আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন



ঘটনা: এক
ঢাকা শহরে তখন মাত্রই চালু হয়েছে একটি আইন। সব রাস্তায় রিকশা যেতে পারবে না। রিকশার দৌড় এখন নির্দিষ্ট কিছু রাস্তা এবং চিপা গলিতেই সীমাবদ্ধ।
সিলেট থেকে ঢাকায় বেড়াতে এসেছি। রিকশায় চড়ে কোথাও যাচ্ছি।

ট্রাফিক পুলিশ রিকশা আটকালেন। আমাদের লাইনেই অনেকগুলো রিকশা দাঁড়িয়ে আছে।
ট্রাফিক পুলিশকে আমরা অনুরোধ করলাম।
"আঙ্কেল, যেতে দেন না! এই সামান্য পথইতো! হেঁটে গেলে চিনবো না। "
পুলিশ সাহেব আমাদের উড়িয়ে দিলেন, "আইন নাই!"
আমাদের রিকশাওলা ট্রাফিক পুলিশের কাছে এগিয়ে গেল।

কিছু কথা হলো দুজনায়। তারপর রিকশাওয়ালা খুবই রোমান্টিকভাবে পুলিশ মামার হাতে হাত রাখলেন। আমরাতো অবাক! প্রেম করছে নাকি? তখন "গে" কনসেপ্ট সম্পর্কে হালকা পাতলা ধারনা থাকলেও সামনাসামনি গে দেখিনি!
রিকশাওয়ালা হাত সরিয়ে নিলেন। দেখা গেল পুলিশ মামার হাতে চকচকে দুইটাকার নোট। সেই দুইটাকার এতই ক্ষমতা যে সেটা বাংলাদেশ সরকারের "আইন" পরিবর্তন করে ফেললো! আমরা নিষিদ্ধ রাস্তায় রিকশা নিয়ে উঠে পড়লাম।



ঘটনা: দুই

অ্যামেরিকা থেকে দেশে বেড়াতে গিয়েছি। অ্যামেরিকান গ্রীন কার্ডে আমার নামের চৌধুরী বানান "Choudhury" যেখানে এসএসসি এইচএসসি এবং ইউনিভার্সিটি ট্রানস্ক্রিপ্টে চৌধুরী বানান "Chowdhury." "U" এবং "W"র পার্থক্য। দেশের জন্য কোন ঝামেলাই না। দেশের বেশির ভাগ কর্মকান্ডই মানুষের মাধ্যমে হয়। অ্যামেরিকার সবকিছুই কম্পিউটারাইজড।

আর কে না জানে যে কম্পিউটার হচ্ছে একটি স্টুপিড মেশিন, যার সৃষ্টিই হয়েছে আমাদের সাহায্য করার জন্য। এর নিজস্ব কোন বুদ্ধি নেই। "W" এবং "U"র পার্থক্য বোঝার ক্ষমতা এর নেই!
আমার দেশের সার্টিফিকেটসে নাম বদলের দরখাস্ত করে আসলাম। দেশের সবকিছুই যে তালে চলে, আমার একুশ দিনের সফরসূচিতে আমিই সার্টিফিকেট নিয়ে বিদেশ ফেরত যেতে পারব এই আশা রাখি না। কাজেই একটা সত্বায়িত চিঠি লিখতে হলো, যেখানে আমি আমার অবর্তমানে আমার বাবাকে অনুমতি দিয়েছি যাতে তিনি আমার হয়ে আমার সার্টিফিকেটগুলো তুলতে পারেন।

চিঠির সাথে আমার এবং আমার বাবার ছবি, পেছনে ফার্স্ট ক্লাস গ্যাজেটেড অফিসারের সিগনেচার সহ সীল। আমাদেরও সিগনেচার। কোন ফাঁক নেই।
আমি গেলাম এমসি কলেজে। সেখানে হেড ক্লার্ক সাহেব পান চিবাতে চিবাতে আমার চিঠি দেখার আগে আমাকে ভাল করে দেখে নিলেন।

বিদেশী পোশাকআষাকে তখন আমাকে মধ্যবিত্তের চেয়ে একটু উপরের শ্রেণীর ছেলে বলে মনে হয়। তিনি চিঠি হাতে নিয়েই বললেন, "এটাতে কিছুই হবেনা। "
আমি "ভুরু কুঁচকে বললাম কেন? এটাতো সত্বায়িত চিঠি। "
"সত্বায়িত হলেই হলো নাকি? কে এই গ্যাজেটেড অফিসার? ওসমানী মেডিক্যালের প্রফেসর! আমরা চিনি তাঁকে? না। "
এরপর ভদ্রলোক যে কথাটি বললেন, তাতে যে কারো মেজাজ খারাপ হতে বাধ্য।


