের ব্যাপার।

আজ কাল তুসারের ফেইসবুকে আসা ই ইরার জন্য -
ইরা ঐ তির্থের কাকের মত বসে থাকে তুসারের ম্যাসেজের অপেক্ষায় ।
এই ভাবে ই সময় যাচ্ছিলো তার নিজস্ব গতিতে।

সেই দিন খুব বৃষ্টি হচ্ছিলো ।

রোমান্টিক পরিবেশ । সেই সাথে সেই দিন ইরার মনটাও ছিল ভালো । তাই তুসার সেই দিনই তার না বলা সব কথা ইরাকে ফেইসবুকে মেসেজ করে জানালো । ইরার উত্তরের জন্য তুসার অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে লাগলো । কবে সে তার রাজকন্যার মুখ থেকে সেই বহুল আকাংক্ষিত কথাটা শুনতে পাবে ? কবে দুটি মন এক হবে ? তুসারের মনে অনবরত সেই সব না জানা কথা হানা দিতে লাগলো ।

অবশেষে সকালে ঘুম থেকে ওঠে ফেইসবুকে লগ ইন করা মাত্র দেখল ইরার মেসেজ । অধীর আগ্রহে ভয়ে ভয়ে ইনবক্স ওপেন করলো তুসার । ইরার উত্তর ছিল টিক এই রকম- really ? what a jokes !!!

ইরার মুখ থেকে একটিবার ভালবাসি কথাটা শুনার জন্য মন চটপট করতো । ভাবতে ভাবতে তুসারের রাত কেটে যেতো - কিন্তু না - সেই দিনের পর থেকে ইরা যেনো বদলে যেতে শুরু করলো । আসলে ইরা কি চায় ইরা নিজে ও বুঝতে পারতেছে না।

এই দিকে তুসার ও অসহায়ের মত দিন কাটাচ্ছে।

আজ কাল ইরা অনেক অচেনা হয়ে যাচ্ছে। তবে কি ইরা তমাল কে আজ ও ভুলতে পারেনি ? তমালের সাথে কাটানো সেই মুহুর্ত গুলো ইরা আজ ও কি তবে ভুলে নি? মনে পড়ে গেলো সেই দিন ও অনেক বৃস্টি ছিলো । এক ছাতার নিচে দাঁড়িয়ে ভালোবাসি বলেছিলো তমাল । ইরার মৌনতা তমাল কে প্রশ্রয় দেয়।

ইরার ঠোটে আলতো করে চুমু একে দেয় সেই দিন তমাল সেই পথ চলা। আজ তমাল নেই। কিন্তু তার সাথে কাটানো সৃতি গুলো থেকে বের হতে পারে না ইরা।

এই দিকে তুসার ইরার কথা ভেবে অসুস্থ হয়ে যায়। ১০৩ ডিগ্রি জর নিয়ে তুসার হাসপাতালে ভর্তি - এই কথা শোনা মাত্র ইরা কেমন জানি অস্থির হয়ে যায়।

বুঝতে পারে সে তুসার কে ভালবাসে তাইতো তুসারের জন্য এই অস্থিরতা। আর সময় নস্ট করতে চায় না ইরা। ছুটে যায় তুসারের কাছে। সব কিছু ভুলে ঝাপিয়ে পড়ে তুসারের বুকে। উস্ন আলিঙ্গনে কাছে টেনে নেয় হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকা তুসার কে।


চুম্মন একে দেয় তুসারের কপালে। পরম আবেগে জড়িয়ে ধরে তুসার ইরা কে ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।