শুভ বার্তা আল্লাহর পক্ষ হতে মানুষের কল্যান
আর সেই আল্লাহর অলি
যে মিশে রয় তারি প্রেম জ্বালি
জগতে আনে তারা মানবের মুক্তির সন্ধান ।
একটা মানুষ কে গড়ে তুলতে কত টুকু সাধনার প্রয়োজন ।
একটা মানুষের জীবন রক্ষায় কি যে প্রানান্তর রন অভিযান ।
অথচ পক্ষান্তরে একটা মানুষকে যমের বাড়ি পৌছাতে সামান্য সময় ও ব্যয় হয়না যদি কৌশলটা হয় মারনাস্ত্রের মাধ্যমে ।
হযরত বড় পীর শাহ সৈয়দ সুলতান আব্দুল কাদের জিলানি রা
তার আত্তাধিক রুহানি শক্তি প্রাথমিক সময় এত টুকু প্রবল ছিল যে
অপবিত্র কুটিল মনে কেহ দূর থেকে তার বিরুদ্ধে বেয়াদবি করলে
সাথে সাথে বেয়াদবের শীর আল্লাহর ক্ষুত্রতে মস্তক হইতে আলাদা
হয়ে যেত ।
একদিন আল্লাহর পক্ষ থেকে গাইবি আওয়াজ আসে , হে আমার প্রিয় খাস বান্ধা ,তুমি কি জান একটা জীব সৃষ্টি করতে আমার কি পরিমান ক্ষুত্রতি কৌশল প্রয়োজন পড়ে , তুমি এহেন তাজাল্লি
কাণ্ড বন্ধ করে তাদের নিকট সহজ ভাবে হেদায়াত পৌঁছে দাও
মুলত তারা অজ্ঞ /
একদিন বালক আব্দুল কাদির প্রাত কালে নদী তিরে গমন করলে ।
এক বৃদ্ধাকে রোধন করে কাদতে দেখে , জিজ্ঞাসে হে বুড়ি কাদ কেন ?উত্তর আসে মন্মান্তিক ।
বাবা বার বছর আগে আমার একমাত্র আদরের দুলাল কে বিয়ে
করানোর উদ্দ্যশ্য অনেক বড় যাত্রি সহ আনন্দ উৎ সব পরিবেশে ,
এই নদীতে নৌকা যোগে শ্বশুরালয়ে পাটিয়েছিলাম । , কিন্তু ভাগ্যর কি পরিহাস
বউ লয়ে ফিয়ে আসার সময় ঝড়ের কবলে সবাই সলিল সমাধি
লাভ করে । বালক আব্দুল কাদির কান্না সহ্য করতে না পেরে
সিজদায় পড়ে আল্লাহর নিকট হাত তুলে হে আল্লাহ বুড়ীর ছেলেকে ফিরিয়ে দাও ।
অদৃশ্য আওয়াজ আসে তার কানে তারা কবেই পানিতে
মাটিতে মিশে গেছে তাদের অস্তিত্ত নাই ।
হে আল্লাহু তোমার ক্ষুত্রত অসিম তোমার গোপনীয়তা আমি জানি । কোটি কোটি বছর পড়ে হাসরের মাটে নিশ্চিহ্ন মানুষকে
ক্ষুত্রতি কৌশলে যদি একত্র করতে পার ,তবে সামান্য বিষয় নিয়ে
আমার ও বুড়ির ফেরেশান দূর কর । যদি আরজি না শুনবে ততক্ষণ আমি তোমার দরবার হইতে মাথা উত্তোলন করবনা ।
আল্লাহর লিলা বুঝা বড় দায় ।
বার বছর পূর্বে যেভাবে বুড়ি সাজায়ে নাও বড় যাত্রি সহ পাটিয়েছিল আনন্দ ঘন পরিবেশে
সেভাবেই সেই সময়ের মত জীবন্ত হয়ে সব দিব্যি ফিরে এল । বুড়ি তার ছেলে বউ সহ সবাইকে
লয়ে ঘরে ফিরল মনের আনন্দে ।
এমন বহু ঘটনা অলি আউলিয়াগনের জীবনীতে পাওয়া যায় ।
জেন মুমিনদের প্রকৃত ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর নিকট থেকে
আসে । আল্লাহ সকলকে বুঝার তাওফিক ও হেদায়েত দিন
আমিন ।
** আল্লাহকে চেনা
হে মানব কিসের লাগি হয়ে বিভাগি
নিজ মনে অনুক্ষন দাও যাতনা
সহসা তারে ভুলে
ভুল পথে যাও চলে
নহে চিন তারে সেই বিধাতারে
যার নিকট চাইতে জানলে পুড়ায় বাসনা ।
তোমাতে অভাব কত
যে দিকেই তাকাও
সাধ্য কি , যাই চাহে এ হৃদয়
তা কি যথেচ্ছা পাও
আকাশের দিকে দেখ দৃষ্টি হেনে
ব্যর্থ ক্লান্ত হয়ে তাই বারে বারে
ফিরিবে নিমিষে
তোমারই তরে
তাই চিত্ত বিধাতার পানে রাখ এক মনে
ফলিবে সুফল কত
রহমতে অবিরত
আকুল হৃদয় খুলে চাইতে যে জানে ।
এম জি আর মাসুদ রানা
কবি / সাহিত্যিক / ও গবেষক ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।