"ইনিই যে আপনার পিতা তার প্রমান কী?"
বুঝলাম না। আমি মাত্র একবছর হয়েছে দেশের বাইরে। এরমধ্যেই এত পরিবর্তন? দেশে পুত্রের সার্টিফিকেট পিতা তুলতে গেলে এখন কী ডিএনএ পরীক্ষা করাতে হয়? নাকি পকেট থেকে পঞ্চাশ টাকা বের করলেই প্রমাণ হয়ে যাবে এই পাসপোর্ট সাইজের ছবির ব্যক্তিই আমার জন্মদাতা পিতা?
আমি বললাম, "কী করতে হবে তাহলে?"
"আপনাকে সলিড প্রমাণ দিতে হবে যে ইনিই আপনার বাবা। "
"সলিড প্রমাণটা কী?"
"নতুন করে ছবি সত্বায়িত করাতে হবে। আমাদের কাউকে দিয়েই করাতে হবে।

নতুন ছবি তুলে আনেন। নতুন করে অ্যাপ্লিকেশন লিখেন। আপনার আব্বাকে আনান। "
এইসব পরিস্থিতিতে আমার মাথায় আগুন ধরে যাওয়া রোগ আছে। আবার একই সাথে নিজেকে সামলে ফেলারও ক্ষমতা আছে।

আমি অভদ্রতা না করে আব্বুকে ফোন দিলাম।
আব্বু তখন একটা অফিসিয়াল মিটিংয়ে ব্যস্ত। আমি ফোনে বললাম, "মিটিং শেষে এমসি কলেজ আসতে পারবা?"
"কেন?"
"তোমাকে প্রমাণ করতে হবে তুমিই আমার পিতা। "
আব্বু দেশে থাকে। দুনিয়া অনেক দেখেছে।

তাই বুঝে গেল ঘটনা।
"শোনো, হেড ক্লার্ককে বলো, প্রফেসর আনোয়ার তোমার চাচা। কাজ হয়ে যাবার কথা। না হলে জানাও। "
আমি আবার গেলাম জনাব হেড ক্লার্কের কাছে।

আমার কথা শুনে বললেন,
"প্রফেসর সাহেব এখন ডিউটিতে ব্যস্ত আছেন। আপনি অন্য ব্যবস্থা নেন। "
লোকটা চলে গেল ভাইস প্রিন্সিপালের ঘরে আড্ডা দিতে। আমি আবার আব্বুকে ফোন দিলাম। আব্বু বলল মিটিং শেষে আসছে।

আমি যেন অপেক্ষা করি।
সময় যত যেতে লাগলো, মুখ তত তিক্ত হতে লাগলো। দেশের সরকারী কর্মকর্তাদের উপর মন বিষিয়ে উঠতে লাগলো।
জুনিয়র ক্লার্ক ইশারা ইঙ্গিতে বুঝাচ্ছেন আমি যেন কিছু টাকা পকেট থেকে বের করি, তাহলে কাজটা হয়ে যাবে। শুধু শুধু ঝামেলা নিচ্ছি কেন।


আমি দাঁতে দাঁত চেপে আছি। আমি এক পয়সাও ঘুষ দিব না। দেখি এই ব্যাটা কতক্ষণ আমাকে আটকে রাখতে পারে।
আব্বু আসার পরও হেডক্লার্কের কোন পাত্তা নেই। সে তখনও ভাইস প্রিন্সিপালের ঘরে আড্ডায় ব্যস্ত।

দরজার ফাঁক থেকে আমাকে আব্বুর সাথে দেখেছে, তবু ইচ্ছে করেই আসছে না।
অবশেষে তাঁর ইচ্ছে হলো। নিজের টেবিলে এসে বসলেন। ফাইল পত্র নিয়ে একদম ব্যস্ত হয়ে গেলেন। আমাদের পাত্তাই দিচ্ছেন না।


আব্বু মিটিং ফেলে এসেছে। তাঁরও ধৈর্য্য চলে গেছে। বলল, "ম্যাথের প্রফেসর আনোয়ার আমার ভাই হন, তাঁকে ডাকুন, সেই সত্বায়িত করে দিক নাহয়। "
"প্রফেসর সাহেব ভর্তি ফর্ম জমা নেয়ার ডিউটিতে আছেন। তাঁকে ডিস্টার্ব করা যাবে না।

"
লোকটা আর কোন উপায়ের কথা বলছেনও না।
তখন আব্বু মোবাইল ফোন বের করল।
"হ্যালো আনোয়ার? ওয়ালাইকুম সালাম! শোন, আমরা তোমাদের অফিসে দাঁড়িয়ে আছি। তুমি একটু আসতে পারবে? কিছুনা, এই একটা ছবি অ্যাটেস্ট করতে হবে। আমরা করিয়েছি, কিন্তু তোমাদের হেড ক্লার্ক সাহেব বলছেন এমসি কলেজেরই একজন প্রফেসরদ্বারা না করালে হবে না।

