বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড পলিমার সায়েন্স’ বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা শনিবার সকাল পৌনে ১১টা থেকে বেলা পৌনে ১টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষক আহতের ঘটনায় আসামিদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ বন্ধের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
শুক্রবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে জুমার নামাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে বহিরাগত এক ব্যক্তির মোটরসাইকেলের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সায়েন্স বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ রাকিব উদ্দিন। তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে শিক্ষক সমিতির সম্পাদক মো. ফারুক উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে শিক্ষক সমিতিরও নৈতিক সমর্থন রয়েছে।
কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সায়েন্স বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মস্তাবুর রহমান বলেন, “চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রাকিবের বাম পায়ের দুটি হাড় ভেঙে গেছে। শরীরের নানা স্থানে আঘাত পেয়েছেন। ”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিমাদ্রী শেখর রায় জানান, মোটরসাইকেলসহ দুই আরোহীকেও পুলিশ আটক করেছে। তাদের মধ্যে আহত একজন একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ওই ঘটনার পর শুক্রবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।
রাতেই একটি মামলা করা হয়েছে জানিয়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, মামলার পরও দুই মোটরসাইকেল আরোহীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যাবস্থা নেয়নি পুলিশ।
এদিকে সকালে অবরোধস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের চলে যেতে বলেন মহানগর পুলিশের জালালাবাদ জোনের সহকারী কমিশনার রাজন চন্দ্র দাস। একপর্যায়ে তার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বাকবিতণ্ডাও হয়।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আমিনুল হক ভূইয়া, শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো ইউনুছ, প্রক্টর হিমাদ্রী শেখর রায় এবং জালালাবাদ থানার ওসি গৌসুল হোসেন এসে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেয়।
ওসি গৌসুল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাতে দুই মোটরসাইকেল আরোহীকে আসামি করে থানায় একটি মামলা হয়েছে।
তবে তাদের এখনো গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। ”
প্রক্টর বলেন, “শিক্ষার্থীরা যৌক্তিক দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছে। আমরা তাদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলে তারা চলে যায়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।