আচ্ছা ঠিক আছে। আচ্ছা। ওয়ালাইকুম সালাম। "
আব্বু ফোন রেখে দিল। এর দুই মিনিটের মাথায় আনোয়ার চাচা এসে হাজির।


"আরে তসনু (আব্বুর ডাক নাম) ভাই! কেমন আছেন? কোথায় ঝামেলা হয়েছে দেখি?"
হেড ক্লার্ক সাহেব এবারে হুলুস্থূল রকমের ব্যস্ত হয়ে আমাদের চিঠিটা ছিনিয়ে নিয়ে সই করে দিলেন। চাচাকে কিছুই সত্বায়িত করতে হলো না। তিনি সোনা মুখ করে বললেন, "কোনই অসুবিধা নাই। "
চাচার দিকে ফিরে বললেন, "স্যার, ঠিক আছে, কোন সমস্যা নাই। "
যাক বাবা! প্রমাণ হয়ে গেল যে ছবির ব্যক্তিই আমার আসল পিতা! কী টেনশনেই না পড়ে গিয়েছিলাম!

ঘটনা: তিন
"আপা, আপনি একা যাচ্ছেন? আর কেউ যাচ্ছে না সাথে?"
এয়ারপোর্টে ঢুকতেই ট্রলি হাতে একজন এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করলো।

তিন্নি লাগেজ তুলছে ট্রলিতে।
"না ভাই, আমি একা। "
লোকটা ট্রলি টেনে একদম চেক ইন পর্যন্ত নিয়ে গেল তাকে। টার্কিশ এয়ারলাইন্স; প্যাসেঞ্জার চেক ইন করছেন সব বাঙ্গালী। সেখানেও তাকে একই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হলো।


"যাত্রী কী আপনি একা?"
তিন্নির এবারেও একই উত্তর।
ওয়েট মেশিনে লাগেজ তুলে দিয়ে বলল, "এই লাগেজ যেতে পারবে না। ওভার ওয়েট হচ্ছে। একশো ষাট ডলার লাগবে। "
তিন্নি বারবার মেশিন দিয়ে ওজন করিয়ে এনেছে।

সে জানে কিছুতেই লাগেজের ওজন বাইশ কেজির বেশি নয়। তাই সে বেশ অবাক হলো।
"ওভার ওয়েট!? কত হয়েছে?"
"সাতাশ কেজি। একশো ষাট ডলার লাগবে। "
"কই, আমি দেখিতো ওজন কত হয়েছে!"
সে মিটারে ওজন দেখতে চাইলো।

লোকটা বলল, "দ্যাখেন, আপনার পিছনে লম্বা লাইন হয়ে গেছে। এত সময় নাই। আপনি টাকা দিবেন? নাহলে মাল যাবেনা। আপনাকে লোড কমাতে হবে। "
"না, আমি টাকা দেব না।

আমাকে আমার লাগেজ দিয়ে দিন। "
"আপনার ইচ্ছা। "
লোকটা নির্বিকারভাবে তাকে লাগেজ ফিরিয়ে দিল।
তিন্নি ভাবছে, এখন লাগেজ খুলে কিছু বাড়তি জামা কাপড় মায়ের সাথে দিয়ে দিবে? এত সময় আছে? ফ্লাইট মাত্র একঘন্টা পরে। চেকইনে লম্বা লাইন।

ইমিগ্রেশনেও লম্বা লাইন। নাকি একশো ষাট ডলার এক্সট্রা চার্জ দিয়ে দিবে? কিন্তু কেন? সে নিশ্চিত, তার ওভার ওয়েট হয়নি। এরচেয়ে বেশি ওভার ওয়েট নিয়ে সে অ্যামেরিকা থেকে বাংলাদেশে এসেছে। ওরা এক পয়সা এক্সট্রা চার্জ করেনি। শুধু একটা স্টিকার লাগিয়ে দিয়েছিল।

অন্যায় মেনে নেয়াটা কী ঠিক হবে?
"আপা। আপনি একটু এদিকে আসেন। "
তিন্নি দেখলো তাকেই একজন ডাকছেন। কাপড় চোপর দেখে কাস্টমসেরই লোক বলে মনে হলো।
"আপনার কাছে কত ক্যাশ আছে?"
"মানে?"
"মানে সে চাইছে একশো ষাট ডলার।

আপনি যদি আমাকে একশো বিশ ডলার দেন, তাহলে আমি আপনার লাগেজ পার করে দিব। "
তিন্নি বুঝে গেল কি ঘটছে। দেশের অবস্থা এত্ত খারাপ হয়ে গেছে যে যেখানে পারছে একে অন্যকে লুটে পুটে খাচ্ছে!
"দেখেন ভাই, আমার কাছে বিশ ডলার ক্যাশ আছে। আপনি এতেই ম্যানেজ করুন। "
শুরু হলো দরকষাকষি।


"না আপা, আমি হাইয়েস্ট একশো ডলার পর্যন্ত নামতে পারি। এর নিচে নামলে কেউই মানবে না। "
"দেখেন ভাই, বিশ ডলারের বেশি আমি দিতে পারবো না। নিলে নেন, নাহলে আমি লাগেজ খালি করলাম। "
অবশেষে লোকটাকে পঞ্চাশ ডলারে নামতে হলো, তিন্নিকেও পঞ্চাশ ডলার ছাড়তে হলো।

ফ্লাইটের তখন খুব বেশি বাকি নাই। বুঝতে পারছে, এখন এই সামান্য কটা টাকা নিয়ে ঝামেলা করলে ফ্লাইট মিস হবে। ওদিকে সব স্কেজুলে গন্ডগোল লেগে যাবে।

ঘটনা: চার

আম্মু আসছে অ্যামেরিকা। ঢাকা এয়ারপোর্টে ততক্ষণে ওরা জেনে গেছে আম্মু একা।

ইমিগ্রেশনে তাঁকে আটকালো।
"আপনার সাথে ক্যাশ কত টাকা আছে?"
"সাড়ে চার হাজার ডলার। "
"এত টাকাতো নিতে পারবেন না। আপনার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং কেস হবে। "
কেউ ফালতু ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে দেখলে ভয়ের পরিবর্তে মেজাজটা খারাপ হয় বেশি।

আম্মু রেগে উঠে বলল, "আমি প্রত্যেক ছয় মাসে অ্যামেরিকা যাওয়া আসা করি। আপনি আমাকে শিখাতে আসছেন মানি লন্ডারিং কাকে বলে?"
"দ্যাখেন ম্যাডাম। ঝামেলা না করে জরিমানা দিন। নাহলে আপনার বিরুদ্ধে কেস হয়ে যাবে। "
"কিসের জরিমানা? কেন ঝামেলা করবো না? আমার ফ্লাইট মিস করাচ্ছেন! অ্যামেরিকা গেলে দশ হাজার ডলার পর্যন্ত নেয়া যায়।

আপনি আমাকে আইন সেখাতে আসছেন?"
লোকটা নির্বিকারভাবে আটকে রাখল। আম্মুর ততক্ষণে মাথা ঠান্ডা হয়ে এলো।
"দ্যাখেন, আমার পরিচিত "অমুক" আছেন আপনাদেরই ডিপার্টমেন্টের। আপনি প্রয়োজনে তার সাথে কথা বলেন। "
লোকটা পাত্তাই দিল না।


আম্মু সেই লোকটাকেই ফোন করলো।
"হ্যালো! হ্যা, আমি এখনও কাস্টমসে আটকে আছি। আপনার অফিসার বলছেন আমি নাকি মানি লন্ডারিংয়ের আসামী! একটু দেখেনতো উনি কী চান!"
ভদ্রলোক তার অফিসারটিকে ফোনে চাইলেন। কাস্টমস অফিসার বললেন, "আমি ফোনে কারও সাথে কথা বলতে পারব না, কারও আসতে হলে সে নিজে আসবে। "
"হ্যালো ভাই! আপনার সাথে উনি ফোনে কথা বলতে পারবেন না।

আপনাকে নিচে আসতে বলছেন। "
ভদ্রলোক আসতেই অফিসারের চেহারা এবং ব্যবহার সম্পূর্ন বদলে গেল। এখন তিনি প্রচন্ড অমায়িক।
"স্লামালিকুম স্যার! জ্বী, স্যার, কোন সমস্যা নাই স্যার! ঠিক আছে স্যার!"
ভদ্রলোক আম্মুকে গেট পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে বললেন, "আর কোন টেনশন নেই আপা। কিছু মনে করবেন না।

আল্লাহ হাফেজ। "
অতঃপর "মানি লন্ডারিং" কেসের আসামী কোন জরিমানা না দিয়েই ফ্লাইটে উঠে পড়লেন।

উপসংহার: টিউমারকে প্রাথমিক অবস্থাতেই কেটে ফেলে দিতে হয়। একবার শেকড় ছেড়ে দিলেই হলো! ক্যানসারে রূপ নিয়ে সারা দেহে ছড়িয়ে পড়ে। ‘দূর্নীতি’ নামের টিউমারটির সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হওয়ায় আজকে সেটা ক্যানসারে পরিণত হয়েছে।

বাংলাদেশ এখন ক্যানসার আক্রান্ত রোগী। কেমো থেরাপী না দিলে এর মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।